সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: রাজ্যের সাংবিধানিক প্রধান হওয়ার পর থেকে বাংলার সঙ্গে একাত্ম হওয়ার চেষ্টা করেছেন সিভি আনন্দ বোস। রাজ্যপাল হিসেবে চলতি মাসে তাঁর তৃতীয় বর্ষপূর্তি হচ্ছে। আর সেই উপলক্ষে জনসংযোগে অভিনবত্ব আনতে চলেছে রাজভবন। সূত্রের খবর, এবার রাজভবনেই বসছে বিয়ের আসর। দায়িত্ব নিয়ে ১০০ জন পিছিয়ে পড়া, দুস্থ যুগলের গণবিবাহ দেবেন রাজ্যপাল আনন্দ বোস নিজে। দিনক্ষণও স্থির হয়ে গিয়েছে। রাজ্যপালের অভিভাবকত্বে, তত্ত্বাবধানে বিয়ের জন্য কীভাবে আবেদন জানাতে হবে, তার খুঁটিনাটিও প্রকাশ করা হয়েছে রাজভবনের তরফে।
আগামী ২৩ নভেম্বর বাংলার রাজ্যপাল হিসেবে তিন বছর পূর্ণ করবেন সিভি আনন্দ বোস। ওইদিনই রাজভবনে গণবিবাহের আয়োজন করা হচ্ছে। আগ্রহীরা ১৬ নভেম্বরের মধ্যে আবেদন জানাতে পারবেন। রাজভবন থেকে প্রকাশিত বিজ্ঞপ্তিতে জানা গিয়েছে, আবেদনপত্রে পাত্র-পাত্রীর নাম, অভিভাবকের নাম, ঠিকানা, বয়সের প্রমাণপত্র, আধার কার্ডের নম্বর, পেশা, পরিবারের বাৎসরিক আয় - এসব খুব স্পষ্টভাবে উল্লেখ করতে হবে। সেইসঙ্গে বিয়েতে অভিভাবকদের অনুমতি সম্বলিত স্বাক্ষরও দিতে হবে। বিয়ের রেজিস্ট্রেশন প্রক্রিয়া শুরু হয়ে থাকলে সেই সংক্রান্ত নথিও জমা দিতে হবে আবেদনপত্রের সঙ্গে। এগুলি সবই স্থানীয় কোনও গেজেটেড অফিসারকে দিয়ে সই করাতে হবে। তাহলেই তা গৃহীত হবে।
কোথায়, কীভাবে আবেদন করবেন? ডাকযোগে কিংবা রাজভবনের তরফে দেওয়া বিশেষ ইমেলে পাঠানো যাবে আবেদনপত্র। রাজভবনে সরাসরি গিয়েও আবেদনপত্র জমা দেওয়া যাবে। ইমেলের ঠিকানাগুলি - peaceroomrajbhavan@gmail.com, generalcellgs@gmail.com। আগামী ১৬ নভেম্বরের মধ্যে আবেদন জানাতে হবে। ২৩ নভেম্বর বিয়ের অনুষ্ঠান। রাজভবনে বিয়ের আয়োজন হিসেবে ঠিক কী কী হচ্ছে? জানা যাচ্ছে, ১০০ জন যুগলের বিয়ের অনুষ্ঠানের ব্যয় বহন করবেন রাজ্যপাল। নববিবাহিত দম্পতিকে প্রতীকী উপহার দেওয়া হবে। গণবিবাহে প্রতি পরিবারের সর্বোচ্চ ১০ জন অতিথি উপস্থিত থাকতে পারবেন। রাজভবন সূত্রে আরও খবর, নিজের পেশাগত জীবনে তৃতীয় বর্ষপূর্তিতে জনতার মাঝে কোনও একটা কাজ করতে চাইছিলেন আনন্দ বোস। শেষমেশ গণবিবাহ দেওয়ার সিদ্ধান্তই নিলেন তিনি।
