গৌতম ব্রহ্ম: এবার যেকোনও কাজ পরিদর্শনে যেতে হবে সশরীরে। সরকারি আধিকারিকদের 'ফাঁকিবাজি' রুখতে নয়া পদক্ষেপ রাজ্য সরকারের। একটি নতুন অ্যাপ আনতে চলেছে নবান্ন। অর্থ দপ্তরের তরফে এই মর্মে বিজ্ঞপ্তি জারি করা হয়েছে। এছাড়া একটি হেল্পডেস্কও তৈরি করা হয়েছে। বিভিন্ন ব্লক এবং মহকুমা স্তর থেকে আসা তথ্য রাজ্য প্রশাসনের কাছে পৌঁছে দেবে ওই হেল্পডেস্ক।
ওই অ্য়াপটি চালু করার জন্য প্রথমে বিডিও, মহকুমা শাসক এবং জেলাশাসকদের থেকে বিভিন্ন আধিকারিকের নম্বর নেওয়া হবে। তাঁদের নম্বর অ্যাপে সংযুক্ত করা হবে। এরপর ওই আধিকারিকরা অ্যাপ ব্য়বহার করতে পারবেন। কোনও কাজ সংক্রান্ত রিপোর্ট জমা দিতে ওই অ্যাপ ব্যবহার করতে হবে আধিকারিকদের। ওই অ্যাপেই কাজের ছবিও জমা দিতে হবে। সবশেষে ৬ সংখ্যার ওটিপি দিতে হবে। তবেই আপলোড সংক্রান্ত কাজ সম্পূর্ণ হবে। 'জিও ট্যাগিং'য়ের বন্দোবস্ত থাকায় খুব সহজেই বোঝা যাবে, ঘরে বসে নাকি তিনি সেই জায়গায় গিয়ে আধিকারিক রিপোর্ট জমা দিচ্ছেন। রাস্তা থেকে বিদ্যুৎ, পানীয় জল থেকে নাগরিক পরিষেবা সংক্রান্ত সমস্ত কাজের ক্ষেত্রে এভাবেই তথ্য জানাতে হবে আধিকারিকদের।
সম্প্রতি পানীয় জল সরবরাহে বেনিয়ম নিয়ে বৈঠকে বসেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই সময় বেশ কয়েকজন সরকারি আধিকারিকের কাজ নিয়ে প্রশ্ন তোলেন খোদ প্রশাসনিক প্রধান। পানীয় জল সরবরাহ সংক্রান্ত কাজ খতিয়ে দেখতে প্রয়োজনে সেই জায়গায় সরেজমিনে পরিদর্শনে যাওয়ার কথাও বলেন মুখ্যমন্ত্রী। আর কাজ না করলে সংশ্লিষ্ট আধিকারিকের বিরুদ্ধে যে কড়া ব্যবস্থা নেওয়া হবে, তা-ও জানান তিনি। আর তার পরই সরকারি আধিকারিকদের 'ফাঁকিবাজি' রুখতে অ্যাপের ভাবনাচিন্তা নবান্নের।