shono
Advertisement

Manik Bhattacharya: ‘দিল্লিতে আছি’, সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচ হাতিয়ার করে সিবিআই হাজিরা এড়ালেন মানিক

বুধবার সুপ্রিম কোর্টে মানিকের রক্ষাকবচ মামলার শুনানি।
Posted: 11:32 AM Sep 28, 2022Updated: 11:35 AM Sep 28, 2022

অর্ণব আইচ: সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচই আপাতত হাতিয়ার মানিক ভট্টাচার্যের (Manik Bhattacharya)। আর সেই ঢালকে কাজে লাগিয়েই কলকাতা হাই কোর্টের নির্দেশের পরেও সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিলেন না প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের অপসারিত সভাপতি। সিবিআই সূত্রে খবর, মঙ্গলবার রাত ৮টা ১৫ মিনিট নাগাদ সিবিআই দপ্তরে পৌঁছন তাঁর আইনজীবীরা। সঙ্গে ছিল দু’পাতার চিঠি। ওই চিঠিতে সুপ্রিম কোর্টের রক্ষাকবচের কথা উল্লেখ করা হয়েছে। এছাড়া বলা হয়েছে, সুপ্রিম কোর্টে মামলার শুনানি রয়েছে বুধবার দুপুর ২টোয়। তাই আপাতত দিল্লিতেই রয়েছেন তিনি। আর সে কারণে সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দেওয়া তাঁর পক্ষে সম্ভব নয়।

Advertisement

মঙ্গলবারই এফআইআর দায়ের করে ওএমআর শিট সংক্রান্ত মামলায় সিবিআইকে তদন্ত শুরু করার নির্দেশ দেয় কলকাতা হাই কোর্ট। তদন্তের সাপেক্ষে প্রাথমিক শিক্ষা পর্ষদের প্রাক্তন সভাপতি মানিক ভট্টাচার্যকে জিজ্ঞাসাবাদ করার কথা ছিল কেন্দ্রীয় তদন্তকারী সংস্থার। মানিককে আদালত নির্দেশ দেয়, ওইদিন রাত ৮টার মধ্যে সিবিআই দপ্তরে হাজিরা দিতে হবে তাঁকে। সিবিআইকে তদন্তে সবরকমের সহযোগিতা করার কথাও বলা হয়। তিনি যদি সহযোগিতা না করেন, প্রয়োজনে তাঁকে হেফাজতে নিয়েও জিজ্ঞাসাবাদ এবং তাঁর বিরুদ্ধে সবরকম পদক্ষেপ নেওয়ারও অনুমতি দেন বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়। এমনকী নথি নষ্টে বরাতপ্রাপ্ত সংস্থার ভূমিকাও খতিয়ে দেখতে সিবিআইকে নির্দেশ দেয় আদালত। ১ নভেম্বর পরবর্তী শুনানিতে এনিয়ে হাই কোর্টে রিপোর্ট দেবে সিবিআই।

[আরও পড়ুন: ‘তৃণমূলের সবাই চোর নয়, ভালরা যোগাযোগ করছেন’, দাবি বিজেপি নেতা মিঠুন চক্রবর্তীর]

তবে আদালতের নির্দেশের নির্ধারিত সময় পেরিয়ে গেলেও সিবিআই দপ্তরে হাজির হননি মানিক ভট্টাচার্য। অন্যদিকে, হাই কোর্টের নির্দেশে অ্যাসিস্ট্যান্ট কমিশনার (হাই কোর্ট) সিবিআইয়ের দপ্তরে হাজিরা দেওয়ার নোটিস নিয়ে মানিক ভট্টাচার্যের যাদবপুরের বাড়িতে যান। তাঁর সঙ্গে ছিলেন যাদবপুর থানার পাঁচ জন আধিকারিক ও পুলিশকর্মী।

জানা গিয়েছে, মানিকবাবুর পরিবারের লোকেরা ওই পুলিশকর্তাকে জানিয়ে দেন, এদিন সকাল সাড়ে সাতটা নাগাদ তিনি বাড়ি থেকে বেরিয়ে গিয়েছেন। কিন্তু কোথায় গিয়েছেন, বাড়ির লোকেরা তা জানেন না। সেটা দিল্লি বা এই রাজ্য অথবা কলকাতার কোথাও হতে পারে। পুলিশের পক্ষ থেকে মানিক ভট্টাচার্যর সঙ্গে মোবাইলেও যোগাযোগ করার চেষ্টা হয়। কিন্তু দেখা যায়, তাঁর মোবাইল সুইচড অফ। পরে যাদবপুর থানায় গিয়ে জেনারেল ডায়েরি করে কলকাতা পুলিশের তরফে এসি (হাই কোর্ট) জানান, তাঁরা মানিকবাবুর সন্ধান পাননি। সেই তথ্য হাই কোর্টকে জানানো হতে পারে বলে জানায় পুলিশ।

[আরও পড়ুন: ‘বড্ড তাড়াহুড়োয় করা নাকি?’, প্রয়াত মন্ত্রী সুব্রত মুখোপাধ্যায়ের মূর্তি পছন্দ হল না মুখ্যমন্ত্রীর]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement