অর্ণব আইচ: সাতসকালে গল্ফগ্রিনের আবর্জনার স্তূপে মিলল মহিলার কাটা মুন্ডু। ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল এলাকায়। তড়িঘড়ি খবর দেওয়া হয় থানায়। ইতিমধ্যেই মুন্ডুটি উদ্ধার করেছে পুলিশ। কিন্তু কেন এই নৃশংসতা? মুন্ডুটি কার? বাকি দেহাংশও কি টুকরো করে ফেলে দেওয়া হয়েছে অন্য কোথাও? নেপথ্যে কে বা কারা? জানতে তদন্ত শুরু করেছে পুলিশ।
প্রতিদিনের মতো শুক্রবার সকালেও গল্ফগ্রিনের ওই ভ্যাটে আবর্জনা নিতে এসেছিলেন সাফাইকর্মীরা। সেই সময় তাঁরা প্লাস্টিকের মধ্যে বলের মতো কিছু একটা পড়ে থাকতে দেখেন। তাতে রক্ত দেখতে পাওয়ায় সন্দেহ হয় তাঁদের। ভালো করে দেখতেই বুঝতে পারেন, ওটা এক মহিলার কাটা মুন্ডু। এর পরই খবর দেওয়া হয় থানায়। কিন্তু ওই এলাকা রিজেন্ট পার্ক থানা এলাকায় হওয়ায় গল্ফগ্রিন থানার পুলিশ আসেনি। খবর পেয়ে রিজেন্ট পার্ক থানার পুলিশ পৌঁছয় ঘটনাস্থলে। কাটামুন্ডুটা উদ্ধার করে পাঠানো হয় ময়নাতদন্তের জন্য।
এই ঘটনাকে কেন্দ্র করে প্রবল শোরগোল এলাকায়। গল্ফগ্রিনের মতো ব্যস্ত এলাকায় কীভাবে এই ঘটনা ঘটল, তা নিয়ে প্রশ্ন উঠতে শুরু করেছে। পুলিশের অনুমান, মহিলাকে খুনের পর শুধু মাথাই আলাদা করা হয়নি, টুকরো করা হয়েছে গোটা দেহ। সম্ভবত প্রমাণ লোপাটে দেহাংশ ছড়িয়ে দেওয়া হয়েছে বিভিন্ন এলাকার আবর্জনার স্তূপে। সেই কারণেই, সংলগ্ন এলাকার ভ্যাটে তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। দেহ বস্তায় ভরে জলে ফেলে দেওয়ার আশঙ্কাও রয়েছে। ফলত, কাটামুন্ডুর রহস্য উদঘাটনে আবর্জনার স্তূপ, জলাধার থেকে শুরু করে বহু জায়গায় তল্লাশি চালাচ্ছে পুলিশ। খতিয়ে দেখা হচ্ছে সিসিটিভি ফুটেজও।