shono
Advertisement

Breaking News

Duttabad

বিডিওর নির্দেশে 'মার', নীলবাতি গাড়িতে দেহ লোপাট! দত্তাবাদে স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে বিস্ফোরক দাবি ২ ধৃতর

অভিযোগ অস্বীকার করেছেন রাজগঞ্জের 'বিতর্কিত' বিডিও। 
Published By: Sayani SenPosted: 05:20 PM Nov 09, 2025Updated: 05:20 PM Nov 09, 2025

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: নিউটাউনের স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে নয়া মোড়। পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে দু'জনে। এই ঘটনার সঙ্গে যে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মন। খুনের দিন ঘটনাস্থলে আরও চারজন ছিল বলেও জানিয়েছে তারা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন 'দাবাং' বিডিও। 

Advertisement

তদন্তকারীরা জানতে পেরেছেন, ঘটনার দিন একটি নীলবাতি গাড়িতে চড়ে দত্তাবাদের ওই সোনার দোকানে আসে তারা। দোকানে বেধড়ক মারধর করা হয় ব্যবসায়ীকে। বেল্ট ও লাঠির ঘায়ে জ্ঞান হারান। বেশ কিছুক্ষণের মধ্যেই স্পষ্ট হয়, মৃত্যু হয়েছে তাঁর। স্বর্ণ ব্যবসায়ীর নিথর দেহ উদ্ধার করে নীলবাতি গাড়িতে তোলা হয়। নিউটাউনের যাত্রাগাছির কাছে খালের ধারে ফেলে দেওয়া হয় দেহটি। অভিযোগ, খুনের পরদিনই শহর ছাড়েন বিডিও প্রশান্ত। ওই নীলবাতি গাড়িতে করে তাঁকে দমদম বিমানবন্দরে পৌঁছে দেয় ধৃত রাজু।

নিহত স্বর্ণ ব্যবসায়ীর পরিবারের লোকজনের দাবি, অপহরণ ও খুনের ঘটনার সঙ্গে প্রত্যক্ষভাবে যুক্ত বিডিও। তাঁদের দাবি, দিনকয়েক আগে বিডিওর বাড়ি থেকে বেশ কিছু সোনার গয়না চুরি যায়। ওই চুরি যাওয়া গয়নাগাটি দত্তাবাদের দোকানে বিক্রি করা হয়েছে বলেই নাকি জানতে পারেন বিডিও। আর সেই সংক্রান্ত খোঁজখবর নিতে দোকানে প্রথমবার আসেন বিডিও। আর পরেবার দোকানে এসে স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে অপহরণ করে বলেই অভিযোগ। তার ঠিক চব্বিশ ঘণ্টা পর খালের পাশ থেকে স্বর্ণ ব্যবসায়ীর দেহ উদ্ধার হয়। এই মৃত্যু খুন ছাড়া আর কিছু নয় বলেই দাবি পরিবারের। যদিও অপহরণ ও খুনের অভিযোগ অস্বীকার করেছেন বিডিও। দাবি, তাঁর কোনও সোনা চুরি যায়নি। অপহরণ-খুন তো দূর অস্ত, স্বর্ণ ব্যবসায়ীকে চেনেন না তিনি। পুলিশ বিষয়টি খতিয়ে দেখছে। তবে যতদিন যাচ্ছে দত্তাবাদে অপহরণ ও খুনের ঘটনা যে ক্রমশ জটিল হচ্ছে, সে বিষয়ে কোনও সন্দেহ নেই।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
  • নিউটাউনের স্বর্ণ ব্যবসায়ী খুনে নয়া মোড়। পুলিশ সূত্রে খবর, খুনের কথা স্বীকার করে নিয়েছে দু'জনে।
  • এই ঘটনার সঙ্গে যে ওতপ্রোতভাবে যুক্ত ছিলেন রাজগঞ্জের বিডিও প্রশান্ত বর্মন।
  • খুনের দিন ঘটনাস্থলে আরও চারজন ছিল বলেও জানিয়েছে তারা। যদিও অভিযোগ অস্বীকার করেছেন 'দাবাং' বিডিও। 
Advertisement