shono
Advertisement

RO-তেই লুকিয়ে দেশে করোনা থেকে মুক্তির পথ, ব্যাপারটা কী? ব্যাখ্যা দিল ICMR

কোভিড সংক্রমণের গাণিতিক বিশ্লেষণ করলেন গবেষকরা।
Posted: 04:39 PM Oct 06, 2020Updated: 05:13 PM Oct 06, 2020

ক্ষীরোদ ভট্টাচার্য: আর নট। অথবা ইংরেজি শব্দ R0-এর উপর নির্ভর করছে কবে দেশের মানুষ করোনার দাপট থেকে মুক্ত হবে।

Advertisement

আইসিএমআর-সহ দিল্লি ও দেশের বিভিন্ন প্রান্তের কোভিড বিশেষজ্ঞদের অভিমত, এখন “আর নট-এর গাণিতিক গড় মান ১.৮৬ অথবা ২। অর্থাৎ একজন কোভিড সংক্রমিত ব্যক্তি খুব সহজেই আরও একজনকে সংক্রমিত করতে পারে। এমনভাবে আটজন কোভিড সংক্রমিত দ্বিগুণ বা ১৬ জনকে সংক্রমিত করছে। এই চিত্র বাংলা-সহ দেশের অধিকাংশ রাজ্যের। সংক্রমণ ১-এর নিচে নামতে বা হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হতে অন্তত ২-৩ বছর অপেক্ষা করতে হবে। অর্থাৎ সহজে করোনা অতিমারী থেকে ভারতের মুক্তি নেই। স্বাস্থ্যভবনের শীর্ষকর্তাদের সঙ্গে ভিডিও কনফারেন্সে এই বিষয়টি স্পষ্ট জানিয়েছেন তাঁরা।

[আরও পড়ুন: ডিটারজেন্ট ছাড়াই প্রিয় পোশাকে চা-কফির দাগ তুলতে পারেন ঘরোয়া এই উপায়গুলিতে]

দিল্লি এমসের জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ এবং আইসিএমআর ক্লিনিক্যাল ট্রায়ালের সঙ্গে যুক্ত অধ্যাপক ডা. সঞ্জয় রাই, আইসিএমআরের (ICMR) বাঙালি বৈজ্ঞানিক ডা. অপর্ণা মুখোপাধ্যায়, চেন্নাইয়ের কোভিড বিশেষজ্ঞ ডা. পৃথিলা রূপলির মতো চিকিৎসক, গবেষকরা রাজ্যের স্বাস্থ্যকর্তাদের স্পষ্ট জানিয়েছেন, দেশে হার্ড ইমিউনিটি তৈরি হওয়া সহজ নয়। আরও বেশি সংক্রমণ হবে। যখন এই সংক্রমণ একের নিচে নামবে, সেইসময় করোনা (Coronavirus) স্তিমিত হবে। স্বাভাবিকভাবেই প্রশ্ন উঠেছে তাহলে কোমর্বিড বা উচ্চ রক্তচাপ, কিডনি বা হৃদরোগ থাকলে কোভিড (COVID-19) আক্রান্ত ব্যক্তির অবস্থার অবনতি হতে পারে। অনেকক্ষেত্রে মৃত্যুও হতে পারে। এই প্রশ্নের জবাবে রাজ্যের স্বাস্থ্য অধিকর্তা ডা. অজয় চক্রবর্তী বলেছেন, “এমন মারাত্মক ভাইরাসের সংক্রমণে কিছু ক্ষয়ক্ষতি হবে না, এটা ভাবা ভুল। তবে আমাদের প্রধান উদ্দেশ্য হল মৃত্যুহার আরও নিয়ন্ত্রণ করা। আর সেই জন্য আরও বেশকিছু কড়া পদক্ষেপ করা হবে। পরিকাঠামো আরও বাড়ানো হবে। পাশাপাশি চলবে ভ্যাকসিনের গবেষণা।”

মহানগরীর সংক্রমণ ও মৃত্যু কিছুটা রাশ টানা গেলেও হাওড়া, উত্তর ২৪ পরগনায় করোনা সংক্রমণ ফের ঊর্ধমুখী। রবিবারের ভিডিও কনফারেন্সে দেশের করোনা ভ্যাকসিনের গবেষণা নিয়েও স্বাস্থ্যকর্তাদের অবহিত করেছেন আইসিএমআরের গবেষকরা। স্বাস্থ্যভবন সূত্রে খবর, আইসিএমআরের গবেষকরা জানিয়েছেন, দেশে তৃতীয় পর্যায়ের ক্লিনিক্যাল ট্রায়াল হবে মার্চ মাস নাগাদ। আর এন এ, মৃত কোষ এমন বিভিন্ন বিষয়ে ভ্যাকসিন তৈরির চেষ্টা হচ্ছে। তবে ভ্যাকসিন এলে সঙ্গে সঙ্গে তা সবাই পাবেন এমনটা হবে না। চতুর্থ পর্যায়ের ট্রায়ালে স্বাস্থ্যকর্মী, পুলিশ বা ফ্রন্টলাইন ওয়ারিয়র এবং বয়স্ক নাগরিকদের টিকাকরণের আওতায় আনা হতে পারে। এই বিষয়ে জনস্বাস্থ্য বিশেষজ্ঞ ডা. অনির্বাণ দলুই বলেছেন, “ভ্যাকসিন যতদিন না পাওয়া যাচ্ছে ততদিন সমস্ত রকম সাবধানতা অবলম্বন করতে হবে। আর মাস্ক ব্যবহার বাধ্যতামূলক।” অর্থাৎ আগামী ২-৩ বছর করোনা ভাইরাসের বিরুদ্ধে লাগাতার যুদ্ধ চলবেই।

[আরও পড়ুন: মহামারীর মধ্যেও হাসপাতালে যেতেই হবে? মাথায় রাখুন বিশেষজ্ঞদের এই ১০টি টিপস]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement