shono
Advertisement

‘আমি দলের অনুগত সৈনিক’, ‘শাস্তি’প্রসঙ্গে মন্তব্য কুণাল ঘোষের

সূত্রের দাবি, কুণাল ঘোষকে ১৪ দিনের জন্য 'সেন্সর' করেছে তৃণমূল কংগ্রেস।
Posted: 12:13 PM Aug 07, 2022Updated: 04:15 PM Aug 07, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: তিনি তৃণমূল কংগ্রেসের অনুগত সৈনিক। এবং অনুগত সৈনিকের মতোই দলের নির্দেশ মেনে চলবেন। ১৪ দিনের ‘সেন্সর’ প্রসঙ্গে নিজের অবস্থান জানিয়ে দিলেন কুণাল ঘোষ (Kunal Ghosh)।

Advertisement

তৃণমূল সূত্রের দাবি, রাজ্যের প্রাক্তন মন্ত্রী পার্থ চট্টোপাধ্যায়কে (Partha Chatterjee) লাগাতার আক্রমণ করার জেরে দলের অন্দরে শাস্তির মুখে পড়েছেন কুণাল। ১৪ দিনের জন্য তাঁকে পার্থ সংক্রান্ত কোনও বিষয় বা দলের অবস্থান নিয়ে মন্তব্য করতে নিষেধ করেছে শীর্ষ নেতৃত্ব। সেই ‘শাস্তি’ প্রসঙ্গে প্রশ্ন করা হলে কুণালবাবু এদিন জানিয়ে দেন,”আমি তৃণমূলের কঠিন দিনের সৈনিক। আমি ছিলাম, আছি, আমি তৃণমূলের (TMC) সৈনিক থাকব। দল করতে গেলে বহু সময় দলের নানা বক্তব্য মানতে হয়। আর আমি আগাগোড়া বোরোলিন নিয়ে চলি। জীবনের ওঠাপড়া আমার গায়ে লাগে না।” এদিন আরও একবার তিনি জানিয়ে দেন, “পার্থ চট্টোপাধ্যায় সম্পর্কে আর কোনও মন্তব্য করব না। আমি দলের শৃঙ্খলাবদ্ধ সৈনিক। যখন যেখানে দল যা বলবে, আমি মেনে চলব।”

 

[আরও পড়ুন: প্রেসিডেন্সি জেলে খাট পেলেন পার্থ, মেঝেতে শুয়েই রাত কাটল অর্পিতার]

কুণালের বার্তা, “আমি তৃণমূল কংগ্রেসটা মন থেকে করি। মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে (Mamata Banerjee) শ্রদ্ধা করি। অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়কে শুধু নেতা ভাবি না। মন থেকে ভালবাসি। আমার যতক্ষণ মন সায় দেবে, আমি তৃণমূলের কর্মী-সৈনিক ছিলাম, আছি, থাকব। তাতে কে কী বলল, আমার কিছু যায় আসে না। আবারও বলছি আমি বোরোলিনে বিশ্বাস করি, জীবনের ওঠাপড়ায় কিছু যায় আসে না।” এদিনের সাংবাদিক বৈঠকে কুণাল ঘোষকে অনেকটাই অভিমানী মনে হয়েছে। অন্যদিন যে কুণাল সাংবাদিকদের সব প্রশ্নের সপাট জবাব দেন, এদিন সেই কুণালই অনেক প্রশ্নে কৌশলে পাশ কাটিয়ে গিয়েছেন।

[আরও পড়ুন: বাহিনীর জওয়ানদের মানসিক পরিস্থিতির কাউন্সেলিং করাক কেন্দ্র, পরামর্শ বিজেপি বিধায়কেরই]

যদিও মমতা এবং অভিষেকের (Abhishek Banerjee) প্রতি যে তাঁর শ্রদ্ধা এবং ভালবাসা রয়েছে সেটাও স্পষ্ট করে দিয়েছেন তিনি। বিরোধীরা যে মোদি-মমতার সেটিং তত্ত্ব আওড়াচ্ছে, তারও তীব্র প্রতিবাদ করেছেন কুণাল। তাঁর দাবি, কার্যত অস্তিত্বহীন বিরোধী শিবির ভিত্তিহীন অভিযোগ তুলছে। অন্য রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও প্রধানমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করেন। অন্য বিরোধী শাসিত রাজ্যের মুখ্যমন্ত্রীরাও মোদির সঙ্গে দেখা করেন। তখন তো সেটিং তত্ত্ব আসে না। তাছাড়া মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় তো বলে বলে বিজেপিকে হারাচ্ছেন, সেটিং তত্ত্ব আসছে কোথা থেকে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement