সুব্রত বিশ্বাস: লোকাল ট্রেনের জাম্পারে বিপজ্জনকভাবে ড্রামে ঝুলছে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে মুরগীর ছাট। বেশ কিছুদিন ধরে এধরনের বেআইনি কাজকর্ম শুরু হয়েছে শিয়ালদহ-হাসনাবাদ শাখার ট্রেনে। ইলেকট্রিক ইঞ্জিনিয়ারি বিভাগ অবশ্য এই ধরনের কাজকে অত্যন্ত বিপজ্জনক বলে জানিয়েছে। এনিয়ে কড়া ব্যবস্থা নেওয়ার ভাবনা রয়েছে রেলের।
ওই বিভাগ জানিয়েছে, একটি কোচের সঙ্গে অন্য কোচের সংযোগস্থলে এই জাম্পার অর্থাৎ কেবলগুলি ‘ইউ’ আকারে ঝুলে থাকে। যার ভিতর দিয়ে তার থাকে। এক ইউনিট থেকে অন্য ইউনিটে বিদ্যুৎ, সিগন্যাল-সহ যাবতীয় কিছু বহন করা হয় এই কেবলের মাধ্যমে। ফলে তা যেমন গুরুত্বপূর্ণ, তেমনই স্পর্শকাতর। ফলে ওইখানে অন্য কিছু রাখা মানেই ট্রেনের ক্ষেত্রে বিপজ্জনক।
সম্প্রতি বেশ কয়েকদিন ধরে এই ধরনের অবৈধ বহন প্রক্রিয়া চলছে কেবলের উপর মুরগির ছাঁট ভর্তি ড্রাম রাখা হচ্ছে। তারপর ট্রেন কোনও স্টেশনে থামার পর তা নামিয়ে নিয়ে যান বহনকারীরা। বারবার এই কাজে রীতিমতো ক্ষুব্ধ হাসনাবাদ শাখার যাত্রীরা। মূলত মধ্যমগ্রাম ও আশপাশের স্টেশনে এই ড্রাম অফসাইড দিয়ে কেবলের উপর রেখে দিয়ে ট্রেন উঠে পড়ছে এই মাল বহনকারীরা বলে যাত্রীরা জানিয়েছেন। তাদের অভিযোগ, ভেন্ডার বা অন্য কামরায় এই মুরগি ছাঁট তোলায় গন্ধে অতিষ্ঠ হয়ে প্রতিবাদ শুরু করেছেন যাত্রীরা।
এরপরই পদ্ধতি বদলে যায়। এবার তা বহন হচ্ছে দুই বগির মাঝের জাম্পারে। তাঁদের কথায়, বিষয়টি জানা রেলকর্মী ও আরপিএফের। ফলে বেআইনি সামগ্রী নিশ্চিত যাত্রা হয় এভাবেই। সম্প্রতি সোশাল মিডিয়ায় এই ছবি দিয়ে ক্ষোভও প্রকাশ করেন যাত্রীরা। যদিও শিয়ালদহ ডিভিশনের আরপিএফের সহকারী এক কমান্ডান্ট বলেন, আরপিএফ এই বিপজ্জনক কাজে কখনওই সাহায্য করবে না। বিষয়টি নজরে আসায় তারাই সারপ্রাইজ ভিজিট শুরু করবে।