অর্ণব আইচ: বাগুইআটির জোড়া খুনের ঘটনায় উত্তাল শহর। এর মাঝেই ফের আরও একটা খুনের ঘটনা ঘটল খাস কলকাতায়। ট্যাংরা এলাকায় এক মহিলাকে পিটিয়ে মারার অভিযোগ উঠল প্রতিবেশীদের বিরুদ্ধে। তড়িঘড়ি তাঁকে উদ্ধার করে হাসপাতালে নিয়ে যাওয়া হয়। তবে শেষরক্ষা হয়নি। চিকিৎসা চলাকালীন হাসপাতালেই মৃত্যু হয় তাঁরা। এই ঘটনায় খুনের অভিযোগ তুলেছে পরিবার।
পুলিশ জানিয়েছে, পূর্ব কলকাতার ট্যাংরার ৫৭ নম্বর ওয়ার্ডে একটি বহুতল আবাসনের পাশের রাস্তায় থাকতেন গীতা মণ্ডল (৬৫)। অভিযোগ, বুধবার কয়েকজন প্রতিবেশীর সঙ্গে তাঁর গোলমাল হয়। তারই জেরে তারা তাঁকে মারধর করে। পরিবারের লোকজন হাসপাতালে নিয়ে যাওয়ার পর মহিলার মৃত্যু হয়।
[আরও পড়ুন: লক্ষ্য পঞ্চায়েত ভোট, আজ দলের নিচুতলার কর্মীদের দলীয় শৃঙ্খলার পাঠ দেবেন মমতা-অভিষেক]
বুধবার রাতে মহিলার ছেলে রবীন্দ্র মণ্ডল ট্যাংরা থানার পুলিশের কাছে তিনজনের বিরুদ্ধে খুনের অভিযোগ জানান। অভিযুক্তরা হল সম্পর্কে মহিলার ননদ, ননদের ছেলে ও ননদের পুত্রবধূ। ওই অভিযোগের ভিত্তিতে অনিচ্ছাকৃত খুনের মামলা দায়ের হয়েছে।
এদিকে বৃহস্পতিবার সকালে বেহালায় এক অজ্ঞাত পরিচয় ব্যক্তির দেহ উদ্ধার হয়। প্রাতঃভ্রমণে বেরিয়ে স্থানীয়রা দেহ পড়ে থাকতে দেখে পুলিশে খবর দেয়। তাঁরা এসে দেহ উদ্ধার করে। মৃতের নাম-পরিচয় এখনও জানা যায়নি। খুন করে দেহ ফেলে রেখে যাওয়া হয়েছে কিনা তাও খতিয়ে দেখছে পুলিশ।
[আরও পড়ুন: জন্মদিনেই পুড়ে ছাই বাগুইআটির অভিষেক, অগ্নিগর্ভ ওয়ার্ডে নিজের জন্মদিনে হুল্লোড় কাউন্সিলরের]
তবে শহরে একের পর খুনের ঘটনায় প্রশ্নের মুখে পুলিশের ভূমিকা। তাদের আরও সতর্ক হওয়ার পরামর্শ দিয়েছেন খোদ মুখ্যমন্ত্রী। বুধবারের প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্যের পুলিশ প্রশাসনের অসন্তোষ প্রকাশ করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। বুধবার নবান্নে প্রশাসনিক বৈঠকে রাজ্য পুলিশের কার্যত সব স্তরের কর্তা উপস্থিত ছিলেন। সেই বৈঠকেই পুলিশ প্রশাসনের ভূমিকা নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেন মমতা। রাজ্যের ডিজি মনোজ মালব্যকে মুখ্যমন্ত্রী ৭ দিনের ডেডলাইন দিয়েছেন বলে খবর। দ্রুত এডিজি (আইনশৃঙ্খলা) সহ জেলার পুলিশ সুপারদের সঙ্গে বৈঠকে বসছেন ডিজি।