সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাঘাযতীন, ট্যাংরা, বাগুইআটি, দক্ষিণ নারায়ণপুরের পর এবার কালিকাপুর। তিলোত্তমার বুকে হেলে পড়েছে আরও একটি বহুতল। একাধিকবার বাসিন্দাদের তরফে প্রোমোটারের সঙ্গে যোগাযোগের চেষ্টা করা হলেও কোনও লাভ হয়নি বলে খবর। এদিকে পুরসভা নোটিস দিয়ে জানিয়েছে, ওই বাড়িতে কোনও কাজ করা যাবে না। স্বাভাবিকভাবেই ঘুম উড়েছে বাসিন্দাদের।
বাঘাযতীন কাণ্ডের পর এক এক করে প্রকাশ্যে এসেছে একাধিক হেলা বহুতল। অনেকক্ষেত্রেই বহুদিন আগেই হেলে গিয়েছে বিল্ডিং, বাসিন্দাদের তরফে প্রোমোটারের সঙ্গে যোগাযোগ করা হলেও কোনও সুরাহা মেলেনি। একই ঘটনার পুনরাবৃ্ত্তি ঘটেছে বাইপাসের ধারের কালিকাপুরে। পাশাপাশি দুটি আবাসন। একটি হেলে পড়েছে পাশেরটির দিকে। যে কোনও মুহূর্তে বিপদের আশঙ্কা থাকছেই। জানা গিয়েছে, আবাসনটির বয়স বেশি নয়। বছর পাঁচেক আগে তৈরি করা হয়েছিল সেটি। তারপর একে একে ফ্ল্যাট বিক্রি হতে থাকে। কেউ চারবছর ধরে রয়েছেন, কেউ আবার ২ বছর।
বাসিন্দারা জানিয়েছেন, মাস আটেক আগে আচমকা তাঁরা দেখেন আবাসনটি একদিকে বসে গিয়ে হেলে পড়েছে। সঙ্গে সঙ্গেই তাঁরা প্রোমোটারকে বিষয়টা জানান। অভিযোগ তাতে কোনও সুরাহা হয়নি। একপর্যায়ে প্রোমোটার ফোন ধরা বন্ধ করে দিয়েছেন। এদিকে পুরসভার তরফে নির্দেশ, ওই বাড়িতে কোনওরকম মেরামতির কাজ করা যাবে না। ফলে ভবিষ্যৎ কী, তা ভেবেই কুলকিনারা পাচ্ছেন না বাসিন্দারা। তাঁদের দাবি, হয় টাকা ফেরত দেওয়া হোক, নয়তো অন্য ঘর। কিন্তু দাবি পূরণ করবে কে? দেখাই তো মিলছে না প্রোমোটারের।