shono
Advertisement

উপসর্গহীন করোনা রোগী দ্রুত শনাক্তকরণ, তিনটি পৃথক রুটে পরীক্ষা কলকাতা পুরসভার

‘টেস্টিং, ট্রেসিং, ট্রিটমেন্ট’ বা 3T ফর্মুলা মেনে পরীক্ষায় আরও গতি আনা হচ্ছে। The post উপসর্গহীন করোনা রোগী দ্রুত শনাক্তকরণ, তিনটি পৃথক রুটে পরীক্ষা কলকাতা পুরসভার appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 10:06 PM Aug 11, 2020Updated: 10:09 PM Aug 11, 2020

কৃষ্ণকুমার দাস: মুখ্যমন্ত্রীর ঘোষিত ‘টেস্টিং, ট্রেসিং, ট্রিটমেন্ট’ বা 3T ফর্মুলা আরও দ্রুত কার্যকর করতে একই সঙ্গে তিনটি পৃথক রুটে করোনার পরীক্ষা-পরিষেবা চালু করছে কলকাতা পুরসভা। ভ্রাম্যমাণ টেস্টিং সেন্টার হিসাবে ৯ টি অ্যাম্বুল্যান্সে যেমন লালারস সংগ্রহ করা হচ্ছে, তা চলবে। এছাড়া প্রতিদিন ওয়ার্ডে শিবির করে ICMR’এর কিট দিয়ে অ্যান্টিজেন টেস্ট এবং RT-PCR’এর জন্য লালারস বা নাসিকা রস সংগ্রহ করবে পুরসভার বিশেষ প্রশিক্ষিত টিম। এছাড়াও পুরসভার ১৬টি বরোতে পৃথকভাবে নির্দিষ্ট সেন্টার থাকছে, যেখানে প্রতিদিনই করোনা পরীক্ষার জন্য লালারস বা নাসিকা রস সংগ্রহ করা হবে।

Advertisement

করোনা সংক্রমণ রুখতে প্রয়োজন আরও বেশি করে এবং দ্রুতহারে উপসর্গহীন রোগী শনাক্তকরণ। তাই প্রতিটি বরোতে প্রতিদিন এই তিন রুটেই পরীক্ষা পদ্ধতি চলবে বলে মঙ্গলবার জানিয়েছেন পুরসভার স্বাস্থ্য বিষয়ক প্রশাসক অতীন ঘোষ। কারণ, যত বেশি শনাক্ত করা যাবে, তত দ্রুত করোনা সংক্রমণকে নিয়ন্ত্রণ করা সম্ভব হবে। সংক্রমিতদের চিহ্নিত করে আইসোলেশনে বা হাসপাতালে পাঠানো সহজ হবে পুরসভার পক্ষে।

[আরও পড়ুন: সংক্রমণ রুখতে নয়া পদক্ষেপ, নবান্ন থেকে সরানো হচ্ছে মুখ্যমন্ত্রীর দপ্তর]
             

এতদিন ধরে অ্যান্টিজেন বা RT-PCR পরীক্ষা শিবির করতে গিয়ে বিভিন্ন ওয়ার্ডে ক্লাব বা বিয়েবাড়িতে ব্যবস্থা করেছিলেন বিদায়ী কাউন্সিলররা। বাস্তব তথ্য হল, যখনই কোনও শিবিরে পাঁচ বা সাতজন করোনা পজিটিভ রোগী ধরা পড়ছে, তখনই ICMR’এর গাইডলাইন মেনে ওই ক্লাব বা বিয়েবাড়ি ৭ দিনের জন্য বন্ধ রাখা হচ্ছে। কারণ ওই পজিটিভ ধরা পড়া রোগীরা যেহেতু ওই ক্লাবে বা বাড়িতে এসে দীর্ঘক্ষণ ছিলেন। তাই কোভিডের জীবাণু ছড়িয়ে থাকতে পারে। তাই পুরসভার কোভিড মোকাবিলা কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত হয়েছে, এবার থেকে শুধুমাত্র পুরসভা বা সরকারি বাড়িতে একমাত্র করোনার পরীক্ষা শিবির হবে।

[আরও পড়ুন: ইতিহাসে প্রথমবার, করোনার জেরে দীর্ঘদিনের রীতিতে ছেদ শোভাবাজার রাজবাড়ির দুর্গাপুজোয়]

উত্তর কলকাতার পাতিপুকুরে অন্যতম বৃহৎ পাইকারি মাছ বাজারে করোনার অ্যান্টিজেন পরীক্ষায় ৬০ জনের মধ্যে পাঁচজনেরই করোনা রিপোর্ট পজিটিভ। তাৎপর্যপূর্ণ বিষয় হল, এই পাঁচজনের মধ্যে তিনজনই আবার উপসর্গহীন, চারজন মাছ বিক্রেতা। শিবিরের উদ্যোক্তা তথা পুরসভার কোভিড কমিটির উপদেষ্টা ডাঃ শান্তনু সেন জানান, “মার্কেট থেকে ভাইরাস সংক্রমিত হয় বলে আগেই বন্ধ করা হয়েছিল এই পাতিপুকুর মাছবাজার। শিবিরের রিপোর্ট পুরসভায় পাঠানো হচ্ছে, ফের বাজার বন্ধ করা হবে কি না, তা দেখার জন্য।” 

The post উপসর্গহীন করোনা রোগী দ্রুত শনাক্তকরণ, তিনটি পৃথক রুটে পরীক্ষা কলকাতা পুরসভার appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement