অভিরূপ দাস ও নিরুফা খাতুন: রোগীমৃত্যুতে রণক্ষেত্র বেহালা বিদ্যাসাগর হাসপাতাল (Behala Vidyasagar Hospital)! জরুরি বিভাগ ও মূল ফটকে ভাঙচুর চালানোর অভিযোগ রোগীর পরিবারের বিরুদ্ধে। এক নার্সিং স্টাফকে বাথরুমে নিয়ে গিয়ে মারধর করা হয় বলেও অভিযোগ। খবর পেয়ে পর্ণশ্রী থানার বিশাল পুলিশ বাহিনী গিয়ে পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। মারধর ও ভাঙচুরে যুক্ত থাকার অভিযোগে আটক ২২।
হাসপাতাল সূত্রে জানা গিয়েছে, শুক্রবার রাত ৮টা নাগাদ ঠাকুরপুকুরের বাসিন্দা বছর তিরিশের শেখ মেহমুদ আলমকে হাসপাতালে আনা হয়। তিনি হৃদরোগে আক্রান্ত হয়েছিলেন। চিকিৎসা শুরু হয়। হাসপাতালে আনার পর ফের হার্ট অ্যাটাক হয় মেহমুদের। ৮টা ৪০ নাগাদ দ্বিতীয় সিপিআর দেওয়া হয়। লাভ হয়নি। ৮টা ৫০ নাগাদ তাঁর মৃত্যু হয়।
এর পরই মৃতের আত্মীয়রা হাসপাতালে ভিড় জমাতে থাকেন। রোগীর পরিজনেরা চিকিৎসার গাফিলতির অভিযোগ তুলে চিকিৎসার নথিপত্র চাইতে শুরু করে। হাসপাতাল জানায়, আদালতের অনুমতি ছাড়া সরকারি হাসপাতালের চিকিৎসা সংক্রান্ত নথি কাউকে দেওয়া সম্ভব নয়। অভিযোগ, রাত প্রায় ১০টা নাগাদ প্রায় দেড়শো লোক জরুরি বিভাগের ভিতরে ঢুকে ব্যাপক ভাঙচুর চালায়। বাইরের গেটেও ভাঙচুর চলে। মারধর করা হয় নার্সিং স্টাফদেরও। ঘটনায় তিনজন নার্সিং কর্মী আহত হয়েছেন।
আতঙ্কে বেড ছেড়ে পালিয়ে যান কয়েকজন রোগী। ২জনকে তৎক্ষণাৎ অন্যত্র স্থানান্তর করা হয়। এই ধুন্ধুমারের মাঝে হাসপাতালে ভর্তি ৮৫ বছরের মহিলা শান্তি সিনহার মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ।
হাসপাতালের কর্তব্যরত এক চিকিৎসক জানাচ্ছেন, "গুরুতর অবস্থায় রোগীকে নিয়ে আসা হয়েছিল। আমরা খুবই অল্প সময় পেয়েছিলাম, সব রকম চেষ্টা করেছি। কিন্তু ওরা কোনও কথা শুনতে চায়নি।" হাসপাতালের সুপার জানিয়েছেন, "প্রচুর ওষুধ, ইঞ্জেকশন নষ্ট করে দিয়েছে তাণ্ডবকারীরা।" ঘটনার তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।