সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: সাইবার প্রতারকদের নিয়ে বিভিন্ন মাধ্যমে সতর্ক করছে কেন্দ্র, এমনকী খোদ প্রধানমন্ত্রী নরেন্দ্র মোদি এই বিষয়ে সচেতন হতে বলেছেন দেশবাসীকে। এরপরেও সাইবার জালিয়াতির অন্ত নেই! এবার বেঙ্গালুরুর এক প্রযুক্তিকর্মী ১১ কোটি টাকার সাইবার প্রতারণার শিকার হলেন। কাস্টমস আধিকারিক এবং ইডি আধিকারিক সেজে ওই ব্যক্তিকে ফোন করেন প্রতারকেরা। পুলিশ জানিয়েছে, আর্থিক তছরুপের কারণে গ্রেপ্তারির হুমকি দিতেই ভেঙে পড়েন ওই প্রযুক্তিকর্মী।
পুলিশ সূত্রে জানা গিয়েছে, প্রতারণার শিকার হয়েছেন বিজয় কুমার। শেয়ার বাজারে তাঁর ৫০ লক্ষ টাকার বিনিয়োগ রয়েছে, একথা জেনে ছিল অভিযুক্ত প্রতারকদের। সেই বিনিয়োগ যে বেড়ে ১২ কোটি হয়েছে, তাও জানা ছিল তাদের। এরপরই পুলিশ, কাস্টমস এবং ইডি আধিকারিক সেজে এক মাস ধরে বিজয় কুমারকে ফোন করতে থাকে প্রতারকেরা। প্রযুক্তিকর্মীর বিরুদ্ধে আর্থিক তছরুপের অভিযোগ আনে তারা। গ্রেপ্তারির ভয় দেখায়।
এরপরই চাপে পড়ে জালিয়াতদের নিজের আধার, প্যান এবং কেওয়াইসি তথ্য দেন বিজয়। এই সুযোগে নয়টি ব্যাঙ্ক অ্যাকাউন্ট থেকে ১১ কোটি টাকা হাতিয়ে নেয় প্রতারকরা। প্রযুক্তকর্মীকে বলা হয়, এটা সরকারি প্রক্রিয়া। যদিও এক সময় ওই তরুণ বুঝতে পারেন যে তিনি প্রতারিত হয়েছেন। পুলিশে অভিযোগ জানান তিনি। ঘটনার তদন্তে নেমে এলাহাবাদের একটি ব্যাঙ্কের অ্যাকাউন্টে ৭.৫ কোটি চিহ্নিত করে সাইবার অপরাধ বিভাগের পুলিশ। তদন্তে সূত্রে সুরাটে পৌঁছান তদন্তকারীরা। জানা যায়, অন্যতম অভিযুক্ত ধাবাল শাহ বাকি টাকা দিয়ে সোনা কিনেছেন।
ধাবালকে জেরা করে জানা যায়, প্রতারক চক্রটির পরিচালিত হয় দুবাই থেকে। তাদের কথা মতো কাজ করে দেড় কোটি কমিশন পেয়েছে সে। সোনা দিয়েছে 'নীল ভাই' নামের এক অজ্ঞাতপরিচয় ব্যক্তিকে। সবচেয়ে বড় কথা, অর্থ সরানোর আগেই এক্ষেত্রে তা চিহ্নিত করা গিয়েছে। বিষয়টিকে বড় সাফল্য হিসেবেই দেখছে বেঙ্গালুরুর সাইবার অপরাধ পুলিশ।