সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বিষাক্ত স্যালাইন কাণ্ডে তোলপাড় বাংলা। এই পরিস্থিতিতে মেদিনীপুর মেডিক্যালে মৃত প্রসূতির পরিবারকে পাঁচ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য দেওয়ার কথা ঘোষণা করলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। পরিবারের এক সদস্যকে দেওয়া হবে চাকরি।
ঘটনার সূত্রপাত গত ৮ জানুয়ারি। ওইদিন রাতে মেদিনীপুর মেডিক্যালে পাঁচ প্রসূতির সি সেকশনের ঘটনায় যত বিপত্তি। মৃত্যু হয় প্রসূতি মামণি রুইদাসের। সদ্যোজাত পুত্রসন্তানকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। তবে দুদিন পরই ফের তাকে হাসপাতালে ভর্তি করতে হয়। জণ্ডিসের উপসর্গ ছিল তার। মাতৃমা বিভাগের শিশু ওয়ার্ডে ভর্তি ছিল সে। পরবর্তীতে তাকে ছুটি দিয়ে দেওয়া হয়। পাঁচ প্রসূতির অসুস্থতাকে কেন্দ্র করেই ওঠে বিষাক্ত স্যালাইন দেওয়ার অভিযোগ। অবস্থার অবনতি হওয়ায় তিন প্রসূতিকে গ্রিন করিডর করে পাঠানো হয় কলকাতায়। এখানেই চলছে চিকিৎসা। এসবের মাঝে বৃহস্পতিবার মৃত্যু হয়েছে অসুস্থ রেখা দাসের সদ্যোজাত সন্তানের। এদিনই নবান্ন থেকে মেদিনীপুর কাণ্ডে ঘটনার সময় কর্তব্যরত চিকিৎসকদের একহাত নিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সাফ বললেন, চিকিৎসকরা দায়িত্ব পালন করলে এই পরিস্থিতি হত না।
এদিন নবান্ন থেকেই মামণি রুইদাসের মৃত্যুতে দুঃখপ্রকাশ করেন মুখ্যমন্ত্রী। জানান, মৃতার পরিবারকে এককালীন ৫ লক্ষ টাকা আর্থিক সাহায্য করা হবে। এছাড়া পরিবারের এক সদস্যকে দেওয়া হবে চাকরি। এদিন তিনি আরও বলেন, স্যালাইন কাণ্ডে স্বাস্থ্যদপ্তর ও সিআইডির জোড়া তদন্তের প্রাথমিক রিপোর্টে চিকিৎসকদের গাফিলতি প্রমাণিত হয়েছে। সেই কারণে হাসপাতালের সুপার-সহ জুনিয়র এবং সিনিয়র মিলিয়ে মোট ১২ চিকিৎসককে সাসপেন্ড করেছে রাজ্য। সাসপেন্ড হওয়া ডাক্তারদের বিরুদ্ধে সিআইডি তদন্ত চলবে।