shono
Advertisement

‘প্রধানমন্ত্রীর হাত নেই, ইডি-সিবিআইয়ের পিছনে শুভেন্দু, বিজেপি নেতারা’, দাবি মমতার

বিধানসভায় সৌজন্যের নজির মুখ্যমন্ত্রীর।
Posted: 04:53 PM Sep 19, 2022Updated: 07:23 PM Sep 19, 2022

কৃষ্ণকুমার দাস: সিবিআই-ইডির অতিসক্রিয়তা নিয়ে বিধানসভায় সরব মুখ্যমন্ত্রী। কিন্তু এই অতিসক্রিয়তার জন্য প্রধানমন্ত্রীকে দোষ দিতে রাজি নন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। বরং তিনি অভিযোগের আঙুল তুলেছেন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রী এবং বিজেপির রাজ্য নেতাদের বিরুদ্ধে। অবশ্যই নাম না করে। মুখ্যমন্ত্রীর কথায়, “এখন সিবিআই আর প্রধানমন্ত্রীর দপ্তরের হাতে নেই। ওটা এখন কেন্দ্রীয় স্বরাষ্ট্রমন্ত্রকের নিয়ন্ত্রণাধীন। আমি বিশ্বাস করি, এই যে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা তদন্ত করছে তাতে প্রধানমন্ত্রীর হাত নেই। বরং বিজেপি নেতাদের হাত রয়েছে।”

Advertisement

বারবার প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের সেটিংয়ের অভিযোগ তোলেন বিরোধীরা। এদিন মমতার এই ‘নরম’ সুর বিরোধীদের হাতে ফের একবার সেটিং অস্ত্র তুলে দিল বলেই মনে করছে ওয়াকিবহাল মহল। তবে মুখ্যমন্ত্রীর এই মন্তব্য বিজেপি নেতাদের মধ্যে বিভাজনের চেষ্টা করলেন বলেও দাবি করছেন কেউ কেউ।  

[আরও পড়ুন: SSC মামলা: সিবিআইয়ের হাতে গ্রেপ্তার উত্তরবঙ্গ বিশ্ববিদ্যালয়ের উপাচার্য সুবীরেশ ভট্টাচার্য]

এদিন বিধানসভায় দাঁড়িয়ে বিজেপিকে চ্যালেঞ্জ ছুঁড়লেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (Mamata Banerjee)। নিন্দা প্রস্তাবের ভাষণের শুরুতেই কড়া ভাষায় আক্রমণ শানালেন মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর চ্যালেঞ্জ, “বিজেপি নেতাদের বাড়িতে ইডি-সিবিআই তল্লাশি করতে বলব। টাকার পাহাড় পাবে। তল্লাশির সময় আমরা সঙ্গে থাকব, দেখিয়ে দেব, কার কোথায় ক’টা ফ্ল্যাট রয়েছে।” সোমবার বিধানসভায় নাম না করে বিরোধী দলনেতা শুভেন্দু অধিকারীকেও তুলোধোনা করেন মুখ্যমন্ত্রী। পুরুলিয়ায় চাকরি বিক্রি প্রসঙ্গ তুলে মমতার খোঁচা, ‘তুমি মহারাজ সাধু হলে আজ।”

বিরোধী দলনেতার নাম না করে কড়া ভাষায় আক্রমণ করেন মুখ্যমন্ত্রী। তুলে আনেন পুরুলিয়ার প্রসঙ্গ। মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, “পুরুলিয়ায় কত টাকায় শিক্ষকের চাকরি বিক্রি হয়েছিল?” উল্লেখ্য, তৃণমূলে থাকাকালীন দীর্ঘদিন পুরুলিয়ার দায়িত্বে ছিলেন শুভেন্দু অধিকারী। তাঁর উদ্দেশে মুখ্যমন্ত্রীর প্রশ্ন, “সিআইডিকে এত ভয় কেন?”  তিনি আরও বলেন, “বিজেপি নেতারা প্রধানমন্ত্রীকে বলছে ১০০ দিনের কাজের টাকা দেবেন না। কিন্তু আপনাকে তো চিতা কিনতে বারণ করছে না কেউ!”

[আরও পড়ুন: তাজপুর বন্দর নির্মাণের দায়িত্ব পাচ্ছে আদানি গোষ্ঠীই, রাজ্য মন্ত্রিসভার বৈঠকে সিলমোহর]

ইডি-সিবিআইর তদন্তের বিরোধিতা করছেন না বলে জানান মুখ্যমন্ত্রী। তাঁর কথায়, “আমি ইডি-সিবিআই তদন্তের বিরোধিতা করছি না। কিন্তু ওদের নিরপেক্ষ হতে বলব।” গণতন্ত্রের তিন স্তম্ভ আইনসভা-বিচারবিভাগ এবং সংবাদমাধ্যম। বর্তমানে সংবাদমাধ্যমকে ভয় দেখানো হচ্ছে বলে অভিযোগ মুখ্যমন্ত্রীর। পাশাপাশি বিচারবিভাগকে করায়ত্ব করার চেষ্টা চলছে। মমতার দাবি, “বর্তমানে দেশে যে শাসন চলছে তা মুসোলিনি-হিটলার-স্ট্যালিন শাসনকালের চেয়েও ভয়ঙ্কর।”

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement