নব্যেন্দু হাজরা: আগামী ১০ ডিসেম্বর থেকে সরে যাচ্ছে ধর্মতলার শতাব্দীপ্রাচীন 'এল ২০ বাসস্ট্যান্ড'। জোকা-এসপ্ল্যানেড মেট্রোপথে এসপ্ল্যানেড স্টেশন তৈরির জন্য এই বাসস্ট্যান্ড সরিয়ে নিয়ে যাওয়া হচ্ছে। যাত্রীরা ধর্মতলার এই বাসস্ট্যান্ড থেকে আর বাস ধরতে পারবেন না। তাঁদের যেতে হবে ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর এসপ্ল্যানেড স্টেশনের কাছে।
'এল ২০' স্ট্যান্ডের নাম হয়েছে 'এসপ্ল্যানেড বাস স্ট্যান্ড অফ স্টেট গভর্নমেন্ট বাস'। আলোয় সেজে উঠেছে নয়া স্ট্যান্ড। আগামী ১০ তারিখ প্রথম ধাপে ডব্লুবিটিসি, এনবিএসটিসি-র বাসগুলো সরে যাবে এখান থেকে। দ্বিতীয় ধাপে সরানো হবে এসবিএসটিসির বাসগুলো। ইতিমধ্যেই সেজে উঠেছে নতুন বাসস্ট্যান্ড। যাত্রীদের জন্য ওয়েটিং রুম থেকে ফুড কোর্ট, শৌচাগার, শেড, এসি কাউন্টার সবই তৈরি হয়ে গিয়েছে। এখন শুধু 'এল ২০' স্থানান্তরিত হওয়ার অপেক্ষা। তার তোড়জোড়ও চলছে জোরকদমে।
ইস্ট-ওয়েস্ট মেট্রোর এসপ্ল্যানেড মেট্রো স্টেশনের গেটের কিছুটা দূরে স্থানান্তরিত হতে চলেছে ১০০ বছরের বেশি পুরনো এই স্ট্যান্ড। প্রশাসন সূত্রে খবর, ৪ হাজার বর্গমিটার জায়গায় নতুন স্ট্যান্ড তৈরি হচ্ছে। ডব্লুবিটিসি, এসবিএসটিসি, এনবিএসটিসি মিলিয়ে দিনে ৩০০-৩৫০টি বাস চলাচল করে এই টার্মিনাস থেকে। রোজ হাজার হাজার মানুষ আসেন বাস ধরতে। তাঁদের আগামী দিনে নয়া স্ট্যান্ড থেকে বাস ধরতে হবে। বিধান মার্কেট এবং 'এল-২০' বাসস্ট্যান্ডের এলাকায় মেট্রোর কাজ চলবে। সেই কারণেই এই দুই জায়গা স্থানান্তর করা হবে। এই এলাকায় নিউ গড়িয়া-দক্ষিণেশ্বর, হাওড়া ময়দান-সেক্টর ফাইভ এবং জোকা-এসপ্ল্যানেড তিন মেট্রো মিলিত হবে। তিন তলা স্টেশন হবে। যাত্রীরা এক মেট্রো থেকে নেমে অন্য মেট্রোয় উঠতে পারবেন। ফলে চলবে বিরাট কর্মকাণ্ড। আর সে কারণেই সরে যাচ্ছে এই বাসস্ট্যান্ড।
তবে এই এলাকা থেকে বেসরকারি বাসের স্ট্যান্ড কবে সরবে, তা এখনও ঠিক হয়নি। পরিবহণ দপ্তরের এক আধিকারিকের কথায়, "ইতিমধ্যেই নতুন বাসস্ট্যান্ড তৈরি হয়ে গিয়েছে। নতুন নামকরণও হয়েছে। এখন ধীরে ধীরে বাসগুলো স্থানান্তরের অপেক্ষা।" শুধু এই বাসস্ট্যান্ডই নয়, সরিয়ে ফেলা হবে বিধান মার্কেটও। রানি রাসমণি অ্যাভিনিউ ও সিধু কানহু ডহরের মাঝামাঝি জায়গায় নির্মাণ হচ্ছে বিধান মার্কেটের দোকানঘর। দোতলা বিল্ডিং তৈরি করা হবে বলে জানানো হয়েছে। সেখানে শুধু দোকানঘর নয়, ফুড কোর্ট, পার্কিং লট, শৌচাগারও থাকবে বলে জানানো হয়েছে। নয়া বাসস্ট্যান্ড তৈরির যাবতীয় খরচ বহন করছে মেট্রো কর্তৃপক্ষ।
