বুদ্ধদেব সেনগুপ্ত: প্রথমে জোটের বিশ্বাসযোগ্যতা তৈরি, পরে আসনরফা নিয়ে আলোচনা। তাই আগামী ডিসেম্বর মাস জুড়ে হবে যৌথ আন্দোলন। মঙ্গলবার ম্যারাথন বৈঠক শেষে এমনটাই জানাল বাম-কংগ্রেস (CPM-Congress) জোট নেতৃত্ব। আসনরফা নিয়ে আলোচনার দড়ি টানাটানির আগে দু’পক্ষই সলতে পাকাচ্ছে, এমনই ধারণা রাজনৈতিক বিশ্লেষকদের একাংশের।
খেলতে নামার আগে অনুশীলন করতে হয়। তেমনই বাম-কংগ্রেস জোট যৌথ আন্দোলনের মধ্যে দিয়ে ভোটের প্রস্তুতি সারছে। বৈঠক শেষে এই বার্তা দিয়ে গেলেন জোট নেতারা। তবে আসনরফার ফর্মুলা নিয়ে যে জটিলতা তৈরি হতে চলেছে, সেই জট সহজে খুলবে না বলে ধারণা অনেকের। মঙ্গলবারের বৈঠকে মূলত ঠিক হয়েছে, সর্বভারতীয় শ্রমিক সংগঠনগুলি ২৬ নভেম্বর যে সারা ভারত সাধারণ ধর্মঘটের ডাক দিয়েছে, তা সফল করতে দু’পক্ষকেই ঝাঁপাতে হবে। এরপর ডিসেম্বরের ৬, ১০ ও ১৮ তারিখ রাজ্যজুড়ে যৌথ আন্দোলন (Joint Campaign) হবে। ব্লকস্তরে সেই আন্দোলন পৌঁছে দিতে হবে। তারপরে পরিস্থিতি বিচার করে ফের দু’পক্ষ বৈঠকে বসবে বলে সিদ্ধান্ত হয়।
[আরও পড়ুন: অমিত শাহর মন্ত্রেই কাজ, বাম শিবিরে ভাঙন ধরিয়ে বিজেপিতে যোগ দাপুটে CPM কাউন্সিলরের]
জোটের বৈঠকে বসার আগে এদিন নিজেদের মধ্যে একদফা আলোচনা সেরে নেন বামফ্রন্ট নেতৃত্ব। সেখানে ঠিক হয় আসন ফর্মুলা নিয়ে এখনই কংগ্রেসের সঙ্গে আলোচনা শুরু করা হবে না। তবে কংগ্রেসের পক্ষ থেকে যদি কিছু বলা হয়, তবেই বামেদের পক্ষ থেকে জবাব দেওয়া হবে। বছর শেষের আগে আসন ভাগাভাগি নিয়ে বামেরা আলোচনা শুরু করতে রাজি নয় বলে আলিমুদ্দিন সূত্রে খবর।
[আরও পড়ুন: গরু পাচার কাণ্ডে বিএসএফ কমান্ডান্ট সতীশ কুমারকে গ্রেপ্তার করল সিবিআই]
এদিকে AIMIM-এর বিরুদ্ধে তোপ দাগেন প্রদেশ সভাপতি অধীররঞ্জন চৌধুরি। বিজেপির সঙ্গে সখ্যের কারণেই আসাউদ্দিন ওয়াইসির দল। সংখ্যালঘু ভোট কেটে বিজেপিকে সুবিধা পাইয়ে দিতেই তাঁরা এ রাজ্যে ভোটে লড়ার সিদ্ধান্ত নিয়েছে। অমিত শাহর নির্দেশেই মিম-এর এই সিদ্ধান্ত বলে অভিযোগ অধীরের।