shono
Advertisement

শিক্ষার পর স্বাস্থ্যক্ষেত্রেও নিয়োগে ‘দুর্নীতি’, তদন্ত কমিটি গঠন হাই কোর্টের

মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট পদে নিয়োগে দুর্নীতির অভিযোগ উঠেছে।
Posted: 08:57 AM Jul 07, 2022Updated: 08:58 AM Jul 07, 2022

গোবিন্দ রায়: শিক্ষাক্ষেত্রে, পুলিশে, দমকলে – একাধিক নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের পর এবার স্বাস্থ্য ক্ষেত্রেও নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগ উঠল কলকাতা হাই কোর্টে (Calcutta High Court)। এর আগে গ্রুপ ডি মামলায় বিচারপতি রঞ্জিতকুমার বাগের নেতৃত্বে অনুসন্ধান কমিটি গড়েছিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের ডিভিশন বেঞ্চ। এবার স্বাস্থ্যদপ্তরের মেডিক্যাল টেকনোলজিস্ট পদে নিয়োগ দুর্নীতির অভিযোগের তদন্ত করতে অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জয়ন্তকুমার বিশ্বাসের নেতৃত্বে তিন সদস্যের তদন্ত কমিশন গঠন করে দিলেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি শম্পা দত্ত পালের ডিভিশন বেঞ্চ।
অবসরপ্রাপ্ত বিচারপতি জয়ন্তকুমার বিশ্বাস ছাড়াও তদন্ত কমিশনে থাকবেন ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ডের সচিব নরেন্দ্রনাথ দত্ত, কলকাতা হাই কোর্টের আইনজীবী অয়ন বন্দোপাধ্যায়। এদিন তিন সদস্যের কমিটি গঠনের পাশাপাশি আদালতের নির্দেশ, চার সপ্তাহের মধ্যে তদন্তের রিপোর্ট আদালতে পেশ করতে হবে। আদালত জানিয়েছে, এই মামলার ফলাফলের উপর নির্ভর করবে চাকরিরত ব্যক্তিদের ভাগ্য।

Advertisement

[আরও পড়ুন: রাষ্ট্রপতি মনোনীত সদস্য হিসাবে রাজ্যসভায় যাচ্ছেন পিটি ঊষা, ইলাইয়ারাজা-সহ ৪, শুভেচ্ছা প্রধানমন্ত্রীর]

ডিভিশন বেঞ্চ তার পর্যবেক্ষণে জানিয়েছে, “এই নিয়োগ প্রক্রিয়া স্বজনপোষণ, পক্ষপাতিত্ব এবং এবং ক্ষমতার অপব্যবহারের জ্বলন্ত উদাহরণ। নিয়োগ প্রক্রিয়ায় কিছু কিছু ব্যক্তিদের বেছে বেছে নিয়োগ করা হয়েছে। তারা ব্লু-আইড হিসাবে পরিগণিত হয়েছে।” এছাড়াও আদালতের মতে, “সাংবিধানিক প্রতিষ্ঠানে কোনভাবেই কোন ব্যক্তির অসংবিধানিক আচরণ গ্রহণযোগ্য নয়। তাই সত্য খুঁজে বার করা অত্যন্ত প্রয়োজনীয়।”

আদালত সূত্রে খবর, ২০১৮ সালে স্বাস্থ্য দপ্তরের অধীনে মেডিক্যাল টেকনোলজিস্টের ৭২৫ শূন্যপদে নিয়োগের জন্য বিজ্ঞপ্তি জারি করে ওয়েস্ট বেঙ্গল হেলথ রিক্রুটমেন্ট বোর্ড। ২০১৯ সালে নথি যাচাই এবং ইন্টারভিউ হয়। যা নিয়েই মামলা দায়ের হয় হাই কোর্টে। মামলাকারীর দাবি, তিনি এমএসসি পাস করেছেন।  তা সত্ত্বেও তাঁকে মেডিক্যাল টেকনোলজিতে এক বছরের ডিপ্লোমা করেছেন এই যোগ্যতা দেখিয়ে ১২ নম্বর দেওয়া হয়। অথচ কিছু বিএসসি পাস করা প্রার্থীকে ল্যাব টেকনোলজির যোগ্যতা দেখিয়ে ১৫ নম্বর দেওয়া হয়। এবং নিয়োগ করা হয়। এই সিদ্ধান্তকে চ্যালেঞ্জ করে স্টেট অ্যাডমিনিস্ট্রেটিভ ট্রাইব্যুনাল (স্যাট)-এর দ্বারস্থ হন মামলাকারী। চলতি বছরের ফেব্রুয়ারিতে মামলাকারীর আবেদন খারিজ করে স্যাট।

[আরও পড়ুন: মুখ্যমন্ত্রীর নিরাপত্তায় গলদের জের, দায়িত্ব থেকে সরলেন বিবেক সহায়]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement