shono
Advertisement
Haridevpur woman murder

জাল আধার দেখিয়ে ঘরভাড়া, হরিদেবপুরের মহিলা 'খুনে'র নেপথ্যে একাধিক সম্পর্কের টানাপোড়েন?

স্বামী বলে যাকে পরিচয় দিয়েছিলেন, সেই ব্যক্তিকে ঘিরেও রহস্য তৈরি হয়েছে।
Published By: Subhankar PatraPosted: 08:54 AM Jan 25, 2025Updated: 09:00 AM Jan 25, 2025

স্টাফ রিপোর্টার: হরিদেবপুর মহিলা খুনের ঘটনায় রহস্য আরও বাড়ছে। নাম ভাঁড়িয়ে থাকছিলেন ওই মহিলা। মলিনা দাস নামে ডায়মন্ড পার্কে ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন ছায়া সর্দার। সোমবার বাপের বাড়ি থেকে কাজের নাম করে বের হন ওই মহিলা। তারপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি। বুধবার ডায়মন্ড পার্কে ভাড়া ঘরে এসে ওঠেন। জাল আধার দিয়ে ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন। স্বামী বলে যাকে পরিচয় দিয়ে ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন তাঁকে নিয়েও রহস্য তৈরি হয়েছে। খুনের পর ওই ব্যক্তিও পলাতক।

Advertisement

বৃহস্পতিবার হরিদেবপুর থানা এলাকায় ডায়মন্ড পার্কে একটি ভাড়াবাড়ি থেকে মলিনা দাস নামে এক মহিলার নলিকাটা দেহ উদ্ধার ঘিরে চাঞ্চল্য ছড়ায়। ওই মহিলাকে হাত পা বেঁধে গলার নলি কেটে খুন করা হয়। বুধবারই ওই ভাড়া বাড়িতে এসে ওঠেন মহিলা। তারপরের দিন বাড়িওয়ালা ভাড়া চাইতে এসে মহিলার রক্তাক্ত দেহ দেখতে পান। বাড়িওয়ালা জানিয়েছেন, স্বামী-স্ত্রী থাকবে বলে বাড়ি ভাড়া দিয়েছিলাম। স্বামীর নাম কার্তিক বলে জানিয়েছিলেন। তদন্তে নেমে পুলিশ জানতে পারে, মহিলা যে আধারকার্ড দিয়ে ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন সেটি ভুয়ো। ওই মহিলার আসল নাম ছায়া সর্দার। ভুয়ো পরিচয় দিয়ে কেন ওই মহিলা ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন তা নিয়েই সন্দেহ বাড়ছে।

ওই মহিলা বিবাহিত ছিলেন। তাঁর তিন সন্তান রয়েছে। তবে স্বামীর অত্যাচারে সন্তানদের নিয়ে শীলপাড়া জেমস লং সরণি এলাকায় বাপের বাড়িতে এসে ওঠেন। গত বছর ধরে সেখানেই থাকছিলেন। আয়া সেন্টারে কাজ করে সংসার চালাতেন। মৃতের মা জানিয়েছেন, "১৪ বছর আগে মেয়ের বিয়ে হয় কার্তিকের সঙ্গে। তিন সন্তান রয়েছে। কিন্তু জামাই খুব মারধর করত বলে তিন সন্তানকে নিয়ে আমার কাছে চলে আসে। নয় মাস ধরে এখানেই থাকছিল। সোমবার কাজে যায়। তারপর ফেরেনি। থানায় মেয়ের নিখোঁজ ডায়েরিও করা হয়েছিল। বৃহস্পতিবার শুনি ওর দেহ উদ্ধার হয়েছে।"

এদিকে মেয়ের খুনের পিছনে তৃতীয় ব্যক্তির জড়িয়ে থাকার ইঙ্গিত দিয়েছেন মৃতের পরিবারই। মৃতার মা জানান, আয়া সেন্টারে কাজের সূত্রে মেয়ের সঙ্গে এক ব্যক্তির বন্ধুত্ব গড়ে ওঠে। ওই ব্যক্তির সঙ্গে হয়তো মেয়ে গিয়েছিল। পুলিশেরও অনুমান, খুনের পিছনে তৃতীয় ব্যক্তির যোগ থাকতে পারে। স্বামী কার্তিকের সঙ্গে যদি ঘর ভাড়া নিয়ে থাকতেন তাহলে ভুয়া নাম-পরিচয় কেন ব্যবহার করা হল? মৃতার স্বামীরও খোঁজ করছে পুলিশ।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • হরিদেবপুর মহিলা খুনের ঘটনায় রহস্য আরও বাড়ছে। নাম ভাঁড়িয়ে থাকছিলেন ওই মহিলা।
  • মলিনা দাস নামে ডায়মন্ড পার্কে ঘর ভাড়া নিয়েছিলেন ছায়া সর্দার।
  • সোমবার বাপের বাড়ি থেকে কাজের নাম করে বের হন ওই মহিলা। তারপর থেকে নিখোঁজ ছিলেন তিনি।
Advertisement