স্টাফ রিপোর্টার: প্লাজমা দানে সেঞ্চুরি করল কলকাতা পুলিশ (Kolkata Police)। এখনও পর্যন্ত ১০২ জনকে প্লাজমা দিয়েছেন কলকাতা পুলিশের কর্মী ও আধিকারিকরা। লালবাজারের কর্তাদের দাবি, পুলিশের দান করা প্লাজমায় মৃত্যুর মুখ থেকে ফিরে এসেছেন করোনায় আক্রান্ত বহু রোগী।
এখন কলকাতা পুলিশে করোনা সংক্রমণের গ্রাফ নিম্নমুখী। বর্তমানে কলকাতা পুলিশে করোনা আক্রান্তের সংখ্যা ৩ হাজার ৩৫০ জনেরও কম। প্রত্যেকদিন গড়ে পাঁচজনের বেশি পুলিশকর্মী ও আধিকারিক করোনায় আক্রান্ত হচ্ছেন না। লালবাজারের এক আধিকারিক জানান, তাঁরা কলকাতা পুলিশের কর্মীদের নাম করোনার টিকাকরণের জন্য পাঠিয়েছেন। স্বাস্থ্যকর্মীদের পর পুলিশকর্মীরা এই ভ্যাকসিন পেতে পারেন। টিকাকরণের অপেক্ষায় রয়েছেন তাঁরা।
লালবাজারের এক কর্তা জানিয়েছেন, করোনায় আক্রান্ত পুলিশকর্মীদের মধ্যে কোভিডের (COVID-19) অ্যান্টিবডি তৈরি হয়েছে। তাই তাঁদের প্লাজমায় (Plasma) করোনায় আক্রান্ত রোগীরা সুস্থ হয়ে উঠতে পারেন বলে জানানো হয়েছিল। প্রথমে কয়েকটি থানার করোনাজয়ী পুলিশ অফিসার ও ওসি-রাও বিভিন্ন হাসপাতালে গিয়ে প্লাজমা দান করেন। এর পর থেকে বিভিন্নভাবে পুলিশের কাছে প্লাজমা দানের জন্য আবেদন আসতে থাকে। বিশেষ করে সোশ্যাল মিডিয়ায় মুমূর্ষু করোনা রোগীদের বাঁচানোর জন্য আবেদন করতে থাকেন তাঁদের প্রিয়জনেরা।
পুলিশের এক আধিকারিক জানিয়েছেন, প্রত্যেকটি আবেদনে পুলিশের পক্ষ থেকে সাড়া মেলে। এমনকী, করোনাজয়ী যে পুলিশকর্মী ও আধিকারিকরা প্লাজমা দান করতে পারেন, তাঁদের নামের তালিকাও তৈরি করতে শুরু করে লালবাজার। সেইমতো কোনও আবেদন এলেই প্লাজমা দান করতে ছুটে যান কলকাতা পুলিশের কর্মী ও আধিকারিকরা।
এই মাসের দ্বিতীয় সপ্তাহেই প্লাজমাদাতা পুলিশের সংখ্যা একশো ছাড়ায়। মঙ্গলবার পর্যন্ত ১০২ জন পুলিশকর্মী প্লাজমা দান করে প্রাণ বাঁচিয়েছেন করোনা আক্রান্তদের। পুলিশের এক কর্তা জানিয়েছেন, প্লাজমা দানের জন্য পুলিশকর্মীরা তৈরি আছেন। কোনও করোনা রোগীর আত্মীয় বা পরিজন আবেদন করলেই সঙ্গে সঙ্গে সেই হাসপাতালে ছুটে যাবেন পুলিশকর্মীরা।