shono
Advertisement

অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে বন্যা থেকে কলকাতাকে বাঁচাতে শুরু বিশেষ প্রস্তুতি

কী কী পদক্ষেপ করছে পুরসভা।
Posted: 08:41 PM Jun 08, 2021Updated: 08:41 PM Jun 08, 2021

কৃষ্ণকুমার দাস: পনেরো দিনের ব্যবধানে ভরা কোটালের বান আসবে কলকাতার (Kolkata) গঙ্গায়। ভরা বর্ষার মরশুমে ওই বানের ধাক্কায় জোয়ারের সময় মহানগরের অনেক নিচু এলাকা জলে ভেসে বিপুল ক্ষয়ক্ষতি হতে পারে বলে পূর্বভাস। বস্তুত গঙ্গার এই জলের দাপটের জেরে ভয়ংকর দুর্যোগ সামাল দিতে আজ, মঙ্গলবার পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক ফিরহাদ হাকিমের (Firhad Hakim) ডাকে জরুরি বৈঠকে বসছেন পুরসভার বিভিন্ন দপ্তরের শীর্ষ কর্তারা।

Advertisement

নবান্ন সূত্রে খবর, আগামী ১১ ও ২৬ জুন ওই বিশাল বান (Flood) আসবে গঙ্গায়। তখন দক্ষিণ কলকাতার কালিঘাট মন্দির সংলগ্ন এলাকা, চেতলা লকগেট, খিদিরপুরের বেশ কিছু নিচু এলাকায় জল ডুবে কার্যত প্লাবনের সৃষ্টি করে। উত্তর কলকাতার গঙ্গাতীরবর্তী নানা জোনেও গঙ্গার জল ঢুকে পড়ে। বস্তুত বানের জলের ধাক্কায় সেই প্লাবন থেকে তিলোত্তমাকে বাঁচাতে যুদ্ধকালীন প্রস্তুতি শুরু করে দিয়েছে পুরসভা। অতীত অভিজ্ঞতা থেকে শিক্ষা নিয়ে পুরসভা ওই এলাকার বাসিন্দাদের তাই দু’দিন আগেই শহরের নিরাপদ আস্তানায় সরিয়ে নেবে।

[আরও পড়ুন: ‘আগে গোষ্ঠীদ্বন্দ্ব সামলান তার পর তৃণমূলের সঙ্গে লড়বেন’, বিজেপিকে বার্তা অভিষেকের]

গত এক বছরে শহরে ভারী বর্ষায় জমা জলের জেরে পুরসভার (KMC) ল্যাম্পপোষ্ট এবং মিটার বক্স থেকে বিদ্য়ুৎস্পৃষ্ট হয়ে একাধিক মৃত্যু হওয়ায় বিশেষ সতর্ক পুরসভা। এবার তাই এমাসের ওই দু’দিন ফের বিদ্য়ুৎস্পৃষ্ট হওয়ার ঘটনা রুখতে বাড়তি নজর দেওয়ার জন্য আলো বিভাগকে নির্দেশ দেওয়া হয়েছে।

পুরসভার মুখ্যপ্রশাসক জানিয়েছেন, “আগে থেকেই গঙ্গায় এমন জলোচ্ছ্বাস এলে উদ্ধার ও নিকাশি বিভাগের বিশেষ পরিকল্পনা চূড়ান্ত করা আছে। এবার বিশেষ জোর দেওয়া হচ্ছে বানের ধাক্কায় বিপন্ন এলাকার বাসিন্দাদের আগেই নিরাপদ স্থানে সরিয়ে থাকা ও খাওয়ার ব্যবস্থা করায়।”

[আরও পড়ুন: আপার প্রাইমারিতে শিক্ষক নিয়োগ নিয়ে টানাপোড়েন, অনলাইনে ইন্টারভিউ নেওয়ার দাবি প্রার্থীদের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement