নিরুফা খাতুন: সাতসকালে পথ দুর্ঘটনা ঘিরে তীব্র চাঞ্চল্য যাদবপুরে। সরকারি বাসের বেপরোয়া গতির বলি স্কুটারে থাকা সওয়ারি। বাসের ধাক্কায় মৃত্যু হল মহিলা আরোহীর। গুরুতর জখম ব্যক্তি। তাঁদের চার বছরের শিশুকন্যা অবশ্য রক্ষা পেয়েছে বরাতজোরে। সকাল ৭ টা নাগাদ এই দুর্ঘটনার ফলে যাদবপুরের মতো জমজমাট এলাকায় উত্তেজনা। যান চলাচল ব্যাহত হয়। পরে ট্রাফিক পুলিশ পরিস্থিতি নিয়ন্ত্রণে আনে। দুর্ঘটনাস্থল থেকে ছোট্ট শিশুকে উদ্ধার করে যাদবপুর থানায় রাখা হয়েছে। খবর দেওয়া হয়েছে পরিবারকে। তদন্তে নেমেছে যাদবপুর থানার পুলিশ।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, মঙ্গলবার সকাল পৌনে সাতটা নাগাদ চার বছরের মেয়ে অঙ্কিতা ও স্ত্রী দেবশ্রীকে নিয়ে ঢাকুরিয়া যাচ্ছিলেন বাঘাযতীনের বাসিন্দা প্রসেনজিৎ মণ্ডল। মেয়েকে ঢাকুরিয়ার বিনোদিনী বালিকা বিদ্যালয়ে পৌঁছে দিতে যাচ্ছিলেন তাঁরা। যাদবপুর এইট বি বাসস্ট্যান্ডের কাছে আসতেই ঘটে দুর্ঘটনাটি। প্রত্যক্ষদর্শীরা জানাচ্ছেন, সেসময় বাসস্ট্যান্ড থেকে যাদবপুর-বেহালা চৌরাস্তাগামী এস৩১ বাসটি সবে ছেড়েছিল। কিন্তু শুরুতেই তার গতি এত বেশি ছিল যে তাতে প্রসেনজিতবাবুর স্কুটারটি কার্যত বাসের নিচে ঢুকে যায়! ঘটনাস্থলেই মৃত্যু হয় তাঁর স্ত্রী দেবশ্রীর। গুরুতর জখম হন স্কুটার চালক প্রসেনজিৎ। তাঁকে বাঘাযতীন হাসপাতালে ভর্তি করা হয়। তবে এত বড় দুর্ঘটনার পর বরাতজোরে অক্ষত চার বছরের ছোট্ট অঙ্কিতা। তাকে নিয়ে যাওয়া হয়েছে যাদবপুর থানায়।
সাতসকালে এই দুর্ঘটনায় সরকারি বাসের গতিকেই দায়ী করছেন স্থানীয় বাসিন্দা, পথচলতি মানুষজন। স্ট্যান্ড থেকে বেরিয়েই এস৩১ বাস যে এতটা গতি নেবে, তা ভাবতেই পারেনি কেউ। অনেকেই বলছেন, রেষারেষির জেরে পথ দুর্ঘটনার কারণ হিসেবে অনেক সময়েই বেসরকারি বাসের চালকদের দায়ী করা হয়। কিন্তু এক্ষেত্রে কেন সরকারি বাসের গতিতে লাগাম পরানো গেল না? এনিয়ে সমালোচনার মুখে পড়েছে পরিবহণ দপ্তরও। প্রশ্ন উঠছে, পথ নিরাপত্তায় সমস্ত বিধিনিষেধ, নিয়ম কি শুধুই বেসরকারি বাসের ক্ষেত্রে?