রূপায়ণ গঙ্গোপাধ্যায়: বিধানসভায় নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলেছে বিজেপি (BJP)। এবার অভিযোগ নিয়ে আইনি পথে হাঁটল গেরুয়া শিবির। বিধানসভায় বিভিন্ন পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ তুলে তথ্য যাচাই করতে বৃহস্পতিবার এই আরটিআই (RTI) করেছেন বিজেপি বিধায়ক অম্বিকা রায়।
এদিন আরটিআই করে বিজেপি বিধায়কের অভিযোগ, ২০১১ সালের পর থেকে বিধানসভায় (WB Assembly) চাকরিতে নিয়োগের ক্ষেত্রে দুর্নীতি হয়েছে। তাই ২০১২ সালের ১ জানুয়ারি থেকে ৩১ মার্চ ২০২২ পর্যন্ত, এই দশ বছর সময়কালে বিধানসভায় যাঁরা কাজে যোগ দিয়েছেন তাঁদের সম্পর্কেই তথ্য জানতে চাওয়া হয়েছে বিজেপির তরফে। বিজেপি বিধায়ক জানতে চেয়েছেন, যাঁরা চাকরি পেয়েছেন তাঁরা কোন কোন প্রতিষ্ঠান থেকে পাস করে শংসাপত্র জমা দিয়েছেন, তার নথিও চাওয়া হয়েছে আরটিআই করে।
[আরও পড়ুন: ট্রেনের মহিলা কামরায় ফের আক্রান্ত তরুণী, রেল পুলিশের বিরুদ্ধে উদাসীনতার অভিযোগ]
প্রসঙ্গত, বিধানসভায় গ্রুপ-ডি কর্মী হিসাবে তৃণমূলের ক্যাডারদের ‘ওয়াচম্যান’পদে নিয়োগ করা হয়েছে বলে বুধবার অভিযোগ করেছিলেন বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর অভিযোগ ছিল, ভিন রাজ্য থেকে জাল মার্কশিট এনে বিধানসভায় বেআইনি নিয়োগ হয়েছে। বিরোধী দলনেতার এমন অভিযোগ উড়িয়ে দিয়ে স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানিয়ে দিয়েছিলেন, এইধরণের অভিযোগ অর্থহীন, বাজে অভিযোগ। বিধানসভায় গ্রুপ—ডি পদে কর্মী নিয়োগ আইন মেনে হয়। প্রতিটি নিয়োগের আগে খুঁটিয়ে পুলিশ ভেরিফিকেশন হয়, মেডিক্যাল টেস্ট হয়। জাল না আসল মার্কশিট তা খতিয়ে দেখে পুলিশ রিপোর্ট জমা পড়ার পরেই বিধানসভার বিশেষজ্ঞ কমিটি নিয়োগের সুপারিশ করে।
বিধানসভায় বিরোধী দলনেতাদের সহকারীদেরও সরকারি পদে একই পদ্ধতিতে এযাবৎকাল নিয়োগ করা হয়েছে। একবছর সময় অতিক্রান্ত হওয়ায় এবার বর্তমান বিরোধী দলনেতার ‘অ্যাটেনডেন্ট’কেও একইভাবে পুলিশ ভেরিফিকেশন ও মেডিক্যাল পরীক্ষার পর নিয়োগ করা হবে বলে স্পিকার জানান। শুভেন্দুর কাছে ১৫ জনের নথি নিয়ে প্রশ্ন করা হলে বিমানবাবুর উত্তর, “পুলিশের কাছে জমা দিতে বলুন।” শুভেন্দুর অভিযোগকে দুর্ভাগ্যজনক আখ্যা দিয়ে পরিষদীয় মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায় বলেন,“স্পিকারের সঙ্গে যুক্তি, তথ্যে হেরে গিয়ে ভিত্তিহীন অভিযোগ করেছেন। বিধানসভার কর্মীদের অপমান করেছেন বিরোধী দলনেতা।”