সুব্রত বিশ্বাস: জুন মাসের মাঝামাঝি থেকে লোকাল ট্রেন (Local trains) চালাতে চায় রেল। এই মর্মে রাজ্যের কাছে ছাড়পত্রের আবেদন জানিয়েছে। পূর্ব রেলের মুখপাত্র একলব্য চক্রবর্তী জানিয়েছেন, ইতিমধ্যে এই আবেদন জানিয়েছেন শিয়ালদহের (Sealdah) ডিআরএম এসপি সিং। তাঁর কথায়, চরম আর্থিক ক্ষতির পাশাপাশি স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনগুলিতে অত্যাধিক ভিড়ের কারণেই লোকাল ট্রেন চালু করার কথা ভাবা হচ্ছে। রাজ্যের অনুমোদন মিললে কঠোর বিধিনিষেধ ওঠার পরপরই চালু হয়ে যেতে পারে লোকাল ট্রেন। তাতে ভিড় সামলানো সহজ হবে বলে মনে করা হচ্ছে।
শিয়ালদহের ডিআরএম জানাচ্ছেন, সীমিত সংখ্যক স্টাফ স্পেশ্যাল ট্রেনে যাত্রীদের ভিড় সামাল দেওয়া যাচ্ছে না। কারণ, সেই সংখ্যা দিনদিন বাড়ছে। কোভিড (COVID-19) বিধিও মানা যাচ্ছে না। রেলকর্মীদের সঙ্গে রোজই বিতণ্ডা হচ্ছে অ-রেলকর্মী যাত্রীদের। এই পরিস্থিতি থেকে বেরিয়ে না এলে যে কোনও সময় বিপত্তি দেখা দেবে। দায় পড়বে রেলের ঘাড়ে। বর্তমানে ৩৪২টির মতো স্টাফ স্পেশ্যাল চলছে সব ডিভিশন মিলিয়ে। শিয়ালদহে যাত্রীর চাপ সবচেয়ে বেশি। ফলে ট্রেন বাড়ানো ছাড়া বিকল্প পথ নেই রেলে কাছে।
[আরও পড়ুন: শেষ হয়নি ‘গুরুপ্রণামে’র পালা, এবার সুখেন্দুশেখর রায়ের বাড়িতে অভিষেক বন্দ্যোপাধ্যায়]
করোনার (Coronavirus) দ্বিতীয় ঢেউয়ের আগে শিয়ালদহে ৮৮২টি লোকাল চালানো হচ্ছিল। এখন সেখানে ১৮০টির মতো। বেশ কিছু বিভাগের কর্মীদের ছাড় দেওয়া হলেও দেখা যাচ্ছে, হাওড়া, শিয়ালদহ বাদে অন্যান্য স্টেশনগুলি দিয়ে রোজই যাতায়াত করছেন একেবারে সাধারণ যাত্রীরা। অনুমতিবিহীন এই যাত্রীদের সংখ্যাও কম নয় বলে মনে করেছে রেল। পূর্ব রেলের আধিকারিকদের মতে, রেল ট্রেন চালাতে সব ধরনের প্রস্তুতি নিয়ে রেখেছে। তবে চলবে কি না, সেই নির্দেশ দেবে রাজ্য।
[আরও পড়ুন: প্রয়াত পার্থ চট্টোপাধ্যায়ের মা, রাজনীতি ভুলে পুরনো ‘বন্ধু’র বাড়িতে রাজীব]
সোমবার যানবাহন চলাচল নিয়ে রাজ্যের তরফে একটি রিভিউ মিটিং হবে। সেখানে রেলকে ছাড় দেওয়ার বিষয়ে কোনও সিদ্ধান্ত নেওয়া হয় কি না, সেদিকে নজর সকলের। লোকাল ট্রেনে সংক্রমণের আশঙ্কা খুবই কম বলে দাবি রেল কর্তাদের। তাদের মতে, একেবারে খোলা পরিবেশে লোকাল চলবে। সেখানে সংক্রমণের আশঙ্কা কম। এদিকে এসি কামরায় সংক্রমণের আশঙ্কা বেশি। তবুও রাজধানী এক্সপ্রেসের মতো ট্রেন চলছে। লোকাল না চলায় দৈনিক শিয়ালদহ ডিভিশনে ক্ষতি কোটি টাকারও বেশি। ডিআরএম এসপি সিংয়ের মতে, এই ক্ষতি পূরণের বিকল্প কিছু নেই। রাজ্যের প্রোটোকল মেনে চলতেই হবে রেলকে। হাওড়ার সিনিয়র ডিসিএম রাজীব রঞ্জনের কথায়, ”আনলক পর্বে গত এপ্রিলের প্রতিদিন হাওড়া ডিভিশনে গড়ে লোকাল থেকে আয় হয়েছে ৫৬ লক্ষ টাকার মতো। যা এখন একেবারেই হচ্ছে না। এই আর্থিক ক্ষতি কোনওভাবে সামলানো সম্ভব হবে না।”