সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাণিজ্য সম্মেলনে দেশি-বিদেশি অতিথিদের সামনেই ঘোষণা করে দিয়েছিলেন, তৈরি পরিকাঠামো, চাইলে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই বীরভূমের দেউচা-পাচামি কয়লাখনিতে কাজ শুরু করা যাবে। তাঁর কথা রেখে অতি তৎপরতার সঙ্গে ২৪ ঘণ্টার মধ্যেই কাজ শুরু হয়ে গিয়েছে এশিয়ার দ্বিতীয় বৃহত্তম কয়লাখনিতে। বৃহস্পতিবার তার ভিতপুজোও হয়েছে জেলাশাসক, পুলিশ সুপার, এলাকাবাসীর উপস্থিতিতে। এভাবে রাজ্যের কর্মঠ ছবি তুলে ধরা দেউচা-পাচামির মানুষজনকে স্যালুট জানিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, ‘‘আগামী ১০০ বছর আর কাউকে চিন্তা করতে হবে না।’’ এদিন বাণিজ্য সম্মেলনের সমাপ্তি ভাষণে এভাবেই সকলকে ধন্যবাদ জানিয়েছেন তিনি। অষ্টম BGBS থেকে রাজ্যের ঝুলিতে লগ্নি কত এল, তাও প্রকাশ্যে তুলে ধরেছেন মুখ্যমন্ত্রী।
দেউচা-পাচামির চাঁদা মৌজায় ভিতপুজো। নিজস্ব ছবি।
দেউচা-পাচামিতে এভাবে কাজ শুরু হওয়া মোটেই সহজ কাজ ছিল না। জমিদাতাদের যথাযথ পুনর্বাসন, চাকরি, আর্থিক সাহায্যের প্রশাসনিক আশ্বাস থাকলেও কয়লাখনি বাসিন্দারা অনেকে আপত্তি তুলেছিলেন। তাঁদের দাবি ছিল, কয়লা উত্তোলন করা হলে এলাকার পরিবেশ নষ্ট হবে। বনাঞ্চল কাটা পড়বে। তবে প্রশাসনের লাগাতার প্রচারে সেসব সমস্যা মিটেছে। গাছ কাটা হলেও নতুন করে তা বসানো হবে, বৃহস্পতিবার ঘটনাস্থলে গিয়ে স্থানীয়দের এই আশ্বাস দেন। তাতে জটিলতা কেটে যায়। এদিন সকালে ভিতপুজোর মধ্যে দিয়ে কাজ শুরু হয়ে যায়।
তাঁর এককথাতেই এই কর্মচঞ্চলতা দেখে মুগ্ধ মুখ্যমন্ত্রী। এদিন বিশ্ববঙ্গ বাণিজ্য সম্মেলনের সমাপ্তি ভাষণে দেশি-বিদেশি অতিথিদের সাক্ষী রেখে দেউচা-পাচামিকে 'স্যালুট' জানালেন তিনি। বলেন, আগামী ১০০ বছর আর কাজের চিন্তা করতে হবে না। এবছর অষ্টম BGBS-এর সংক্ষিপ্ত নির্যাস সম্পর্কেও ধারণা দিলেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, দেশ-বিদেশের প্রায় ৫ হাজার প্রতিনিধির উপস্থিতিতে ২১২ MoU সই হয়েছে। শুধুমাত্র বুধবারের হিসেব অনুযায়ী, ৪ লক্ষ ৪০ হাজার ৫৯৫ কোটি টাকার বিনিয়োগের প্রস্তাব এসেছে। আগের সাতটি বিজিবিএসে প্রায় ১৯.৫১ লক্ষ কোটি টাকার প্রস্তাব এসেছিল।