shono
Advertisement
Calcutta HC

ভোট পরবর্তী অশান্তিতে হাই কোর্টে রিপোর্ট রাজ্য পুলিশের, বাহিনী নিয়ে নয়া নির্দেশ আদালতের

'শিক্ষা সবার আগে, বাহিনীর থাকার জন্য বিকল্প জায়গার সন্ধান করতে হবে', বলেন বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন।
Published By: Sucheta SenguptaPosted: 07:08 PM Jun 18, 2024Updated: 07:08 PM Jun 18, 2024

গোবিন্দ রায়: ভোট পরবর্তী অশান্তির একাধিক অভিযোগ ওঠায় ফলপ্রকাশের পরও কেন্দ্রীয় বাহিনী মোতায়েন রাখার সিদ্ধান্ত নেয় নির্বাচন কমিশন। ১৯ জুন পর্যন্ত রাজ্যের স্পর্শকাতর এলাকায় থাকছেন কেন্দ্রীয় বাহিনীর জওয়ানরা। তাঁদের থাকা নিয়ে বড়সড় নির্দেশ দিল কলকাতা হাই কোর্ট। বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের বেঞ্চের নির্দেশ, যেখানে অশান্তি নেই, সেখান থেকে জওয়ানদের প্রত্যাহার করা হোক। এদিকে নির্বাচন পরবর্তী অশান্তি নিয়ে মঙ্গলবার হাই কোর্টে রিপোর্ট জমা দিয়েছেন রাজ্য পুলিশের ডিজি। তাতে দেখা যাচ্ছে, গত একসপ্তাহেই অভিযোগের সংখ্যা সাড়ে ৫০০ ছাড়িয়েছে। কোন ক্ষেত্রে কী পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ, তারও বিস্তারিত রিপোর্ট দেওয়া হয়েছে।

Advertisement

মঙ্গলবার এই সংক্রান্ত মামলা শুনানির জন্য উঠেছিল বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডন ও বিচারপতি হিরন্ময় ভট্টাচার্যের ডিভিশন বেঞ্চে। কেন্দ্রীয় সরকারের আইনজীবী অশোক কুমার চক্রবর্তী জানান, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের (Post poll violence) অভিযোগ খতিয়ে দেখে আদালত যদি মনে করে যে রাজ্যে আরও কিছুদিন কেন্দ্রীয় বাহিনী (Central Forces) রাখার প্রয়োজন, তাহলে স্বরাষ্ট্র মন্ত্রকের কোনও আপত্তি নেই। তা শুনে উচ্চ আদালতের নির্দেশ, ভোট পরবর্তী সন্ত্রাসের অভিযোগের প্রেক্ষিতে কী করা উচিত এবং কেন্দ্রীয় বাহিনী নিয়ে নিজেদের নির্দিষ্ট মতামত জানাক কেন্দ্র। পাশাপাশি কেন্দ্র ও রাজ্য উভয়কেই এ বিষয়ে নিজেদের অবস্থান জানাতে হবে আদালতে। এনিয়ে পরবর্তী শুনানি ২১ জুন।

[আরও পড়ুন: ড্রাইভিং শিক্ষার রিল বানাতে গিয়ে খাদে পড়ল গাড়ি! মর্মান্তিক মৃত্যুর ভিডিও ভাইরাল

তথ্য বলছে, রাজ্যের ১২৫ স্কুল এবং ১০৭ টি কলেজে বাহিনীর জওয়ানরা রয়েছেন। মামলাকারীর আইনজীবীর সওয়াল, বাহিনীর জন্য যে ব্যারাক আছে সেখানে এই বাহিনীকে স্থানান্তর করা হোক। রাজ্যের দাবি, প্রত্যন্ত এলাকার স্কুল, কলেজ ছাড়া কোথাও জওয়ানদের (Jawans) রাখার পর্যাপ্ত জায়গা নেই। তাতে বিচারপতি হরিশ ট্যান্ডনের মন্তব্য, বিকল্প জায়গার সন্ধান করতে হবে। কারণ, শিক্ষা সবার আগে। স্কুল, কলেজ আটকে এভাবে জওয়ানদের রাখা যায় না।

[আরও পড়ুন: প্রেমের গল্প ফেঁদে লিভ ইন, প্রেমিকার কাছে আগ্নেয়াস্ত্র লুকনো অস্ত্র! ফাঁস যুগলের কীর্তি]

এদিন শুনানিতে হাই কোর্টে (Calcutta HC) জমা দেওয়া  রাজ্য পুলিশের রিপোর্টে অশান্তির অভিযোগের বিষয়টি বিস্তারিত উল্লেখ করা হয়েছে। কোন অভিযোগে কী পদক্ষেপ নিয়েছে পুলিশ, সেসবের 'স্ট্যাটাস' কী, তাও জানানো হয়েছে। রিপোর্টে জানা গিয়েছে, ৬ থেকে ১২ জুন পর্যন্ত ইমেল মারফত ৫৬০ অভিযোগ দায়ের হয়েছে। তার মধ্যে বেশিরভাগই খতিয়ে দেখা হচ্ছে। বহু অভিযোগের তদন্ত করে কোনও ভিত্তি মেলেনি। বেশ কিছু ক্ষেত্রে এফআইআর (FIR) দায়ের করে তদন্ত শুরু হয়েছে। কিছু অভিযোগের সঙ্গে হিংসা বা অশান্তির যোগ নেই। এনিয়ে পরবর্তী শুনানি ২১ জুন।

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

হাইলাইটস

Highlights Heading
Advertisement