shono
Advertisement

পুজোর আগে পার্লারে লাইন দিতে নারাজ? অনভিজ্ঞ হাতে বাড়িতে চুল কেটে ফেলুন এভাবেই

এই টিপস মেনে পুজোর আগে পালটে ফেলুন হেয়ারস্টাইল। The post পুজোর আগে পার্লারে লাইন দিতে নারাজ? অনভিজ্ঞ হাতে বাড়িতে চুল কেটে ফেলুন এভাবেই appeared first on Sangbad Pratidin.
Posted: 10:43 PM Oct 01, 2020Updated: 10:52 PM Oct 01, 2020

সংবাদ প্রতিদিন ডিজিটাল ডেস্ক: ঘন, লম্বা কোমর ছাড়ানো কেশরাশি হোক কিংবা ঘাড় পর্যন্ত ছোট চুল, পুজোর আগে একটা হেয়ারকাট (Haircut) তো মাস্ট। কাঁচি ছোয়ানো চাইই চাই। কিন্তু এ বছর তো পরিস্থিতি অন্যরকম। কোভিড আবহে পুজো, বহু সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। আনলকের প্রায় প্রথম দিক থেকেই সেলুন, পার্লার খুললেও অনেকেই এখনও সেখানে যেতে তেমন ভরসা পাচ্ছেন না। তারউপর পুজো যত এগিয়ে আসবে, ততই বাড়বে ভিড়ের বহর। আগাম বুকিং ছাড়া পার্লারে প্রবেশ প্রায় দুঃসাধ্য। তা ‘বলে কি এবছর পুজোর আগে চুলে কায়দা হবে না? তা মোটেই নয়। বেশি না ভেবে নিজেই অনভ্যস্ত হাতে সাহস করে বাড়িতে কেটে ফেলুন চুল। অবশ্যই একা করবেন না, সঙ্গে কাউকে রাখবেন। কীভাবে হেয়ার স্টাইল করবেন, রইল তার টিপস।

Advertisement

এই ভাবলাম আর কাঁচি নিয়ে চুল কাটতে বসে গেলাম, তেমনটা কিন্তু নয়। একেবারের পার্লারের (Parlour) মতো করেই প্রস্তুতি নিয়ে তবে চুলে কাঁচি চালাতে হবে। প্রথমেই পরিষ্কার করে, শ্যাম্পু করে চিটচিটে ভাব থেকে নিতে চুলকে মুক্ত করুন। এবার ভাল করে জট ছাড়িয়ে নিন। চুল সেট করার ক্লিপ (সেটিং ক্লিপস), নরম দাঁতের চিরুনি, চুল কাটার জন্য আলাদা কাঁচি কিংবা ট্রিমার কিনে রাখুন। অন্যান্য কাজে ব্যবহার করা হয়, এমন কাঁচিতে চুল কাটলে চুল নষ্ট হয়ে যেতে পারে। তাই চুল কাটার কাঁচি হতে হবে আলাদা। তা ছাড়া ধারালো কাঁচি না হলে চুলের যে জায়গা বরাবর কাটা হচ্ছে, সেখানে চাপ পড়ে। জল ছেটানো বা স্প্রে করার প্রয়োজন হলে স্প্রে বোতল কাছে রাখুন, ট্রিমার ব্যবহার করলে অবশ্য চুল ভেজানোর প্রয়োজন হয় না।

[আরও পড়ুন: একঢাল চুল চান? পুজোর আগে এই অভ্যাসগুলি অবশ্যই বদলান]

কাটা চুল যাতে দেহের অন্যান্য অংশে ছড়িয়ে না পড়ে, তার জন্য হেয়ার কাটের সময় পলিয়েস্টারের তৈরি অ্যাপ্রন পরে নেওয়া ভালো। তা না থাকলে সিল্ক বা জর্জেটের ওড়না ব্যবহার করতে পারেন। তোয়ালেও জড়িয়ে নেওয়া যায়। তবে খেয়াল রাখুন যে এমন কাপড় দিয়ে ঘাড়, পিঠ ঢাকবেন যাতে চুল আটকে না থাকে। ঘাড় থেকে চুলের কাটা অংশ পরিষ্কার করার জন্য বিশেষ ব্রাশ কিনতে পাওয়া যায়। তেমন ব্রাশ বাড়িতে না থাকলে ব্লাশ-অন করার ব্রাশ কাজে লাগাতে পারেন। এ সবের যে কোনোটি দিয়ে পাউডার ব্যবহার করে চুলের ছোট ছোট অংশ পরিষ্কার করা যায়। তাই এসবও রাখুন হাতের কাছে। ঘরের এমন জায়গায় চুল কাটবেন না, যাতে ঘরের কোণে বা আসবাবের আড়ালে চুল পড়ে থাকতে পারে। খোলা জায়গায় চুল কাটুন। তবে বারান্দাও ন। কারণ, হাওয়ায় চুল উড়ে যাওয়ার আশঙ্কা থাকে।

লম্বা চুল নিজে কাটা মুশকিল। অন্য কারও সাহায্য এক্ষেত্রে জরুরি। তবে দেখতে হবে, এই আপনার এই প্রচেষ্টায় তাঁরও যেন পূর্ণ সমর্থন আর উৎসাহ থাকে। এ বিষয়ে আপনাদের সাহায্য করতে করতে পারে ইন্টারনেটের কিছু ভিডিও। তবে তা নিজের চুলে প্রয়োগ করার আগে ভালোভাবে বুঝে নেওয়া প্রয়োজন। নইলে মাঝপথে সব গন্ডগোল হয়ে যেতে পারে। তাছাড়া নিজের হেয়ারড্রেসার থাকলে, অনলাইনে তাঁর পরামর্শ নিয়ে নিন।

একেবারে অনেকটা চুল কাটবেন না। বরং অল্প অল্প করে কাটতে থাকুন। তাহলে চুল কেমন আকার নিচ্ছে, তা নিজেই ভালভাবে বুঝতে পারবেন এবং সেইমতো পরবর্তী পদক্ষেপ নিতে পারবেন। ট্রিমার ব্যবহার করলে চুলের আকার অনুযায়ী তা সেট করে ব্যবহার করুন।

কোন স্টাইলে কীভাবে কাটবেন?

প্রথমে পনিটেল করে চুল বেঁধে নিন। তারপর ধীরে ধীরে কাঁচি চালান। এবার বাঁধন খুলে দিলে চুলের আলাদা আলাদা ‘লেয়ার’ হবে। অভিজ্ঞতা থাকলে চুলের বিভিন্ন অংশ আলাদা করে নিয়ে লেয়ার বা স্তরে স্তরে কাটার চেষ্টা করা যেতে পারে।

‘ইউ’ কাট বা ‘ভি’ কাট করতে চাইলে চুলের ঠিক মাঝখানে সিঁথি করে নিয়ে ডান ও বাঁ পাশে সমান করে চুল ভাগ করে নিন। এবার চুলের স্তর দেখে দেখে কাঁচি চালাতে হবে। তাহলে দুটো পাশ সমানভাবে ইউ বা ভি আকৃতি ঠিকমতো হবে। প্লেন কাট করতে চাইলেও একইভাবে কাটুন। তবে এক্ষেত্রে একেবারে করে চুল কাটতে চাইলেও একই পদ্ধতিতে চুল দুই ভাগ করে নিয়ে কাটুন। শুধু এ ক্ষেত্রে কোনাকুনি নয়, সমানভাবে চুলে কাঁচি চালান।

[আরও পড়ুন: সিল্কের মাস্কেই রয়েছে COVID-19 আটকানোর ক্ষমতা, নয়া গবেষণায় দাবি বিশেষজ্ঞদের]

স্টেপ কাটের কাজটা একটু কঠিনব। চুলকে তিন ভাগে আলাদা করে ভাগ করে নিন। যেখান থেকে চুলে স্টেপ চাইছেন, সেই বরাবর এক কান থেকে আরেক কান পর্যন্ত চুলগুলোকে আলাদা করে নিন। বাকি চুলগুলোকে ডান ও বাঁ-দিকে ভাগ করুন। তারপর পছন্দমতো আকারে চুল কেটে ফেলুন।

শিশুর জন্য হেয়ারকাট

বাড়িতে শিশুর চুল কাটার জন্যও বড়দের মতোই ব্যবস্থা করে নিতে হবে। ট্রিমার ব্যবহার করা যেতে পারে। তবে শিশুর চুলে জটিল কোনও কাট দেওয়ার চেষ্টা না করাই ভালো। বরং ওর পছন্দমতো এবং স্বাচ্ছন্দ্যমতো চুল ছেঁটে দিন।

চুল কাটার পরবর্তী ধাপ

চুল কেটে ফেললেই তো আর কাজ শেষ হয়ে গেল না। কাটার পর স্নান অবশ্য কর্তব্য। নাহলে কাটা চুলের ক্ষুদ্রাতিক্ষুদ্র অংশ গায়ে লেগে থাকতে পারে। পাউডার ও নরম ব্রাশ দিয়ে প্রথমে সেগুলো ঝেড়ে ফেলুন। তারপর স্নান। তবে খুব প্রয়োজন হলেই বাড়িতে চুল কাটুন। আত্মবিশ্বাস না থাকলে এই এক্সপেরিমেন্টে না যাওয়াই ভাল। ‘লুক’ নষ্ট হয়ে যেতে পারে।

The post পুজোর আগে পার্লারে লাইন দিতে নারাজ? অনভিজ্ঞ হাতে বাড়িতে চুল কেটে ফেলুন এভাবেই appeared first on Sangbad Pratidin.

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement