অভিরূপ দাস: ৯ টাকায় একটা গোলাপ। ৮ টাকায় একটা কন্ডোম। প্রেমদিবসে গোলাপকে কড়া টক্কর দিল নিরোধ! ভ্যালেন্টাইনস ডে-তে বিক্রিতে কে এগিয়ে, তার চুলচেরা বিশ্লেষণ করতে হলে কপালে ভাঁজ পড়তে বাধ্য। গোলাপ, চকোলেটের মতো ভালোবাসার এই দিনে কন্ডোমের চাহিদা যে বিপুল, তার প্রমাণ অনলাইন সাইটগুলির বিপুল ছাড়। শুধুমাত্র এই দিনের জন্য কোথাও ২০ শতাংশ, তো কোথাও ৫৫ শতাংশ পর্যন্ত ছাড়ে বিক্রি হয়েছে নিরোধ!
একাধিক অনলাইন বিক্রিবাটার সাইটে ভালোবাসার দিনে কন্ডোম বিক্রিতে বিপুল ছাড় দিয়েছিল কোম্পানিগুলি। অনলাইনে তা বিকিয়েছেও দেদার। কেমন ছাড়? পনেরো মিনিটে বাড়িতে মুদিখানার সামগ্রী পৌঁছে দেয় এমন সাইটও মাত্র আট টাকায় এক পিস কন্ডোম বিক্রির বিজ্ঞাপন দিয়েছিল। তা কিনতে রীতিমতো হুড়োহুড়ি পড়ে যায়।
প্রেমদিবসে চাহিদা তুঙ্গে কন্ডোমের।
ভালোবাসার দিন নিয়ে রক্ষণশীলরা যতই নাক কুঁচকাক, তার আবেদন যে নতুন প্রজন্মের কাছে মারাত্মক, তার প্রমাণ এক বাজার চলতি এক অনলাইন সাইটের রাতারাতি থিম বদল। স্রেফ ভ্যালেন্টাইনস ডে-র কথা মাথায় রেখে তারা অনলাইন সাইটের থিমের রং বদলে দেয় রাতারাতি! শুধুমাত্র প্রেমদিবসের জন্য চালু করে ভ্যালেন্টাইনস মোড। হরেক ফ্লেভারের নানান দামের কন্ডোম ছেয়েছিল অনলাইন সাইটগুলো জুড়ে। বছরের অন্যান্য সময় যে দামে নিরোধ বিক্রি হয় তার চেয়ে অনেক কম দামে এইদিন নিরোধ বিক্রি হয়েছে অনলাইনে।
ভ্যানিলা ফ্লেভারের নিরোধ অনলাইন সাইটে দশ পিস বিক্রি হয়েছে মাত্র আশি টাকায়। ন টাকা প্রতি পিস বিক্রি হয়েছে স্ট্রবেরি ফ্লেভার কন্ডোম। যা দেখেশুনে আমজনতা বলছে, বাঙালির ভ্যালেন্টাইনস ডে আক্ষরিক অর্থেই সাবালক। কতটা হয়েছে বিক্রি? তার নিখুঁত হিসেব এখনও আসেনি। তবে বিগত বছরগুলোর হিসেব বলছে, শুধুমাত্র এই একটা দিনে কন্ডোমের বিক্রি ২৫ থেকে ৪০ শতাংশ বৃদ্ধি পায়। বছর দুয়েক আগে ব্লিঙ্কিটের সিইও অলবিন্দার ধিন্দসা জানিয়েছিলেন, প্রেমদিবসে দশ হাজার গোলাপ ফুল, ১২০০ ফুলের তোড়া বিক্রি হয়ে গিয়েছে। ২০২৫-এ সেই সংখ্যা দ্বিগুণ হয়েছে বলেই মনে করছেন বিশেষজ্ঞরা। তবে শুধু গোলাপ বা কন্ডোম নয়, মনের মানুষের জন্য লাল বেলুন, সুগন্ধীতেও ছিল বিশেষ ছাড়। তাও দেদার বিক্রি হয়েছে অনলাইনে-দোকানে।