বিধান নস্কর, বিধাননগর: বাগুইআটির প্রোমোটারকে মারধরের ঘটনায় আগাম জামিন পেলেন মূল অভিযুক্ত তৃণমূল কাউন্সিলর সমরেশ চক্রবর্তী। বারাসত আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেয়েছেন তিনি। এতদিন তাঁকে পলাতক দেখিয়েছিল পুলিশ। তাঁকে ধরতে না পারায় প্রশ্ন তুলেছেন আক্রান্ত প্রোমোটার কিশোর হালদার।
প্রোমোটারকে মারধরের ঘটনায় আগে গ্রেপ্তার হওয়া রমেন মণ্ডল, শুভেন্দু মণ্ডল ও অমিত দাস এই তিন অভিযুক্ত ১৪ ফেব্রুয়ারি জামিন পান। শনিবার বারাসত আদালতে আত্মসমর্পণ করে জামিন পেলেন পলাতক সুখেন গঙ্গোপাধ্যায়, সৌমেন গঙ্গোপাধ্যায়, সোনু দাস, সমরেশ চক্রবর্তী। এরপর পুলিশের ভূমিকা নিয়ে প্রশ্ন তুলেছেন আক্রান্ত প্রোমোটার। কিশোর হালদার বলেন, "ঘটনায় তিনজনকে গ্রেপ্তার করা হল। তারা জেলে ছিল। অথচ মূল অভিযুক্ত ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সমরেশ চক্রবর্তীকে ধরতে পারল না পুলিশ। আদালতে গিয়ে জামিন পেল পুলিশ কিছুই জানত পারল না? অনেকবার থানায় গিয়েছিলাম। পুলিশ বলেছিল গ্রেপ্তার করা হবে। কিন্তু হল কই।" এই বিষয়ে সমরেশকে যোগাযোগ করা হলে ফোনে পাওয়া যায়নি।
গত বছরের ১৫ ডিসেম্বর বাগুইহাটি রঘুনাথপুরে প্রোমোটার কিশোর হালদারের কাছ থেকে তোলা চেয়ে না পেয়ে মারধরের অভিযোগ ওঠে দুষ্কৃতীদের বিরুদ্ধে। রিভলভারের বাট দিয়ে মেরে তাঁর মাথা ফাটিয়ে দেওয়া হয়েছিল।
ঘটনায় নাম জড়ায় বিধাননগর ৯ নম্বর ওয়ার্ডের কাউন্সিলর সমরেশ চক্রবর্তীর। কিন্তু পলাতক ছিলেন সমরেশ। তাঁর খোঁজে কাউন্সিলরের বাড়ি-সহ বেশ কয়েকটি জায়গায় তল্লাশি চালায় পুলিশ। অবশেষে বাগুইআটি থানার পুলিশের পক্ষ থেকে থানায় দেখা করার কথা জানিয়ে তাঁর বাড়ির দেওয়ালে নোটিস লাগিয়ে দেওয়া হয়।