স্টাফ রিপোর্টার: বহুতল আবাসনগুলিতে ভোটকেন্দ্র বুথ তৈরির সিদ্ধান্ত থেকে পিছিয়ে এল নির্বাচন কমিশন। এক আধিকারিক জানিয়েছেন, আবাসনে বুথ তৈরির জন্য সোমবারের মধ্যে জেলাশাসকদের কাছ থেকে রিপোর্ট চাওয়া হয়েছিল। কিন্তু সোমবার সন্ধ্যা পর্যন্ত মাত্র দু'টি জেলা থেকে রিপোর্ট এসেছে। তাঁর কথায়, "জেলাশাসকরা জানিয়েছেন যে রাজনৈতিক দল এবং আবাসনগুলির তরফে এ ব্যাপারে তেমন কোনও আগ্রহ দেখানো হচ্ছে না। তাই আবাসনে বুথ তৈরির পরিকল্পনা কার্যকর করা হচ্ছে না।''
বহুতলে বুথ তৈরিতে কমিশন সিদ্ধান্ত থেকে পিছু হঠা নিয়ে রাজ্যের পুরমন্ত্রী তথা কলকাতার মেয়র ফিরহাদ হাকিম বলেন, "আবাসনের বাসিন্দারা নিজেদের 'প্রাইভেসি' ও শান্তি বিঘ্নিত হওয়ার আশঙ্কায় এ বিষয়ে আপত্তি জানিয়েছিলেন। ক্ষুদিরাম অনুশীলন কেন্দ্রে বিভিন্ন আবাসন কর্তৃপক্ষকে নিয়ে যে বৈঠক করেছি, সেখানে এ বিষয়ে আপত্তির সুর শোনা গিয়েছে। যে সব আবাসনে বিভিন্ন ভাষা, জাতি ও ধর্মের মানুষ বাস করেন, সেখান থেকেও আপত্তি এসেছে। সর্বোপরি মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় নিজে দেশের মুখ্য নির্বাচন কমিশনার জ্ঞানেশ কুমারকে জোড়া চিঠি লিখে আবাসনে বুথ তৈরিতে আপত্তি জানিয়েছিলেন। তারই ফলে কমিশন সিদ্ধান্ত রদ করেছে।"
সোমবার বিএলও-দের পারিশ্রমিক বাবদ ৬১ কোটি টাকা রাজ্য অর্থ দপ্তরের পক্ষ থেকে ছেড়ে দেওয়া হয়েছে। কমিশন সূত্রে খবর, এই খাতে গত সপ্তাহে চিঠি দিয়ে ৭০ কোটি টাকা চেয়ে পাঠানো হয়েছিল নবান্নর কাছে। সোমবার প্রথম দফায় ৬১ কোটি টাকা দেওয়া হয়েছে। বাকিটাও দ্রুত মিটিয়ে দেওয়া হবে। রাজ্যের মুখ্য নির্বাচনী আধিকারিক দপ্তর সূত্রে খবর, এর আগে প্রথম দফায় বিএলও-রা মাথাপিছু ২০০০ টাকা করে পেয়েছিলেন। দ্বিতীয় দফায় তাঁরা ৩৫০০ থেকে ৪০০০ টাকা পাবেন। বিএলও সুপারভাইজারদের মাথাপিছু দেওয়া হবে ৮০০০ টাকা।
জানা যাচ্ছে, বাংলায় ভোটার তালিকার বিশেষ নিবিড় সংশোধনের কারণে খসড়া তালিকা থেকে বাদ পড়তে চলেছে ৫৪ লক্ষ ৮৬ হাজার ৬৭২ জন ভোটারের নাম। এর মধ্যে মৃত ২৩ লক্ষ ৯৮ হাজার ৩৪৫ এবং ডুপ্লিকেট ১,৩২,২১৫ জন। নিখোঁজের সংখ্যা প্রায় ১১ লক্ষ। এদিন রাজ্যের বিভিন্ন যৌনপল্লি, বৃদ্ধাশ্রম, বিশেষভাবে সক্ষমদের হোম ও বিধবা কেন্দ্রের বাসিন্দাদের কাছে ফর্ম পৌঁছে দিতে জেলা প্রশাসনকে নির্দেশ দিয়েছে কমিশন।
