স্টাফ রিপোর্টার: মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের লেখা এবং সুর করা গান নিয়ে আজ রবিবার কলকাতায় হতে চলেছে মেগা 'কনসার্ট'। কসবার রাজডাঙা খেলার মাঠে সূচনা হবে পিঠেপুলি উৎসবের। সেখানেই মমতার লেখা এবং সুর করা ৩২টি গান নিয়ে ওই কনসার্ট অনুষ্ঠিত হবে। আয়োজক ১০৮ নম্বর ওয়ার্ডের তৃণমূল কাউন্সিলর সুশান্ত ঘোষ।
রাজ্যের মন্ত্রী ইন্দ্রনীল সেনও ওই এলাকার বাসিন্দা। শনিবার তিনি বলেন, "মুখ্যমন্ত্রীর লেখা কয়েকশো কবিতা রয়েছে। দুহাজারের উপর গান রয়েছে। প্রতি অ্যালবাম থেকে বাছাই করা গান নিয়ে এই কনসার্ট হবে। আমি তো আছিই, তাছাড়া শ্রীরাধা বন্দ্যোপাধ্যায়, মনোময় ভট্টাচার্যের মতো বহু বিশিষ্ট শিল্পী গান গাইবেন।" মুখ্যমন্ত্রীর লেখা এবং সুর করা গানের সংখ্যা নেহাত কম নয়। তার থেকে ৩২টি বাছাই গান গাওয়া হবে এদিনের অনুষ্ঠানে।
এরই পাশাপাশি আগামী ১৫ জানুয়ারি থেকে কলকাতায় শুরু হতে চলেছে শাস্ত্রীয় সংগীতের কনফারেন্স। রবীন্দ্র সদনে একতারা মুক্ত মঞ্চে তা চলবে ১৭ জানুয়ারি পর্যন্ত। বিশিষ্ট বাদনশিল্পী পণ্ডিত হরিপ্রসাদ চৌরাসিয়া এবারের এই কনফারেন্সে থাকবেন। এছাড়াও থাকবেন উস্তাদ শাহিদ পারভেজ, উস্তাদ নিশাত খান, পণ্ডিত কুমার বোস, পণ্ডিত স্বপন চৌধুরি, পণ্ডিত অনিন্দ্য চট্টোপাধ্যায়, কবীর সুমন, পণ্ডিত অভিজিৎ বন্দ্যোপাধ্যায়, উস্তাদ সাবির খান, পণ্ডিত সমর সাহা, পণ্ডিত তরুণ ভট্টাচার্য। প্রতিশ্রুতিমান তরুণ শিল্পীদের মধ্যে আছেন রীতেশ ও রজনীশ মিশ্র, কোয়েল দাশগুপ্ত নাহা, দেবর্ষি ভট্টাচার্য ও অন্যান্যরা।
এছাড়া থাকছে 'বাংলার রাগ সংগীত' বিষয়ক একটি প্রদর্শনী। ২০২২ সাল থেকে অ্যাকাদেমি ডিস্ট্রিক্ট ক্ল্যাসিকাল মিউজিক ফেস্টিভ্যালের আয়োজন করছে। এবছর জানুয়ারি থেকে মার্চ মাসের মধ্যে ৬টি জেলায় এই অনুষ্ঠান আয়োজিত হবে। চন্দননগর, দুর্গাপুর, মেদিনীপুর, শিলিগুড়ি, বহরমপুর এবং সিউড়িতে এই ফেস্টিভ্যাল হবে। এদিন ইন্দ্রনীল বলেন, "শুধুমাত্র সংগীতপ্রেমীদের মধ্যেই নয়, বরং সাধারণ মানুষের মধ্যে শাস্ত্রীয় সংগীতের প্রতি ভালোবাসা ও উৎসাহ বৃদ্ধি করাই এই সম্মেলনের মূল লক্ষ্য। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় চান এই ধরনের উৎসব থেকে অনেক নতুন শিল্পী উঠে আসুক। আশা করি, বিগত বছরের থেকে এবছর অনেক বেশি মানুষ এই কনফারেন্সে শামিল হবেন।"