ধ্রুবজ্যোতি বন্দ্যোপাধ্যায়: ফের চপশিল্প, চোর কটাক্ষে উত্তাল বিধানসভা। মঙ্গলবার বিধানসভায় ফিসকাল ডেফিসিট বা রাজস্ব ঘাটতি সংক্রান্ত বিল আনেন অর্থমন্ত্রী চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। সেই বিলের সমালোচনা করতে গিয়ে ফের চোর কটাক্ষ করেন বিজেপি বিধায়ক অশোক লাহিড়ী। যা নিয়ে বিধানসভার অন্দরে হইচই পড়ে যায়। পালটা দেয় তৃণমূলও।
এদিন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী জানান, ২১-২২ অর্থবর্ষে রাজ্যর ঋণের পরিমাণ ৫ লক্ষ ২৮ হাজার কোটি। বছর শেষে ঋণের পরিমাণ হতে পারে ৫ লক্ষ ৮৬ হাজার কোটি। ২০২২-২৩ অর্থবর্ষে কেন্দ্র ৬১ হাজার ১৮০ কোটি টাকা ঋণ মঞ্জুর করেছে। ২০২২-২৩ আর্থিক বছরের ১০ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত রাজ্য ঋণ নিয়েছে ১৬,৫০০ কোটি।
[আরও পড়ুন: ‘বিচারপতিরা বিচারের ঊর্ধ্বে নন’, বিচারপতি অভিজিৎ গঙ্গোপাধ্যায়ের সাক্ষাৎকার প্রসঙ্গে বিস্ফোরক সৌগত]
অশোক লাহিড়ী রাজ্যকে আক্রমণ শানান। তিনি বলেন, “রাজ্যে যে অবস্থা চলছে, তাতে কিছুদিন পর দেখা যাবে, পেনশন দিতে পারছে না সরকার। এখানে এসে চাকরি চুরির কথা শুনলাম।” চোর কটাক্ষ নিয়ে অর্থনীতির শিক্ষক অশোক বলেন, “আমি বলব আপনারা সবাই চোর নন। মুখ্যমন্ত্রী আমাদের সবাইকে চোর বলেছেন। আমাকেও বলেছেন। আমি তা বলছি না। আপনারা সবাই চোর নন।”
চপশিল্প নিয়েও কটাক্ষ শানায় বিজেপি। এদিন বিধানসভায় অশোক লাহিড়ী বলেন, “আর্থিক সংকট পশ্চিমবঙ্গ সরকারের নয়, রাজ্যের অর্থনীতিরও। চপশিল্প থেকে যদি আর্থিক উন্নয়ন হয় তবে এ থেকে শিক্ষা নেওয়ার কথা ভাবব।” বৈদিক ভিলেজে বিজেপির প্রশিক্ষণ শিবির নিয়ে খোঁচা দেন চন্দ্রিমা ভট্টাচার্য। বলেন, “চপশিল্প বলে ছোট করছেন? আপনাদের মিটিংয়ে বৈদিক ভিলেজে যান। যারা চপ বিক্রি করে তাঁদের এত ছোট করবেন না।” প্রধানমন্ত্রীর চিতা প্রকল্প নিয়েও খোঁচা দেন রাজ্যের অর্থমন্ত্রী। বলেন, “চিতা বাঘের ছবি তুলব আর আত্মনির্ভর ভারতের কথা বলব না, তা তো হয় না। তাও তো শুনলাম নাকি ক্যামেরার লেন্স বন্ধ ছিল।”
[আরও পড়ুন: SSC Scam: ‘নিয়োগ দুর্নীতিতে মুখ্য ভূমিকা ছিল সুবীরেশের’, আদালতে সওয়াল CBI আইনজীবীদের]
এদিন বিধানসভার স্পিকার বিমান বন্দ্যোপাধ্যায় জানান, অশোক লাহিড়ী কাগজ থেকে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ের কিছু উদ্ধৃতি করছেন। সেগুলোর প্রমাণ বিজেপি বিধায়ককেই দিতে হবে। এগুলো বলার অনুমতি নেই বিধানসভায়। এরজন্য কোনও গোলমাল হলে ব্যবস্থা নেওয়া হতে পারে।