shono
Advertisement

মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেই সরে যাবেন, সৌগতর পদত্যাগের পরামর্শের পালটা জহর সরকারের

পার্থ চট্টোপাধ্যায় ও তৃণমূল সম্পর্কে মন্তব্য করে বিতর্কে রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার।
Posted: 10:28 AM Aug 31, 2022Updated: 10:29 AM Aug 31, 2022

স্টাফ রিপোর্টার: পার্থ চট্টোপাধ্যায় (Partha Chatterjee) ও তৃণমূলের সমালোচনা করে বিতর্কে জড়িয়েছেন তৃণমূলের রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার। তাঁকে ‘স্বার্থপর’ তকমা দিয়েছেন সাংসদ সৌগত রায়। পদ ছেড়ে দেওয়ার পরামর্শও দিয়েছেন। এ প্রসঙ্গে এবার মুখ খুললেন জহর সরকার। বললেন, মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বললেই পদ ছাড়বেন তিনি।

Advertisement

সোমবার সংবাদ মাধ‌্যমের সামনে পার্থ-অর্পিতা কাণ্ড নিয়ে দলের পক্ষে অস্বস্তিকর কিছু মন্তব‌্য করেন প্রসারভারতীর প্রাক্তন সিইও জহর সরকার (Jahar Sarkar)। বলেছিলেন, ‘‘যখন টিভিতে দেখলাম বিশ্বাসই করতে পারিনি। কারও বাড়ি থেকে এত টাকা বেরোতে পারে! কল্পনার অতীত। এমন দুর্নীতির সিন টিভিতে কম দেখা যায়। কেমন যেমন গা শিরশির করছে।’’ পাশাপাশি ‘দলের একটা দিক পচে গিয়েছে’ এবং ‘এমন দল নিয়ে ২০২৪-এর লোকসভা নির্বাচনে লড়াই করা যাবে না’ বলেও মন্তব‌্য করেন। যা নিয়ে কোনও প্রতিক্রিয়া জানাননি তৃণমূল কংগ্রেসের মুখপাত্র কুণাল ঘোষ। মঙ্গলবার তৃণমূল ভবনে সাংবাদিকদের প্রশ্নের উত্তরে একই অবস্থানে দাঁড়িয়ে বিষয়টি দলের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটির বিচার্য বিষয় বলে মন্তব‌্য করেছেন কুণাল। তিনি বলেন, ‘‘মাননীয় সাংসদ জহর সরকারের যে বক্তব্য, সে প্রসঙ্গে আমরা কোনও কথা বলছি না। সর্বভারতীয় তৃণমূল কংগ্রেসের শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি বিষয়টি দেখবে। যদি কোনও পদক্ষেপের প্রয়োজন থাকে বা যদি কিছু করার থাকে, তা আলোচনা করে শৃঙ্খলারক্ষা কমিটি করবে। ততক্ষণ সকলকে অনুরোধ করছি যে, এ বিষয়ে কেউ প্রকাশ্যে কোনও মন্তব‌্য করবেন না।’’

[আরও পড়ুন: ‘চার্জশিটে গণ্ডগোল’, অনুপম দত্ত খুনে মূল অভিযুক্তর জামিনে প্রশাসনকে দুষছেন স্ত্রী]

রাজ‌্য তৃণমূল কংগ্রেসের সাধারণ সম্পাদক কুণাল ঘোষ মন্তব‌্য করতে অস্বীকার করলেও জহর সরকারকে তীব্র ভাষায় আক্রমণ করেছেন প্রবীণ তৃণমূল সাংসদ সৌগত রায়। তিনি বলেছেন, “জহর সরকার রাজ্যসভার সাংসদ হওয়ার আগে একদিনের জন্যও তৃণমূলের মিছিলে হাঁটেননি। কোনও স্যাক্রিফাইস নেই। উনি যখন দিল্লিতে সংস্কৃতি মন্ত্রকের সচিব ছিলেন, তৃণমূলের একটা উপকারও করেননি।” জহরের গায়ে ‘স্বার্থপর’ তকমা লাগিয়ে তিনি বলেন, “এঁরা সব আত্মকেন্দ্রিক। নিজেদের স্বার্থে চলেন। সাংসদ হিসাবে যখন তখন প্লেনে যাবেন, মাসে দু’লক্ষ টাকা বেতন পাবেন, আর পার্টির খারাপ সময় এলেই সরে যাবেন!” জহর বলেছিলেন, ‘‘বাড়ির লোকেরা সঙ্গে সঙ্গে বলেছিল, তুমি রাজনীতি ছেড়ে দাও। বন্ধুরা বলছে, তুই এখনও আছিস? এই ধরনের লাঞ্ছনা তো জীবনে কখনওই শুনতে হয়নি।’’ এ প্রসঙ্গে টেনে সৌগতর তোপ, ‘‘ওঁর যদি ভালই না লাগে তবে সাংসদ পদটা ছেড়ে দিন। তাতেও পেনশন পাবেন। তবে এখন যে দু’লক্ষ টাকা বেতন এবং যাতায়াতের খরচ পান সে সব ত্যাগ করুন।’’

সেই প্রসঙ্গেই মুখ খুলেছেন রাজ্যসভার সাংসদ জহর সরকার। তিনি স্পষ্ট ভাষায় জানিয়েছেন, যিনি তাঁকে এই দায়িত্ব দিয়েছিলেন অর্থাৎ মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় যদি তাঁর কথায় ক্ষুব্ধ হয়ে থাকেন. পদত্যাগের কথা বলেন, তাহলে পদ ছেড়ে দেবেন।

[আরও পড়ুন: এবার বোলপুরে অনুব্রত ঘনিষ্ঠ তৃণমূল কাউন্সিলরের বাড়িতে CBI হানা, কেন্দ্রীয় বাহিনী ঘিরল বাড়ি]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement