সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: যিনি রাঁধেন, তিনি চুলও বাঁধেন। এই প্রবাদ যদি সবচেয়ে বেশি কারও ক্ষেত্রে খেটে থাকে তিনি বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। একাধারে তিনি রাজ্যের প্রশাসনিক প্রধান, তৃণমূলের সর্বময় কর্ত্রী, সাতবারের সাংসদ, তিনবারের মুখ্যমন্ত্রী, কবি, সাহিত্যিক, লেখক। ছবিও আঁকেন। খেলার মাঠেও যে তাঁর প্রতিভা কিছু কম নয়, এবার সেটাই প্রকাশ্যে এল।
ভারতীয় ক্রিকেটে ‘সুপারহিটার’ বঙ্গকন্যা রিচা ঘোষ। প্রথম বাঙালি ক্রিকেটার হিসাবে বিশ্বকাপ জিতেছেন তিনি। শনিবার জমকালো অনুষ্ঠানে ইডেনে রিচাকে সংবর্ধনা জানিয়েছে সিএবি। সেই অনুষ্ঠানে উপস্থিত ছিলেন মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়ও। রিচার সেই সংবর্ধনা অনুষ্ঠানে সঞ্চালকের মুখে উঠে এল মমতার ক্রিকেট খেলার পুরনো গল্প। মমতা শুধু খেলেননি, এমনকী ২২ গজে ম্যাচের সেরাও হয়েছিলেন।
সাংসদদের ম্যাচে মমতা। ছবি: সোশাল মিডিয়া।
এমনিতে সংসদে প্রায় প্রতি বছরই নিয়ম করে রাজ্যসভা ও লোকসভার সাংসদদের মধ্যে প্রীতি ম্যাচ হয়। নয়ের দশকে এমনই এক প্রীতি ম্যাচে অংশ নেন তৎকালীন কংগ্রেস সাংসদ মমতা। ম্যাচে ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন অধুনা বাংলার মুখ্যমন্ত্রী। সেই ম্যাচে পুরুষ ও মহিলা সব সাংসদই খেলেন। তাঁদের মধ্যে কারও কারও নিয়মিত ক্রিকেট খেলার অভিজ্ঞতাও ছিল। তাঁদের সবার চেয়ে ভালো পারফর্ম করেন তৃণমূল নেত্রী। নয়ের দশকের সেই ম্যাচে প্রাক্তন কেন্দ্রীয় মন্ত্রী পি আর কুমারমঙ্গলমের নেতৃত্বে লোকসভার টিম মাঠে নেমেছিল রাজ্যসভার সদস্যদের বিরুদ্ধে। লোকসভার সেই টিমের সদস্যা ছিলেন মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়। সেই ম্যাচে লোকসভা হারিয়ে দিয়েছিলেন রাজ্যসভার সদস্যদের। উল্লেখযোগ্য পারফরম্যান্স করে ম্যাচের সেরা হয়েছিলেন বাংলার আজকের মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায়।
আসলে মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় বরাবরই ক্রীড়াপ্রেমী। বাংলার খেলাধুলোর উন্নতিতে নানাভাবে কাজ করছে তাঁর সরকার। ক্রিকেট-ফুটবল তো বটেই অন্য খেলাতেও নজর রয়েছে বাংলার সরকারের। মুখ্যমন্ত্রী নিজেও একাধিক খেলা পছন্দ করেন। অতীতে তাঁকে ব্যাডমিন্টন খেলতে দেখা গিয়েছে সাবলীলভাবে। টেনিস র্যাকেট হাতেও নেমেছেন কোর্টে। কিন্তু ক্রিকেটের ২২ গজেও যে তিনি পারদর্শী সেটা অজানা ছিল অনেকের।
