সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বাঘাযতীনের বিদ্যাসাগর কলোনিতে ফ্ল্যাট ভেঙে পড়ার ঘটনার দুদিনের মধ্যে গ্রেপ্তার প্রোমোটার। বৃহস্পতিবার দুপুরে সুন্দরবন জেলা পুলিশের সাহায্যে অভিযান চালিয়ে বকখালি থেকে তাঁকে গ্রেপ্তার করে পুলিশ। মঙ্গলবার বহুতল বিপর্যয়ের পর তিনি বকখালিতে গা ঢাকা দিয়েছিলেন। কিন্তু তাতেও শেষরক্ষা হয়নি। ফ্রেজারগঞ্জ থানার পুলিশের জালে সুভাষ রায় নামে ওই প্রোমোটার।
গ্রেপ্তার বাঘাযতীনের ভেঙে পড়া বহুতলের প্রোমোটার সুভাষ রায়। ছবি: বিশ্বজিৎ নস্কর।
মঙ্গলবার দুপুরে কলকাতা পুরসভার ৯৯ ওয়ার্ডে বাঘাযতীন চত্বরে বিদ্যাসাগরের কলোনির একটি আবাসন হেলে পড়ে। নিচের তলাটি কার্যত চুরমার হয়ে যায়। ঘটনার প্রাথমিক তদন্তে কলকাতা পুরসভা জানায়, অনুমতি ছাড়াই তৈরি হয়েছিল ওই বহুতল। ইতিমধ্যেই প্রোমোটার সুভাষ রায় ও আট বাসিন্দার বিরুদ্ধে এফআইআর দায়ের হয়। তাতে বলা হয়েছে, প্রশাসনকে না জানিয়েই রক্ষণাবেক্ষণের কাজ শুরু করা হয়েছিল। মাটি পরীক্ষা না করে চলছিল ‘হাইড্রলিক জ্যাকিং’। প্রোমোটার সুভাষ রায়ের সংস্থা নাগরা কনস্ট্রাকশন প্রাইভেট লিমিটেড এই কাজ করছিল। মঙ্গলবার রাতেই শুরু হয়েছিল বিল্ডিংটি ভাঙার কাজ।
এই ঘটনার পর থেকে পলাতক ছিলেন প্রোমোটার সুভাষ রায়। পুলিশ তদন্তে নেমে তাঁর খোঁজ করতে গিয়ে দেখে, এলাকাতেই নেই তিনি। মোবাইলে ফোন করলে সুইচড অফ বলা হয়। তবে তাঁর সন্ধানে তল্লাশি জারি রেখেছিল পুলিশ। সূত্রের খবর, বুধবার রাতে একবার মোবাইল ফোন অন করেন সুভাষ রায়। তাতেই তাঁর টাওয়ার লোকেশন জানতে পারেন তদন্তকারীরা। সেই সূত্র জানা যায়, বকখালির এক আবাসিক হোটেলে গা ঢাকা দিয়েছেন সুভাষবাবু। বৃহস্পতিবার সকালে সুন্দরবন জেলা পুলিশের অন্তর্গত ফ্রেজারগঞ্জ থানার পুলিশের সাহায্যে ওই হোটেলে তল্লাশি চালিয়ে শেষপর্যন্ত বাগে আনে সুভাষ রায়কে। তাকে বকখালি থেকে কলকাতায় আনা হচ্ছে।