সুদীপ রায়চৌধুরী: বন্যপ্রাণপ্রেমীদের জন্য সুখবর। কারণ, রাজ্যে আরও চারটি নতুন চিড়িয়াখানা তৈরি হতে চলেছে। একথা জানান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক।
বুধবার মন্ত্রী জানান, রাজ্যে এখনও পর্যন্ত মোট ১২টি চিড়িয়াখানা আছে। আরও চারটি নতুন চিড়িয়াখানা তৈরি করা হচ্ছে। এই প্রকল্পে ঝাড়গ্রামের চিড়িয়াখানাটির আয়তন ১০ হেক্টর থেকে বাড়িয়ে ২২ হেক্টর করা হচ্ছে। উত্তরবঙ্গে কোচবিহারের পাতলেখাওয়া ও কলকাতার পাশে নিউটাউনে দু’টি নতুন চিড়িয়াখানা তৈরি হচ্ছে। উত্তর ২৪ পরগনার টাকিতে ৬০ বিঘা জমিতে হরিণের অরণ্য তৈরি করা হবে। নিউটাউনের চিড়িয়াখানায় সিংহ ও ব্ল্যাক প্যান্থার আনা হবে বলেও জানান তিনি।
[আরও পড়ুন: শান্তিনিকেতনে শিশু খুন: লকেট চট্টোপাধ্যায়কে গ্রামে ঢুকতে বাধা, পুলিশি নিষ্ক্রিয়তা নিয়ে সরব নেত্রী]
বিধানসভায় এক প্রশ্নের জবাবে বনমন্ত্রী বলেন, “হাতির হানায় জীবনহানির ক্ষেত্রে আর্থিক সাহায্যের বিষয়ে ভাবনাচিন্তা চলছে। অন্য একটি প্রশ্নের জবাবে মন্ত্রী আরও জানান, গত আর্থিক বর্ষে কাঠ বিক্রি করে বনদপ্তর ৭৮ কোটি টাকা আয় করেছে। মধু বিক্রি করে আয় হয়েছে ২২.১৯ লক্ষ টাকা। এদিন বনমন্ত্রীর সঙ্গে দেখা করে কার্শিয়াংয়ের বিজেপি বিধায়ক বিষ্ণুপ্রসাদ শর্মা অভিযোগ করেন, তাঁর এলাকার সৌরিনি ও লং ভিউ চা বাগান থেকে বনদপ্তরের লাগানো শালগাছ কেটে বিক্রি করে দিচ্ছে একদল দুষ্কৃতী। স্থানীয় প্রশাসনকে জানিয়েও কোনও লাভ হয়নি। অভিযোগ শুনেই নড়েচড়ে বসেন বনমন্ত্রী। বনদপ্তরের শীর্ষ আধিকারিকদের বিষয়টি দেখার নির্দেশ দেন তিনি।
এদিকে, ঝড়ঝঞ্ঝার হাত থেকে জীবন ও সম্পত্তি রক্ষায় ওড়িশা, মহারাষ্ট্র, তামিলনাডু, কর্ণাটক ও কেরলকে ম্যানগ্রোভ চারা দিচ্ছে রাজ্য সরকারের, বুধবার একথা জানান বনমন্ত্রী জ্যোতিপ্রিয় মল্লিক। তিনি বলেন, “প্রাকৃতিক দুর্যোগের হাত থেকে রক্ষা পেতে মুখ্যমন্ত্রী মমতা বন্দ্যোপাধ্যায় একটি বৈঠক করেন। বৈঠকে নদী বিশেষজ্ঞ কল্যাণ রুদ্র ও অন্যান্য আধিকারিকদের সঙ্গে আলোচনার পর রাজ্যের সুন্দরবন-সহ রাজ্যের উপকূলবর্তী এলাকায় ম্যানগ্রোভ অরণ্য তৈরি করার নির্দেশ দিয়েছিলেন মুখ্যমন্ত্রী। সেই নির্দেশ মতো জানুয়ারি মাস থেকে সবমিলিয়ে ২৪১৩ হেক্টর জমিতে ১৫ কোটি ৫৬ লক্ষ ৪ হাজারটি ম্যানগ্রোভ চারা রোপণ করা হয়েছে। তার মধ্যে নয়াচরে রোপণ করা হয়েছে ২ কোটি চারা।” সুন্দরবনের গভীর জঙ্গলে স্পিড বোটের সাহায্যে স্বনির্ভর গোষ্ঠীর মহিলাদের নিয়ে গিয়ে বনকর্মীদের পাহাড়ায় সকাল থেকে সন্ধে পর্যন্ত এই কাজ চলছে।