shono
Advertisement

হঠাৎ করে কি ঘাম বেশি হচ্ছে? সাবধান! বড় কোনও বিপদের পূর্বাভাস হতে পারে কিন্তু!

কী বলছেন রুবি হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. রমিতা দে?
Posted: 06:43 PM Apr 06, 2021Updated: 08:06 PM Apr 06, 2021

হঠাৎ করেই ঘাম হচ্ছে বেশি! সাধারণ ব্যাপার ভেবে ফেলে রাখা খারাপ। শরীরের ভিতরে একাধিক অসুবিধার কারণে এমন সমস্যা প্রকাশ পেতে পারে। সাবধান করলেন রুবি হাসপাতালের মেডিসিন বিশেষজ্ঞ ডা. রমিতা দে। শুনলেন সোমা মজুমদার।

Advertisement

গরম পড়লে কিংবা পরিশ্রম করলে ঘাম হওয়াটা স্বাভাবিক। কিন্তু ধরুন একই পরিবেশে আপনার পাশের ব্যক্তির চেয়ে আপনি অনেক বেশি ঘামছেন। তাহলে চিন্তার কারণ আছে বইকি! কারণ অতিরিক্ত ঘামের পিছনে লুকিয়ে থাকতে পারে কোনও বিশেষ রোগের উপসর্গ। তাই অবহেলা না করে আপনার অতিরিক্ত ঘামের সমস্যা থাকলে অবশ্যই ডাক্তারের পরামর্শ নিন।

কখন কারণ খুঁজবেন?
এমন হতেই পারে, কেউ ছোট বয়স থেকেই ভীষণ ঘামে। এতে খুব বেশি দুশ্চিন্তার কিছু নেই। তবে যদি হঠাৎ করে শরীরে ঘাম বেশি হতে শুরু করে, বেশি ঘেমে যাচ্ছেন বলে মনে করেন তাহলে অবশ্যই ঘাম হওয়ার পিছনে কারণ থাকবে। এই লক্ষণ অবশ্যই কোনও শারীরিক অসুস্থতার বার্তাবহ।

কারণ অনেক –

  • সাধারণত শরীরের মেটাবলিজম রেটের উপর ঘাম হওয়া নির্ভর করে। শরীরে মেটাবলিজম বেশি থাকলে বেশি ঘাম হয়। এছাড়া বেশি পরিশ্রম করলেও ঘাম হওয়া খুব স্বাভাবিক।
  • হঠাৎ বেশি ঘাম হওয়া হার্ট অ্যাটাকের একটি লক্ষণ। অনেক সময় হার্টের কোনও সমস্যা থাকলে রোগীর বেশি ঘাম হতে পারে।
  • ডায়াবেটিসে রোগীর রক্তে শর্করা কমে গেলে ঘাম হতে পারে।
  • ব্লাড প্রেশার হঠাৎ বেড়ে গেলেও রোগী বেশি ঘামতে শুরু করেন।
  • অনেক সময় অতিরিক্ত উদ্বেগের কারণে ঘাম হয়। উদ্বেগে হরমোনের ভারসাম্য ব্যাহত হয়। তাই যাঁরা মানসিক চাপে থাকেন তাঁদের বেশি ঘাম হতে পারে।
  • মেনোপজের সময় অনেক মহিলার বেশি ঘাম হতে দেখা যায়।
  • রক্তে ইউরিক অ্যাসিডের মাত্রা বাড়লেও এমন হতে পারে।

[আরও পড়ুন: বিশ্বের ৭৫% ভাইরাস ঘটিত রোগ প্রাণীবাহিত, কেন একথা বলছেন বিশেষজ্ঞরা?]

হঠাৎ ঘাম হলে কী করণীয়?

ঘামের সঙ্গে যেহেতু সোডিয়াম, পটাশিয়াম বাই-কার্বোনেট বেরিয়ে যায়, ফলে শরীর দুর্বল ও অস্থির হয়ে যায় তাই জলের সঙ্গে নুন, চিনি, পাতিলেবু মিশিয়ে সরবত খেলে ভাল হয়। গরমে দইয়ের ঘোল ও ডাব খেতে পারেন। কোল্ড ড্রিংকসের পরিবর্তে ফ্রেশ ফ্রুট জুস ও টাটকা ফল খান। ভিটামিন বি-১২’এর অভাবে যেহেতু হাইপারহাইড্রোসিস হয় তাই বি-কমপ্লেক্স যুক্ত খাবার খান। পাশাপাশি থাইরয়েড হয়েছে কি না তা রক্ত পরীক্ষা করে দেখে নেওয়া উচিত। আয়োডিনযুক্ত খাবার যেমন – এসপারাগাস, ব্রকোলি, রেড মিট, সাদা পিঁয়াজ, খাবার লবণ যতটা সম্ভব কম খাওয়া উচিত। চা-কফি কম খেতে হবে।

[আরও পড়ুন: কোভ্যাক্সিনে কমছে হজমশক্তি, পার্শ্বপ্রতিক্রিয়া কোভিশিল্ডেও, টিকা নিয়ে সতর্কবার্তা]

Sangbad Pratidin News App

খবরের টাটকা আপডেট পেতে ডাউনলোড করুন সংবাদ প্রতিদিন অ্যাপ

Advertisement