বিধান নস্কর: কেউ থাকতেন ১০ বছর ধরে, আবার কেউ কেউ ২০ বছর ধরেও বসবাস করতেন। কিন্তু এসআইআর প্রক্রিয়া ঘোষণা হতেই রাতারাতি ফাঁকা দমদমের সাঁপুই পাড়া। স্থানীয় বাসিন্দাদের দাবি, রাত নামতেই রীতিমতো ঘর বন্ধ রেখে পালাচ্ছেন বাসিন্দারা। গতমাসের শেষে বাংলা-সহ দেশের একাধিক রাজ্যে এসআইআর প্রক্রিয়া ঘোষণা করে নির্বাচন কমিশন। এনমুরেশন ফর্ম নিয়ে বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন বিএলওরা। এর মধ্যেই আতঙ্কে রাতের অন্ধকারে বহু এলাকা থেকে মানুষজন শহর ছেড়ে নাকি চলে যাচ্ছে। সেই চিত্রের অন্যথা হল না দমদম সাঁপুই পাড়া।
দমদমের সাঁপুই পাড়া কলোনিতে প্রায় ৭০টিরও বেশি ঘর রয়েছে। কয়েকশ মানুষের বসবাস। অভিযোগ, এসআইআর অর্থাৎ বিশেষ নিবিড় সংশোধনের প্রক্রিয়া শুরু হতেই ওই কলোনির অন্তত ১০টি ঘরের বাসিন্দারা এলাকা ছেড়ে পালিয়েছে। এমনকী রাতের অন্ধকার সবার চোখ এড়িয়েই চলে গিয়েছে বলে দাবি। তবে কোথায় গিয়েছে তা জানেন না বলেই দাবি স্থানীয়দের। বহু বছর ধরেই দমদমের সাঁপুই পাড়া কলোনিতে বসবাস রেশমা বিবির। তিনি জানান, ''এসআইআর ঘোষণা হতেই ১০ টি ঘরের বাসিন্দারা চলে গেছে। কেউ থাকতেন পাঁচ বছর আবার কেউ দশ বছর।'' এমনকী ২০ বছর ধরেও রয়েছেন এমন মানুষজন রাতের অন্ধকারে কলোনি ছেড়ে চলে গিয়েছে বলে দাবি রেশমা বিবির। তবে কে কোথায় গিয়েছে তা জানেন না বলেই জানান। তবে রেশমা বলেন, এসআইআর প্রক্রিয়া ঘোষণা হওয়ার পর থেকেই আতঙ্কে ছিলেন। দেশ ছেড়ে চলে যেতে হবে বলে আতঙ্ক ছিল। সেই কারণেই এমন অবস্থা বলেও জানিয়েছেন স্থানীয় ওই বাসিন্দা।
বন্ধ অবস্থায় রয়েছে বাড়ি।
বলে রাখা প্রয়োজন, বছর ঘুরলেই বাংলায় বিধানসভা নির্বাচন। তার আগেই বাংলায় শুরু হয়েছে এসআইআর অর্থাৎ বিশেষ নিবিড় সংশোধন প্রক্রিয়া। বাড়ি বাড়ি যাচ্ছেন বিএলওরা। ভোটার তালিকা খতিয়ে দেখার কাজ চলছে। যদিও এসআইআর নিয়ে মানুষ আতঙ্কে রয়েছে, এ কথা বারবার বলেছে তৃণমূল। বৈধ ভোটারের নাম বাদ যেতে পারে এমন আশঙ্কাও প্রকাশ করা হয়েছে। এরমধ্যেই রাতের অন্ধকারে যেভাবে দমদমের সাঁপুই পাড়া কলোনির বাসিন্দারা ঘর ছেড়ে চলে যাচ্ছেন যা খুবই গুরুত্বপূর্ণ।
