অর্ণব আইচ: গোর্কি সদনে (Gorky Sadan) শুটআউটের ঘটনায় গ্রেপ্তার মূল অভিযুক্ত। বিশাল সর্দার নামে ওই অভিযুক্তকে ভবানীপুরের প্রিয়নাথ মল্লিক রোড থেকে গ্রেপ্তার করা হয়। পুলিশ সূত্রে খবর, ধৃত যুবক ওই ব্যবসায়ীকে লক্ষ্য করে গুলি চালায়। ধৃতের বিরুদ্ধে ভারতীয় দণ্ডবিধির ৩৪১, ৩২৩, ৩০৭ এবং ৩৪ ধারায় মামলা রুজু হয়েছে। এই ঘটনায় এখনও পর্যন্ত মোট দু’জনকে গ্রেপ্তার করা হয়েছে।
গত রবিবার রাত এগারোটার পর মল্লিকবাজারে বন্ধুর বাড়ি থেকে গাড়ি নিয়ে বের হন ব্যবসায়ী পঙ্কজ সিং। হাওড়ার গোলাবাড়ির বাসিন্দা ও খিদিরপুরের কাপড়ের ব্যবসায়ী পঙ্কজ নিজেই স্টিয়ারিংয়ে ছিলেন। গাড়িতে ছিলেন দুই বন্ধু বিবেক সিং ও কুশল জয়সওয়াল। এজেসি বোস রোড ধরে পঙ্কজ খিদিরপুরের দিকে যাচ্ছিলেন। পঙ্কজের গাড়ির সামনে পড়ে যায় গণেশ পুজোর বিসর্জনের ওই গাড়ি ও বাইক আরোহীরা। পঙ্কজ সিং ওই বাইক ও মালবাহী গাড়িটি কাটিয়ে এগিয়ে যাওয়ার চেষ্টা করেন। পঙ্কজ সিংয়ের গাড়ি তাদের যাতায়াতে বাধা দিচ্ছে, এই অভিযোগ তুলে বাইক ও স্কুটিতে করে আসা কয়েকজন যুবক ঘিরে ধরে।
[আরও পড়ুন: কবি সুভাষ অবধি যাবে না সব মেট্রো, বুধবার থেকেই কার্যকর নয়া নিয়ম]
রনিত ওরফে বংগি ছিল স্কুটিতে। গাড়ি থেকে নেমে আসেন পঙ্কজ ও তাঁর বন্ধুরা। যুবকদের সঙ্গে তাঁর বচসা হয়। সেসময় ওই যুবকরা মদ্যপান করে ছিল বলে অভিযোগ। তারা সকলেই পঙ্কজকে গালিগালাজ করে। বাকবিতণ্ডার সময় পঙ্কজ রনিতকে চড় মারেন। সে চিৎকার করে তার অন্য বন্ধুদের ডাকে। পঙ্কজের গাড়ি ঘিরে ধরে অন্য বাইক আরোহীরা। বচসার মধ্যেই মূল অভিযুক্ত পিছন থেকে গুলি চালায়। পঙ্কজ সিংয়ের কাঁধে গুলি লাগে। গুলিবিদ্ধ ও রক্তাক্ত অবস্থায় পঙ্কজ গাড়িতে উঠে পড়েন। বন্ধু কুশল নিজেই গাড়ি চালিয়ে পঙ্কজকে বেসরকারি হাসপাতালে নিয়ে যান। তাঁর কাঁধে অস্ত্রোপচার করে গুলি বের করেন চিকিৎসকরা। বুলেটটি দেশি আগ্নেয়াস্ত্রর বলে দাবি পুলিশের। এই ঘটনায় বিশাল, রিকি, অভিজিৎ, সোনু-সহ আরও কয়েকজনের নাম উঠে এসেছে। এরা সকলেই ক্লাব সদস্য বলে খবর।
এই ঘটনায় রনিত গুপ্তা ওরফে বংগিকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার দুপুরে হাজরা রোড ও শরৎ বোস রোডের সংযোগস্থল থেকেই তাকে গ্রেপ্তার করা হয়। অভিযুক্ত রনিত পেশায় খাবার সরবরাহকারী সংস্থার ডেলিভারি বয়। তাকে জেরা করেই পুলিশ এই ঘটনায় শুটারের খোঁজ পাওয়া যায়। এরপর রাতে বিশাল সর্দারকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ।