shono
Advertisement

ডাস্টবিন না রাখলে ফুটপাথে খাবারের ব্যবসা করা যাবে না, জানিয়ে দিলেন ফিরহাদ

কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে একথা জানান মেয়র।
Posted: 05:53 PM Jun 19, 2022Updated: 05:53 PM Jun 19, 2022

স্টাফ রিপোর্টার: ডাস্টবিন (Dustbin) না রাখলে ফুটপাথে খাবারের ব‌্যবসা করা যাবে না। শনিবার কলকাতা পুরসভার মাসিক অধিবেশনে মেয়র ফিরহাদ হাকিম (Firhad Hakim) একথা জানিয়েছেন। এদিন মেয়র বলেন, “ফুটপাথে খাবার বিক্রেতারা আর্বজনা সব রাস্তায় ফেলছেন। এতে শহর নোংরা হচ্ছে। আবর্জনা এসে নিকাশিনালার মুখ বন্ধ করে দিচ্ছে। যদি কোনও বিক্রেতা ডাস্টবিন ব‌্যবহার না করেন তাহলে তাঁকে ফুটপাথে ব‌্যবসা করতে দেওয়া হবে না।”

Advertisement

 

ওয়ার্ডে আলোর ব‌্যবস্থা না করা হলেও সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হবে। এদিন বাম কাউন্সিলর নন্দিতা রায় সাপ্লিমেন্টারি প্রশ্নে বলেন, ওয়ার্ডের জন‌্য বাতি চেয়েছিলাম কিন্তু স্টোরে নেই বলে আধিকারিক বাতি দেননি। এ প্রসঙ্গে উত্তর দিতে গিয়ে মেয়র বলেন, জনপ্রতিনিধিরা আম খেতে এসেছে, গাছ গুনতে নয়। কাউন্সিলর ওয়ার্ডের জন্য বাতি চাইলে তার ব‌্যবস্থা সংশ্লিষ্ট দপ্তরের আধিকারিককে করতে হবে। যে আধিকারিক বলেছেন তাঁর বিরুদ্ধে লিখিত অভিযোগ জমা দিতে বলেন।

[আরও পড়ুন: সম্পত্তি একা ভোগ করতে চেয়ে দাদা-দিদিকে কুপিয়ে খুনের চেষ্টা! শিয়ালদহে আটক যুবক]

এ বিষয় নিয়ে সাংবাদিক বৈঠকে মেয়র বলেন, ওয়ার্ডের জন‌্য আলো চাইলে যেভাবে হোক আধিকারিককে জোগাড় করতে হবে। স্টোরে না থাকলে মেয়রের কাছে আসবেন। ব‌্যবস্থা না করলে আধিকারিককে সাসপেন্ড করা হবে। পাশাপাশি তিনি জানান, বাতি লাগানোর জন‌্য যে সংস্থাকে দায়িত্ব দেওয়া হয়েছে তাকে পাঁচ বছরের বাতিগুলি রক্ষণাবেক্ষণের দায়িত্বও দেওয়া হয়েছে। কোনও বাতি খারাপ হলে ওই সংস্থা পরিবর্তন করে দেবে।

রবিবার পোলিও ডে। ১৫ নম্বর বরোতে বিশেষ পোলিও অভিযান চালাবে পুরসভা। পাশাপাশি যাঁরা এখনও বুস্টার ডোজ নেননি তাঁদের বাড়িতে গিয়ে নাম ও ফোন নম্বর নিয়ে এসে স্বাস্থ‌্যকর্মীরা ফোন করছেন বলে ডেপুটি মেয়র অতীন ঘোষ জানিয়েছেন। এদিন ‘টক টু মেয়র’ও ছিল। ফুটপাথে গাছ ভেঙে পড়া নিয়ে মেয়রের দাবি, কংক্রিটের বেড়ি দিলে গাছগুলি ভাঙে না। কিন্তু পরিবেশবিদদের আপত্তিতে কংক্রিটের বেড়ি দেওয়া যাচ্ছে না।

অধিবেশনে নেওয়া সিদ্ধান্ত – 
প্লাস্টিক সরিয়ে হকারদের টিনের ছাউনি দেওয়া হবে। প্রয়োজনে ছাতা।
নাগরিক পরিষেবার কাজে স্বচ্ছতা আনতে ১০০ দিনের কর্মীদের সচিত্র পরিচয়পত্র দেওয়া হবে।
বিল্ডিং ভাঙার কাজে এবার থেকে জিও ট‌্যাগিং করবে পুরসভা।
পুরসভার পাইপলাইন থেকে পাম্প লাগিয়ে জলচুরি রুখতে এবার কলকাতা পুলিশকে সঙ্গে নিয়ে অভিযান চালাবে।
বাড়ির প্ল্যান অনুমোদনের পর থেকে নির্মাণকারীর নামে সম্পত্তিকর নথিভুক্ত করা হবে।
১০৬ নম্বর ওয়ার্ডে মাতঙ্গিনী হাসপাতালে অতিরিক্ত জমিতে বুস্টার পাম্পিং স্টেশন ও মেডিক্যাল সেন্টার গড়তে রাজ‌্য ভূমি দফতরে প্রস্তাব পাঠানো হচ্ছে।

[আরও পড়ুন: খেলতে যেতে হবে না, পড়তে বস! মায়ের বকুনির পরই অভিমানে আত্মঘাতী ইঞ্জিনিয়ারিং পড়ুয়া]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement