shono
Advertisement

আসন বণ্টন নিয়ে প্রথমবার বৈঠকে বসছে বাম-কংগ্রেস, তিন জেলা নিয়ে দড়ি টানাটানি

গতবারের তুলনায় বামেদের কাছে আরও বেশি আসন চাওয়ার সিদ্ধান্ত কংগ্রেসের।
Posted: 09:37 PM Jan 16, 2021Updated: 09:38 PM Jan 16, 2021

বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: আসন্ন বিধানসভা ভোটে (West Bengal Assembly Elections) তৃণমূল ও বিজেপি বিরোধিতায় হাতে হাত ধরে লড়ছে বাম-কংগ্রেস (Left Congress)। জোটে সিলমোহর পড়ার পর এখনও আসন বণ্টন নিয়ে আলোচনায় বসেনি দুই দল। তার আগেই জট পাকছিল। এবার জোটের জটিলতা আরও বাড়ল। পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ ও মালদহে বেশি আসন দাবি করার সিদ্ধান্ত নিল প্রদেশ কংগ্রেস। সেক্ষেত্রে বামেদের কাছ থেকে ১৪০ থেকে ১৪৫ টি আসন চাওয়া হবে। দাবি না মানলে কংগ্রেস তার নিজের মতো করে প্রার্থী দেবে বলে সিদ্ধান্ত নিল প্রদেশ নির্বাচন কমিটি। কংগ্রেসের এই সিদ্ধান্তে বাম-কংগ্রেসের প্রথম বৈঠকের আগেই জটিলতা তৈরি হল বলে মনে করা হচ্ছে।

Advertisement

জেলাগুলি থেকে ঠিকমতো রিপোর্ট আসছিল না। তাই এতদিন আসনরফা নিয়ে বামেদের সঙ্গে আলোচনার টেবিলে বসতে পারেনি না বিধানভবন। বেশিরভাগ জেলা থেকে রিপোর্ট পাওয়ার পর শনিবারই বৈঠকে বসে প্রদেশ নির্বাচন কমিটি। অধীর চৌধুরী ছাড়াও ছিলেন বিরোধী দলনেতা আবদুল মান্নান, দুই সাংসদ আবু হাসেম খান চৌধুরী ও প্রদীপ ভট্টাচার্য।

[আরও পড়ুন: ‘দিদি আমাদের বাঁচান’, মুখ্যমন্ত্রীকে রক্ত দিয়ে চিঠি লিখলেন পার্শ্বশিক্ষকরা]

রবিবার বেলা ১১টায় প্রথমবার বামেদের সঙ্গে একই টেবিলে আসন সমঝোতা নিয়ে আলোচনায় বসবে কংগ্রেস নেতৃত্ব। তার আগে কোন পথে দর কষাকষি করা হবে, তা নিয়ে নিজেদের মধ্যে কথা বলে নেন প্রদেশ নেতারা। বিধান ভবন সূত্রে খবর,কংগ্রেসের শক্ত ঘাঁটি তিন জেলা – পুরুলিয়া, মুর্শিদাবাদ ও মালদহের যে আসনগুলি দলের পক্ষে ইতিবাচক, সেগুলি কোনওভাবেই বামেদের ছাড়া হবে না। বামেরা তাদের দাবি না মানলে সেক্ষেত্রে কংগ্রেস ওইসব আসনে বন্ধুত্বপূর্ণ লড়াইয়ের প্রস্তাব দেবে।

[আরও পড়ুন: বারবার টিকিট কাটার ঝক্কি থেকে রেহাই! সরকারি বাস-ট্রাম-লঞ্চের জন্য এবার একটাই পাস]

গত বিধানসভা ভোটে কংগ্রেস বিরানব্বইটি আসনে লড়াই করে। এবার দরকষাকষির সময় আরও বেশি আসন দাবি করার সিদ্ধান্ত নিয়েছেন অধীর চৌধুরীরা। অন্যদিকে, কংগ্রেসকে কোনওভাবেই একশোর বেশি আসন ছাড়া হবে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছে বাম শিবির। তাদের বরাদ্দ একটি আসনও কংগ্রেসকে ছাড়বে না বলে সিদ্ধান্ত নিয়েছেন বাম শরিকরা। এই পরিস্থিতিতে কোন পথে জোটের জট কাটে, সেদিকে তাকিয়ে রাজনৈতিক মহল। কারণ, দর কষাকষি করতে গিয়ে যদি কোনওভাবে জোট ভেঙে যায়, তাহলে রাজনৈতিক সমীকরণ অন্য খাতে বইতে শুরু করবে বলে মনে করা হচ্ছে।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement