গোবিন্দ রায়: নিষিদ্ধ হওয়ার পরও রিঙ্গার ল্যাকটেট স্যালাইন কেন ব্যবহার করা হল? মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালে প্রসূতির মৃত্যু এবং সেইসঙ্গে তিন প্রসূতি আশঙ্কাজনক হওয়ার ঘটনায় এই প্রশ্ন তুলে এবার কলকাতা হাই কোর্টে জোড়া জনস্বার্থ মামলা দায়েরের অনুমতি দিলেন প্রধান বিচারপতি। সোমবার সেই মামলা দায়ের করেছেন বিজেপি নেতা কৌস্তভ বাগচী ও বিজয় সিংঘল নামে এক ব্যক্তি। বৃহস্পতিবার হাই কোর্টে প্রথম মামলা হিসেবে শুনানি হওয়ার কথা।
২০২৪ সালের মার্চ মাসে অর্থাৎ প্রায় একবছর আগে কর্ণাটকে এই সংস্থার স্যালাইন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। তারপরও কেন রাজ্যের বিভিন্ন হাসপাতালে তা ব্যবহার করা হচ্ছে? এই প্রশ্ন তুলে সোমবার হাই কোর্টের দ্বারস্থ হন কৌস্তভ বাগচী ও বিজল সিংঘল। তাঁদের আরও দাবি, চলতি মাসে আর জি কর মেডিক্যাল কলেজ হাসপাতালেও তা ব্যবহৃত হয়েছে। এনিয়ে তাঁরা জনস্বার্থ মামলা দায়ের করতে চাইলে প্রধান বিচারপতি টিএস শিবজ্ঞানম অনুমতি দেন বলে জানা গিয়েছে। ফলে এনিয়ে একসঙ্গে দুটি মামলা দায়ের হয়। মামলার গুরুত্বের নিরিখে বৃহস্পতিবার একসঙ্গেই শুনানির সম্ভাবনা।
উল্লেখ্য, মেদিনীপুর মেডিক্যাল কলেজে প্রসব করাতে এসে কেশপুরের মামনি রুইদাস নামে এক মহিলার মৃত্যু হয়। সন্তান জন্মের পর তাঁকে যে স্যালাইন দেওয়া হয়েছিল, তার জেরেই মৃত্যু হয়েছে বলে অভিযোগ তোলে পরিবার। আরও তিন প্রসূতি - মাম্পি, নাসরিন ও মিনারা বিবির শারীরিক অবস্থার চরম অবনতি হওয়ায় গ্রিন করিডর করে মেদিনীপুর থেকে এসএসকেএমে আনা হয়েছে। চিকিৎসার জন্য ৫ সদস্যের বিশেষ মেডিক্যাল বোর্ড তৈরি হয়েছে।
মেদিনীপুর মেডিক্যালের প্রসূতি মাম্পির শারীরিক অবস্থা সংকটজনক হওয়ায় তাঁকে আনা হল এসএসকেএমে। নিজস্ব চিত্র।
এসবের জেরে এই মুহূর্তে রিঙ্গার ল্যাকটেট নামে ওই স্যালাইনই বিতর্কের কেন্দ্রে। স্বাস্থ্যদপ্তরের দাবি, আগেই এই স্যালাইন নিষিদ্ধ করা হয়েছিল। কিন্তু তারপরও কেন বিভিন্ন মেডিক্যাল কলেজে তা ব্যবহার করা হচ্ছে? কেনই বা সকলের চোখের আড়ালে তা উৎপাদন করা হতো? সেসব প্রশ্নের এখন উত্তর অধরা। এনিয়ে নবান্নে আজই রিপোর্ট জমা পড়ার কথা। তার মাঝে আদালতের দোরগোড়ায় পৌঁছে গেল রিঙ্গার ল্যাকটেট মামলা।