shono
Advertisement

অনলাইন গেমে কোটি কোটি টাকা ‘প্রতারণা’, গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেপ্তার গার্ডেনরিচের আমির খান

কলকাতা পুলিশ গাজিয়াবাদ থেকে ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে।
Posted: 11:04 AM Sep 24, 2022Updated: 11:04 AM Sep 24, 2022

অর্ণব আইচ: বাড়ি থেকে বান্ডিল বান্ডিল টাকার নোট উদ্ধার হয় সপ্তাহদুয়েক আগে। তারপর থেকে একাধিক জায়গায় গা ঢাকা দিয়েও হল না শেষরক্ষা। অবশেষে গাজিয়াবাদ থেকে গ্রেপ্তার গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খান। অনলাইন গেম প্রতারণার অভিযোগে ওই ব্যবসায়ীকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। ট্রানজিট রিমান্ডে কলকাতার নিয়ে আসার কথা রয়েছে তাকে।

Advertisement

গত ১০ সেপ্টেম্বর সাতসকালে গার্ডেনরিচের শাহি আস্তাবল রোডের বাসিন্দা ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়িতে হানা দেন ইডি আধিকারিকরা। বেশ কিছুক্ষণ তল্লাশির পর তদন্তকারীদের হাতে আসে বান্ডিল বান্ডিল টাকার নোট। ওইদিন বিকেল পাঁচটা নাগাদ গোনা টাকা সাড়ে আট কোটি পৌঁছয়। এসঅ‌্যান্ডআইবি’র পার্সেল ভ্যান তলব করা হয়। দশটি ট্রাঙ্ক নিয়ে ভ‌্যান আসে। সন্ধে সাড়ে সাতটার পর জানা যায়, টাকার পরিমাণ ১৭ কোটিতে গিয়ে ঠেকেছে। রাত ৯টা নাগাদ নোট গণনা শেষ হয়। জানা যায় মোট অর্থের পরিমাণ ১৭ কোটি ৩২ লক্ষ।

তারপর থেকে কার্যত ‘নিখোঁজ’ হয়ে যায় আমির খান। হন্যে হয়ে তার খোঁজখবর শুরু করে পুলিশ। সপ্তাহদুয়েক পর মিলল সাফল্য। গাজিয়াবাদ থেকে তাকে গ্রেপ্তার করে কলকাতা পুলিশ। ট্রানজিট রিমান্ডে তাকে কলকাতায় নিয়ে আসা হবে। এই প্রতারণা চক্রের সঙ্গে আর কে কে জড়িত, তা খতিয়ে দেখা হচ্ছে। অভিযুক্তকে জেরা করে সমস্ত তথ্য পাওয়া যাবেই মনে করছেন তদন্তকারীরা।

[আরও পড়ুন: নিজেদের দাবিতে এখনও অনড় কুড়মিরা, অবরোধে বাতিল বহু ট্রেন, মালগাড়িতে পচছে শাকসবজি]

প্রতারণার ফাঁদ পাতা হয়েছিল কীভাবে? গোয়েন্দা সূত্রে খবর, মোবাইল গেমিং অ্যাপের মারফত মোটা রোজগারের টোপ দিয়ে শিকার ধরা হয়। প্রথম ধাপে অত্যন্ত সহজ কিছু প্রশ্ন বা ধাঁধা, যার সমাধান করলেই বড় অঙ্কের ইনাম। স্বাভাবিক ভাবেই ছেলেমেয়েরা আকৃষ্ট হয়ে ফাঁদে পা দেয়। এরপর অ্যাপের তরফে হাজার পাঁচেক টাকা জেতার লোভ দেখানো হয়। কিছু টাকা খুব সহজে জিতে অনেকে টোপ গিলে পরের ধাপে পা বাড়ায় ও সর্বস্বান্ত হয়। অ্যাপের তরফে জানানো হয়, গোড়ায় বেশি টাকা খাটালে পরে আয় আরও বাড়বে। শিকার লোভে পড়ে মোটা টাকা দিয়ে দিলেই কেল্লা ফতে! স্বয়ংক্রিয়ভাবে অ্যাপ ডিঅ্যাক্টিভেটেড হয়ে যায়, খিলাড়ির আর তাতে ঢোকার পথ থাকে না। তার টাকা হস্তগত করে অ‌্যাপওয়ালা নাগালের বাইরে।

ইডি সূত্রের দাবি, গোটা দেশজুড়ে এই প্রতারণার জাল ছড়ানো। এবং সেই পথে অর্জিত টাকাই গার্ডেনরিচের ব্যবসায়ী আমির খানের বাড়িতে জমা হয়েছে। গোয়েন্দাদের প্রাথমিক অনুমান, টাকাগুলো আস্তে আস্তে অন‌্যত্র সরানো বা বিনিয়োগের পরিকল্পনা ছিল। ইডি সূত্রে খবর, মোবাইল গেমিং অ‌্যাপের সিঁদকাঠিতে বাজার থেকে প্রায় ৫০ কোটি টাকা তোলা হয়েছে।

[আরও পড়ুন: আগামী ডিসেম্বরের মধ্যেই প্রাথমিক টেট, অ্যাডহক কমিটির বৈঠকে সিদ্ধান্ত]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement