shono
Advertisement

ঢেলে সাজবে ‘যশ’বিধ্বস্ত দিঘা, সৌন্দর্যায়নের নকশা বুঝিয়ে দিলেন মুখ্যমন্ত্রী

'সমুদ্রের উপর অত্যাচার করলে সমুদ্রও ক্ষমা করবে না', সতর্কবার্তা মুখ্যমন্ত্রীর।
Posted: 04:09 PM Jun 02, 2021Updated: 06:57 PM Jun 02, 2021

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘূর্ণিঝড় ‘যশে’ (Cyclone Yaas) বিধ্বস্ত দিঘা, মন্দারমণি। জলের তোড়ে ভেসে গিয়েছে গোটা এলাকা। ভেঙে পড়েছে সমুদ্র তীরের সমস্ত কাঠামো। ক্ষতিগ্রস্ত হয়েছে মুখ্যমন্ত্রীর স্বপ্নের ‘মেরিন ড্রাইভ’। দ্রুত সারিয়ে তুলতে হবে রাজ্যের জনপ্রিয় পর্যটনস্থলকে। সেখানকার হকার, ডাব বিক্রেতা, হোটেল কর্মীদের দ্রুত কাজে ফেরাতে হবে। কীভাবে এই সমস্ত কাজ সম্পন্ন হবে, কারা থাকবেন দায়িত্বে, বুধবার গোটা নকশা তৈরি করে দিলেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। দিঘার সৌন্দর্যায়নের কাজ দ্রুত শেষ করার নির্দেশ দিয়েছেন তিনি। বলেছেন, “দিঘার জন্য আলাদা পরিকল্পনা করতে হবে।” পাশাপাশি, সেই কাজে স্থানীয় বাসিন্দাদের নিয়োগ করারও নির্দেশ দিলেন তিনি।

Advertisement

‘যশ’ বিধ্বস্ত এলাকা নিজে পরিদর্শন সেরে এসেছেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই সমস্ত এলাকার পুনর্গঠনের জন্য একের পর এক বৈঠক করছেন তিনি। যেমন বুধবার দুপুরে নবান্ন থেকে বিভিন্ন দপ্তরের সচিব এবং অন্যান্য প্রশাসনিক কর্তাদের নিয়ে ভারচুয়াল বৈঠক সারলেন তিনি। দিঘা, মন্দারমনি-সহ উপকূল এলাকায় সমুদ্র বরাবর যে ভাঙন হয়েছে, তা বাড়তি যত্ন নিয়ে গড়ার পরামর্শ মুখ্যমন্ত্রীj। তাঁর কথায়, “সমুদ্রের উপর অত্যাচার করলে সমুদ্রও ক্ষমা করবে না।”  পাশপাশি, দিঘা পুনর্গঠনের বাড়তি দায়িত্ব দিয়েছেন সেচ দপ্তরের প্রিন্সিপাল সেক্রেটারিকে। সেই কাজে তদারকি করবেন মুখ্যসচিব। এতদিন পদে থাকার  জন্য এই দায়িত্ব সামলাচ্ছিলেন আলাপন বন্দ্যোপাধ্যায়। এবার সেই কাজ করবেন হরিকৃষ্ণ দ্বিবেদী।  

[আরও পড়ুন: ‘প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা করবে প্রকৃতিই’, পরিবেশ সচেতনতায় বার্তা মুখ্যমন্ত্রীর]

এদিন মমতা বলেন, “জলের তোড়ে বোল্ডারগুলো স্থানচ্যুত হয়েছে। দু’পাড়ের বসার জায়গাও ভেঙে গিয়েছে। এগুলি দ্রুত মেরামত করতে হবে। সমুদ্রের পাড় বরাবর প্রচুর দোকান ছিল।  ডাব বিক্রেতারা বসতেন। সব ভেসে গিয়েছে।” দ্রুত সেই সমস্ত হকারদের অস্থায়ী পরিকাঠামো তৈরি করে দেওয়ার কথাও জানান এদিন। তিনি জানান, দিঘায় যে সেতু ভেঙেছে, তা তৈরি করে দেবে রাজ্য। তবে বিশ্ব বাংলা পার্কের মতো এলাকাগুলির পুনর্গঠনের দায়িত্ব নিতে হবে বেসরকারি সংস্থাগুলিকে। 

মমতার কথায়, “মন্দারমনির হোটেলগুলি সমুদ্রের একাবারে কাছাকাছি ছিল। ফলে সেগুলোর প্রচুর ক্ষতি হয়েছে।” এবার হোটেল তৈরির সময় মালিকদের সতর্ক থাকার পরামর্শ দিয়েছেন মুখ্যমন্ত্রী। এই সতর্ক করার দায়িত্ব দিয়েছেন সেচদপ্তরকে। 

[আরও পড়ুন: হাসপাতাল থেকে ছুটি পেলেও বাড়ি যাবেন না বুদ্ধদেব, থাকবেন সেফ হোমে]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement