ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: জহর সরকারের ছেড়ে যাওয়া পদে অবশেষে এলেন তৃণমূলের শ্রমিক নেতা ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়। বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতাতেই তিনি রাজ্যসভার সাংসদ হলেন। শুক্রবার তৃণমূলের তরফে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করে এই সুখবর জানানোর পাশাপাশি ঋতব্রতকে শুভেচ্ছা জানানো হয়েছে। বাংলার শাসকদলের মত, জনতার কাজে যেভাবে ঋতব্রত নিজেকে সঁপে দিয়েছেন, তার সুফল পেলেন এবং তাঁর রাজ্যসভায় যাওয়া গণতান্ত্রিক কাঠামোকে আরও মজবুত করবে। আর উচ্ছ্বসিত ঋতব্রত উরুগুয়ের সাংবাদিক-লেখক এডুয়ার্ডো গ্যালিয়ানোর উক্তি উদ্ধৃত করে সোশাল মিডিয়ায় পোস্ট করেছেন, 'ইতিহাস কখনও কাউকে বিদায় বলে না। শুধু বলে, পরে দেখা হবে।'
মাস কয়েক আগে রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ পদ থেকে ইস্তফা দিয়েছেন প্রাক্তন আইএএস জহর সরকার। আর জি করের ঘটনার পরিপ্রেক্ষিতে তিনি রাজ্যসভার সাংসদ পদ ছাড়ার কথা জানান দলনেত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়কে। সেই পদটি ফাঁকা হয়ে যাওয়ায় গুঞ্জন চলছিল, জহর সরকারের জায়গায় কাকে পাঠানো হবে সংসদের উচ্চকক্ষে। গত শনিবার, ৭ ডিসেম্বর সেই জল্পনার অবসান ঘটিয়ে এক্স হ্যান্ডলে রাজ্যসভার প্রার্থী হিসেবে ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়ের নাম ঘোষণা করে রাজ্যের শাসকদল। এই আসনে ঋতব্রতর বিরুদ্ধে আর কেউ মনোনয়ন জমা দেননি। তাই ১৩ ডিসেম্বর, শুক্রবার বিনা প্রতিদ্বন্দ্বিতায় ঋতব্রতকেই জয়ী ঘোষণা করা হল। তিনি হলেন রাজ্যসভার নতুন সাংসদ।
ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায় একসময় বামপন্থী রাজনীতির সঙ্গে যুক্ত ছিলেন। ২০১৪ সালে তাঁকে রাজ্যসভায় পাঠিয়েছিল সিপিএম। কিন্তু দলের শৃঙ্খলাভঙ্গ, বিয়ের প্রতিশ্রুতি দিয়ে সহবাসের মতো গুরুতর অভিযোগে ২০১৭ সালে তাঁকে দল থেকে বহিষ্কার করা হয়। ঋতব্রতর বিরুদ্ধে দলে তদন্তও হয়। সিপিএম থেকে বহিষ্কৃত হয়ে তৃণমূলে যোগ দেন ঋতব্রত। তাঁকে শ্রমিক সংগঠনের দায়িত্ব দেওয়া হয়। আইএনটিটিইউসি-র রাজ্য সভাপতি তিনি। তার পাশাপাশি এবার রাজ্যসভায় তৃণমূলের সাংসদ হলেন ঋতব্রত বন্দ্যোপাধ্যায়।