shono
Advertisement

দীর্ঘ প্রতীক্ষার অবসান, বৃহস্পতিবারই মাঝেরহাট ব্রিজ উদ্বোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী

চূড়ান্ত প্রস্তুতি দেখলেন পূর্তমন্ত্রী।
Posted: 10:16 PM Nov 28, 2020Updated: 10:21 PM Nov 28, 2020

কৃষ্ণকুমার দাস: অপেক্ষার অবসান ঘটিয়ে আগামী বৃহস্পতিবার বিকেলে মাঝেরহাটের নবনির্মিত চার লেনের কেবল সেতুর উদ্ভোধন করবেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় (CM Mamata Banerjee)। রেলের তরফে সুরক্ষার চূড়ান্ত সার্টিফিকেট পাওয়ার পর ব্রিজের সমাপ্তির সর্বশেষ প্রযুক্তিগত পরিস্থিতি ও প্রেক্ষাপট পরিদর্শন শেষে শনিবার এই খবর জানিয়েছেন পূর্তমন্ত্রী অরূপ বিশ্বাস। নবান্ন সূত্রে খবর, ৩ ডিসেম্বরই জনসাধারণের জন্য নয়া ব্রিজটি চালুর সবুজ সংকেত দিতে পারেন মুখ্যমন্ত্রী।

Advertisement

উল্লেখ্য, মাঝেরহাট সেতু দ্রুত উদ্বোধনের দাবিতে তিনদিন আগে বিজেপির মিছিল ঘিরে তারাতলায় ধুন্ধুমার ঘটে যায়। এদিনও সেতু চালুর বিষয়কে স্বাগত জানিয়ে বিজেপির কেন্দ্রীয় সাধারণ সম্পাদক বলেছেন, “জনস্বার্থে আমরা আন্দোলন করি, তাই জনতার জন্য ব্রিজ উদ্বোধনে বাধা দেওয়ার প্রশ্ন নেই।”

[আরো পড়ুন: পাইপের মেরামতি শেষ, কখন থেকে কলকাতায় জল সরবরাহ শুরু করবে টালার ট্যাঙ্ক?]

এদিন রেলের বিরুদ্ধে গড়িমসি করে ৯ মাস সময় নষ্টের পাশাপাশি ঘৃণ্য রাজনীতির অভিযোগ এনে পালটা মিছিল করেছেন বিদ্যুৎমন্ত্রী শোভনদেব চট্টোপাধ্যায়। তবে নয়া সেতু চালু নিয়ে যতই চাপানউতর থাকুক না কেন, মাঝেরহাট ব্রিজ দিয়ে ফের যাতায়াত করার খবরে খুশি বেহালা তথা দক্ষিণ ২৪ পরগনার মানুষ। আর রাজ্য সরকারের পূর্ত দপ্তর করোনাকালের বাধা অতিক্রম করে যে রেকর্ড সময়ে নির্মাণকাজ শেষ করল, তার কৃতিত্বের কথা স্বীকার করছেন রেলের আধিকারিকরাও। পূর্ত দপ্তর সূত্রে খবর, রেলের সঙ্গে চুক্তি অনুসারে নয়া সেতু চালু হয়ে গেলে অস্থায়ীভাবে নির্মিত নিউ আলিপুর ও করুনাময়ীর কাছের বেইলি ব্রিজ দুটি ভেঙে ফেলতে হবে।

২০১৮ সালের ৪ সেপ্টেম্বর বিকেল ৪টে ৪২ মিনিটে আচমকা ভেঙে পড়েছিল পুরনো দুই লেনের মাঝেরহাট ব্রিজ। যদিও বজবজ সেকশনের লাইনের উপর দিয়ে সেতু, তাই প্রথা অনুযায়ী রেলওয়ের অংশের নির্মাণের দায়িত্ব এবং খরচ দেওয়ার কথা রেলের। কিন্তু কেন্দ্রের বরাদ্দের অপেক্ষায় না থেকে পুরো ব্রিজের খরচ ২৫০ কোটি টাকার বেশির দায়িত্ব নিজের কাঁধে তুলে নেন মুখ্যমন্ত্রী। পূর্তমন্ত্রী এদিনও ব্রিজের ‘ফিনিশিং টাচ’ দেখতে এসে অভিযোগ করেন, “রেল তো টাকা দেয়নি, উলটে নানা কাজে সাহায্য করার জন্য ৩৩,২৯ কোটি টাকা নিয়েছে। কেন্দ্রীয় সরকার সাহায্য করার বদলে ৯ মাস দেরি করিয়ে হেনস্তা করেছে। নাহলে অনেক আগে মুখ্যমন্ত্রী ব্রিজ চালু করে দিতেন।” যদিও বিজেপি পালটা অভিযোগ করে বলেছে, রাজ্য সরকারই ব্রিজের কাজ শেষ করতে বিলম্ব করেছে।

[আরও পড়ুন: ৩ ফেব্রুয়ারি থেকে শুরু মাধ্যমিক পরীক্ষা! সোশ্যাল মিডিয়ায় ভাইরাল বিজ্ঞপ্তি ঘিরে শোরগোল]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement