অর্ণব আইচ: মেলেনি সরকারি অনুমোদন। আদালতে গৃহীত হল না আর জি কর দুর্নীতির চার্জশিট। শুক্রবার আলিপুর আদালতে সন্দীপ ঘোষ-সহ পাঁচজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করে সিবিআই। তা জমা পড়লেও গৃহীত হয়নি।
কেন আদালত গ্রহণ করল না চার্জশিট? জানা গিয়েছে, সরকারি কর্মচারীদের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশ করতে গেলে সরকারের অনুমোদন মেলেনি। আর্থিক দুর্নীতির মূল অভিযুক্ত সন্দীপ ঘোষ সরকারি কর্মচারী ও তাঁর ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত আশিস পাণ্ডে সরকারি চিকিৎসক। সেক্ষেত্রে দুজনের বিরুদ্ধে চার্জশিট পেশের আগে দরকার সরকারি অনুমোদন। সেই ছাড়পত্র না নিয়েই আদালতে চার্জশিট দিয়েছে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। ফলে তা জমা হলেও গৃহীত হল না।
আর জি করের চিকিৎসক তরুণীর খুন ও ধর্ষণ কাণ্ডের পর হাসপাতালে আর্থিক দুর্নীতির তথ্য সামনে আসে। ২৩ আগস্ট হাই কোর্টের বিচারপতি রাজর্ষি ভরদ্বাজ সিবিআই তদন্তের নির্দেশ দেন। তদন্তে উঠে আসে একের পর এক আর্থিক বেনিয়মের তথ্য। ২ সেপ্টেম্বর হাসপাতালের প্রাক্তন অধ্যক্ষ সন্দীপকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। সেই দিন একই মামলায় সন্দীপের সঙ্গে বিপ্লব সিং, সুমন হাজরা, আফসার আলিকে গ্রেপ্তার করে কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থা। এদের মধ্যে আফসার, সন্দীপের নিরাপত্তারক্ষী হিসাবে কাজ করতেন বলে জানা যায়। তদন্ত এগোনোর পর অক্টোবর মাসের শুরুর দিকে আশিস পাণ্ডে নামে একজনকে গ্রেপ্তার করে সিবিআই। তিনি সন্দীপের ঘনিষ্ঠ বলে পরিচিত। আশিসের বিরুদ্ধে ‘থেট্র কালচারে’র অভিযোগ তুলেছিলেন জুনিয়র চিকিৎসকরা।
ধৃতদের বিরুদ্ধে হাসপাতালে টেন্ডার দুর্নীতি, মেডিক্যাল বর্জ্য নিয়ে আর্থিক অনিয়ম, হাসপাতালের মর্গেও একাধিক আর্থিক অনিয়মের অভিযোগ রয়েছে। তদন্তের পর পাঁচজন অভিযুক্ত ও তিনটি সংস্থার বিরুদ্ধে চার্জশিট জমা দেয় সিবিআই। তবে তা গ্রহণ করা হয়নি।