shono
Advertisement

নিউটাউন এনকাউন্টার: কার নামে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিল ভুল্লার? মিসিং লিংকের খোঁজে পুলিশ

বাড়ির মালিক ও ব্রোকারের খোঁজে হন্যে পুলিশ।
Posted: 12:54 PM Jun 10, 2021Updated: 01:11 PM Jun 10, 2021

কলহার মুখোপাধ্যায়, বিধাননগর: ভিনরাজ্য থেকে পালিয়ে এসে কীভাবে নিউটাউনের (Newtown Encounter) অভিজাত এলাকায় ফ্ল্যাট ভাড়া নিল ভুল্লাররা? দুষ্কৃতীদের ‘লোকাল মডিউল’ কি যোগাযোগ রাখছিল ওদের সঙ্গে? এবার সেই ‘মিসিং লিংক’ খোঁজার কাজ শুরু করল কলকাতা ও রাজ্য পুলিশ গোয়েন্দরা। বুধবার রাত থেকেই ফ্ল্যাটের মালিকের খোঁজ শুরু হয়েছে। কে বা কাদের মাধ্যমে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিল জয়পাল-জসপ্রীত, তাও খুঁজে দেখা হচ্ছে।

Advertisement

পুলিশ সূত্রে খবর, মে মাসের শেষের দিকে ঝাড়খণ্ডের সীমানা পার করে এ রাজ্যে ঢুকেছিল দুই গ্যাংস্টার। লুধিয়ানায় কুখ্যাত এক অপরাধী ভরত কুমার তাদের জন্য এই রাজ্যের ভুয়ো নম্বর প্লেটের গাড়ির ব্যবস্থা করে দিয়েছিল। সে-ই তাদের কলকাতার বাসিন্দা এক আত্মীয়ের কাছে পাঠায়। ওই আত্মীয়ই সাপুরজিতে ফ্ল্যাট ভাড়ার ব্যবস্থা করে। সেই আত্মীয়কেও পুলিশ খুঁজছে। পুলিশের আরেকটি সূত্রের দাবি, অনলাইন সাইটের মাধ্যমে ফ্ল্যাট ভাড়া নিয়েছিল জয়পাল-জসসি। স্থানীয় এক ব্রোকারের সঙ্গে অনলাইনেই যোগাযোগ হয় তাদের। সেই ব্রোকারের খোঁজে জিজ্ঞাসাবাদ করছে পুলিশ।

[আরও পড়ুন: নিউটাউন এনকাউন্টার: দাউদ হওয়াই স্বপ্ন! বাবার খাকি উরদি পরেই অপরাধে হাতেখড়ি ভুল্লারের]

এদিকে ফ্ল্যাটের মালিকের বাড়ির হদিশ মিলেছে বলে খবর। নিউটাউনের ছাতনা এলাকায় বাড়ি তাঁর। মালিকের সঙ্গে কথা বললে অনেকগুলি বিষয় স্পষ্ট হবে বলে দাবি পুলিশের। তবে এই দুই গ্যাংস্টারের সঙ্গে কোনওদিনই সরাসরি যোগাযোগ হয়নি মালিকের, এমনটাই দাবি পুলিশ সূত্রে। সূত্রের খবর, জনৈক ‘সুমিত কুমার’ নামে ভাড়া নেওয়া হয়েছিল ফ্ল্যাটটি। কে এই ব্যক্তি? জয়পালদের সঙ্গে কীভাবে যুক্ত সে, তাও খতিয়ে দেখা হচ্ছে। ওই আবাসনের বাসিন্দারা জানাচ্ছেন, সুমিতের নামেই পুলিশি ভেরিফিকেশন হয়েছিল ফ্ল্যাটের। কে এই সুমিত কুমার, খোঁজ চালাচ্ছে পুলিশ। 

গত ১০-১২ দিন ধরে নিউটাউনের ওই ফ্ল্যাটে থাকছিল ভুল্লার ও জসসি। তাদের খাবার-সহ নিত্যপ্রয়োজনীয় সামগ্রী সরবরাহ করত কারা? অস্ত্র পাচারের ‘লোকাল মডিউল’র সদস্যরা কি সেগুলি নির্দিষ্ট ফ্ল্যাটে পৌঁছে দিয়ে আসত নাকি অনলাইনে সেসব সামগ্রী আসত? এ বিষয়গুলি খতিয়ে দেখে এবার রহস্যের জাল গুটতে চাইছে পুলিশ। তাঁদের দাবি, স্থানীয় কয়েক জনের সঙ্গে এই দুই গ্যাংস্টারের যোগাযোগ অসম্ভব নয়। এবার সেই সমস্ত মিসিং লিংকের খোঁজেই তল্লাশি শুরু পুলিশের।

[আরও পড়ুন: ‘যশে’ রাজ্যের ক্ষতি ২১ হাজার কোটি টাকা, কেন্দ্রীয় প্রতিনিধি দলকে হিসেব দিল নবান্ন]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement