অর্ণব আইচ: বিষ স্যালাইন কাণ্ডে পশ্চিমবঙ্গ ফার্মাসিউটিক্যালসের টেকনিক্যাল ডিরেক্টর মুকুল ঘোষকে সিআইডির তলব। সোমবার হাজিরাও দিয়েছেন মুকুল। তিনিই ওই সংস্থার ওষুধ তৈরির অন্যতম দায়িত্বে ছিলেন মুকুল। এনিয়ে এখনও পর্যন্ত বিষ স্যালাইন তদন্তে মোট ১৩ জনকে জিজ্ঞাবাদ করল সিআইডি।
ইতিমধ্যে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসূতি মৃত্যুতে ‘অভিযুক্ত’ স্যালাইন রিঙ্গার ল্যাকটেটকে ক্লিনচিট দিয়েছে রাজ্য। কলকাতা হাই কোর্টের প্রধান বিচারপতি টি এস শিবজ্ঞানমকে রিপোর্ট দিয়ে ওই স্যালাইন প্রস্তুতকারী সংস্থার সঙ্গে সহমত প্রকাশ করে রাজ্য। জনস্বার্থ মামলায় রাজ্য জানাল, রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইন খারাপ ছিল না। রাজ্যের ল্যাবে পাঠানো স্যালাইনের নমুনায় কোনও সমস্যা দেখা যায়নি।
সূত্রের খবর, রিপোর্টে রাজ্য জানিয়েছে, ঘটনার ৮ এবং ৯ জানুয়ারি রাতে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে কোনও সিনিয়র ফ্যাকাল্টি ছিল না। আরএমও ছিল না। পাঁচটা সি সেকশনে সব জায়গায় সমান নজরদারি করা সম্ভব হয়নি। মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের নির্দেশে নামে সিআইডিও। সিআইডি তদন্ত করছে। সেই সূত্র ধরেই এদিন স্যালাইন প্রস্তুতকারক সংস্থার টেকনিক্যাল ডিরেক্টরকে তলব করল তদন্তকারীরা। ইতিপূর্বে মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে একাধিক ডাক্তারকে জিজ্ঞাসাবাদ করেছিল সিআইডি। এমনকী, মোট ১৩ জন জুনিয়র ও সিনিয়র ডাক্তারকে সাসপেন্ড করে রাজ্য সরকার।