shono
Advertisement

Anubrata Mandal: চিনার পার্কের ফ্ল্যাট থেকে নিজাম প্যালেসে গেল আলুপোস্ত-মাছের ঝোল, চেটেপুটে খেলেন কেষ্ট

কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের রাডারে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের সংস্থা।
Posted: 09:15 AM Aug 14, 2022Updated: 09:15 AM Aug 14, 2022

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: বৃহস্পতিবার সাতসকালে গ্রেপ্তারি। তারপর থেকে পরপর দু’দিন কেটে গিয়েছে সিবিআই হেফাজতে। মুড়িই ভরসা ছিল গরু পাচার মামলায় ধৃত অনুব্রতর। কারণ, তেলমশলা দেওয়া খাবারে রুচি নেই তাঁর। সূত্র্রের খবর, সিবিআই আধিকারিকদের অনুরোধে শুক্রবার ভাত, ডাল, আলুসেদ্ধ মুখে তুলেছিলেন বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতিকে। তবে শনিবার বাড়ির খাবার পেয়ে বেজায় খুশি বীরভূমের ‘বেতাজ বাদশা’। খেলেন আলুপোস্ত আর মাছের ঝোল।

Advertisement

আপাতত নিজাম প্যালেসে ১৪ তলার বাতানুকূল গেস্ট হাউসেই দিন কাটছে অনুব্রতর। সিবিআই সূত্রে খবর, তাঁর চিনার পার্কের বাড়িতে রান্না করা খাবার শনিবার দুপুরে নিজাম প্যালেসে পাঠানো হয়। আলুপোস্ত, মাছের ঝোল তৃপ্তি করে খান অনুব্রত। তবে সেভাবে হাঁটাচলা করছেন না তৃণমূল নেতা। তার ফলে পা আড়ষ্ট হয়ে রয়েছে। সূত্রের খবর, ওয়াকারে তাঁকে হাঁটানোর ভাবনাচিন্তা চলছে। এছাড়া ফিসচুলার সমস্যাও রয়েছে। রবিবার কম্যান্ড হাসপাতালে ফের স্বাস্থ্যপরীক্ষা করা হবে অনুব্রতর। চিকিৎসকদের সমস্যার কথা বলা হবে। তাঁদের নির্দেশমতো পরবর্তী পদক্ষেপ নেবেন সিবিআই আধিকারিকরা।

[আরও পড়ুন: ‘বদলা’ চান সাংসদ, ‘ধোলাই-পেটাই’য়ের নিদান বিধায়কের, বেফাঁস হুগলির একাধিক TMC নেতা]

এদিকে, কেন্দ্রীয় তদন্তকারীদের রাডারে বীরভূম জেলা তৃণমূল সভাপতি অনুব্রত মণ্ডলের মেয়ের সংস্থা। গরু পাচার কাণ্ডের তদন্ত শুরু করেছে সিবিআই। কেন্দ্রীয় গোয়েন্দাদের দাবি, তদন্ত চলাকালীন অনুব্রতর মেয়ে সুকন্যা মণ্ডলের দু’টি সংস্থার নাম তাঁরা পেয়েছেন, যার নথিতে অন্যতম অংশীদার হিসাবে রয়েছেন অনুব্রত মণ্ডল। এইসব বিষয়গুলি নিয়ে অনুব্রতকে জিজ্ঞাসাবাদ করছেন তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, সুকন্যার নামে থাকা একটি অ্যাগ্রো কেমিক্যাল সংস্থার ২৫ শতাংশ অংশীদার অনুব্রত, ৭৫ শতাংশ সুকন্যার।

অভিযোগ, এই সংস্থার আড়ালে একাধিক রাইস মিলেরও হদিশ মিলেছে। যার মধ্যে ভোলেবোম-সহ তিন থেকে চারটি রাইসমিল রয়েছে। তদন্তকারীরা গোড়া থেকেই অনুমান করছিলেন, গরু পাচারের টাকার বড় অংশ এই ধরনের ব্যবসায় খাটানো হয়েছে অনেক আগেই। যার হদিশও তাঁরা পেয়েছেন বলে দাবি। সূত্রের দাবি, ২০১৭ সালে যখন অনুব্রত মণ্ডলের স্ত্রী ও মেয়ে এই সংস্থার ডিরেক্টর হন, তখন সংস্থার মোট সম্পত্তির পরিমাণ ছিল ৭২ হাজার টাকা। অনুব্রতর কন্যা ও স্ত্রী দায়িত্ব নেওয়ার পর, ২০১৭ থেকে ২০২২ পর্যন্ত সংস্থার উত্তরোত্তর শ্রীবৃদ্ধি হয়েছে, এক-এক বছরে সম্পদ বেড়েছে চার থেকে ছ’কোটি টাকা।

সিবিআই সূত্রের খবর, কোনও অজ্ঞাত উৎস থেকে সংস্থা ঋণ নিয়েছে। এবং সিবিআই তদন্তে দেখেছে, ওই সময়েই সব চেয়ে বেশি গরু পাচার হয়েছে বাংলাদেশে। ২০১৫ থেকে ২০১৭ পর্যন্ত বিএসএফের ৩৬ নম্বর ব্যাটেলিয়নে আধিকারিক হিসাবে ছিলেন সতীশ কুমার। তিনি গ্রেপ্তার ফতার হওয়ার পরে তাঁর বয়ান অনুযায়ী, ২০ হাজার গরু ওই সময়ে পাচার হয়েছিল। পাচার রুটের ‘সেফ জোন’ ছিল বীরভূম। এজন্য এক ডাকসাইটে নেতার কাছেও পৌঁছে যেত প্রণামী।

সতীশ কুমার, এনামুল হক, বিকাশ মিশ্র ও সায়গল হোসেনের লিখিত বয়ানে যেখানে যেখানে অনুব্রতর নাম উঠে এসেছে, সে ব্যাপারে শনিবার তাঁকে জিজ্ঞাসাবাদ করা হয়। সম্পত্তির উৎস, ব্যবসার বিবরণ ও এত বিপুল সম্পত্তি কীসের টাকায় তৈরি হয়েছে, তা জানতে চান তদন্তকারীরা। সূত্রের খবর, সিবিআই জেরার মুখে একইরকমভাবে ‘নীরব’ ছিলেন অনুব্রত। বারবার মেয়ে সুকন্যার সঙ্গে কথা বলতে দেওয়ার অনুরোধ করেছেন দোর্দণ্ডপ্রতাপ তৃণমূল নেতা। যদিও শনিবার আর মেয়ের সঙ্গে ফোনে কথা বলতে দেওয়া হয়নি তাঁকে। শুধুমাত্র আইনজীবীর সঙ্গে কথা বলেছেন অনুব্রত।

[আরও পড়ুন: পা-পিঠে অসহ্য যন্ত্রণা, জেলে গিয়ে পার্থকে ব্যায়ামের পরামর্শ এসএসকেএমের ৮ ডাক্তারের]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement